alt

সৈয়দপুরে ছয় শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী) : বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের ডাংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আছে মাত্র ছয় জন। আর এই ছয় শিক্ষার্থীকে পাঠদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োজিত রয়েছেন চারজন শিক্ষক। ছয় শিক্ষার্থী আর চার শিক্ষক দিয়েই চলছে এই বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম।

সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে নিয়োজিত চারজন শিক্ষক আর সঙ্গে উপস্থিত আছে মাত্র ছয় শিক্ষার্থী। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকে, প্রথম শ্রেণিতে আর দ্বিতীয়, চতুর্থ শ্রেণিতে কোনও শিক্ষার্থী নেই। তৃতীয় শ্রেণিতে দুজন ও পঞ্চম শ্রেণীতে চারজন শিক্ষার্থী। বিদ্যালয় ভবনে পরিপাটি শ্রেণিকক্ষে অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষ ফাঁকা। গড়ে প্রতিদিন চারজন থেকে ছয়জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৭০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। কয়েক বছর আগেও অনেক শিক্ষার্থী ছিল। প্রতিষ্ঠানে কাগজে-কলমে শিক্ষার্থী সংখ্যা এখন দেখানো হয়েছে ৮৯ জন। তবে প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে ৬ জন শিক্ষার্থীই ক্লাসে আসে। এখন শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহ নেই। অনেকে ভর্তি হলেও পরে অন্য বিদ্যালয়ে চলে যায়। পাশেই অসংখ্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহ ব্রাক ও মাদ্রাসা থাকায় শিক্ষার্থী আসছে না। শুধু তাই নয় বিদ্যালয়টিতে ৬ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও রয়েছে ৪ জন।

তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী লিমন ইসলাম বলেন, আমরা ক্লাসে ২/৩ জনের বেশি আসে না। তাই বিদ্যালয়ে আসতে ইচ্ছে করে না। আমাদের খেলার কোনো সহপাঠী নেই ।

পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রেখা বলেন, কিছুদিন আগেও আমাদের বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী ছিলো ইদানিং আমার সহপাঠীরা স্কুলে আসছে না। সহপাঠীদের বেশির ভাগ মাদ্রাসা ও এনজিওর স্কুলে ভর্তি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, পাশেই স্কুলের সামনে একটা মাদ্রাসা আছে আমাদের বিদ্যালয়ের ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী সেখানে ভর্তি হয়েছে। আমরা স্কুলে এসে শিক্ষার্থী না পেলে মন খারাপ হয়ে যায়। তারপরও কম শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস করাতে হয়। আমরা স্কুলে শিক্ষার্থীদের পাঠাতে অভিভাবক সমাবেশ করছি। প্রতিটি অভিভাবকের বাসায় যাচ্ছি তাতেও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা।

স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. নূরুজ্জামান সরকার জানান, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ আমরা চারজন আছি। আগে অনেক শিক্ষার্থী ছিলো, কিন্তু এলাকায় কয়েকটি বেসরকারি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা থাকায় শিক্ষার্থী কমে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষার্থী বাড়ানোর।

এ বিষয়ে ডাংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন বলেন, কয়েক বছর আগেও আমাদের বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী ছিলো। কিন্তু বিদ্যালয়ের পাশেই মাদ্রাসা থাকায় শিক্ষার্থীরা সবাই সেখানে চলে গেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা অভিভাবকদের বুঝিয়েছে যে, প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা হয় না। আর এ কারণেই অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে দিচ্ছে না। আমরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের বুঝিয়ে চেষ্টা করছি শিক্ষার্থী বাড়ানোর।

ছবি

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হলো ‘এআই পার্টি ফোন’ রিয়েলমি ১৫ সিরিজ

ছবি

জরাজীর্ণ অবস্থায় পাথরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

ছবি

পোরশায় খাস পুকুরের দন্দে বৃদ্ধ নিহত

ছবি

ভালুকায় বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষে লাভবান কৃষক

ছবি

আখের রস বিক্রি করে সংসার চলে কাশেমের

ছবি

জীবনের বৈঠা হাতে লিয়াকত মাঝি পেট চলে না তবুও হাসি আছে মুখে

ছবি

মধুপুর গড় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জাতের প্রাকৃতিক বন আলু

ছবি

শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ালেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন

ছবি

খোকসায় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে কৃষকের মৃত্যু

ছবি

দুর্গাপুরে প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু দোষীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

ছবি

নাটোরে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক ৭

ছবি

বেতাগী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পিন্টু গ্রেপ্তার

ছবি

বিরামপুরে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল অটোচালকের

ছবি

সুন্দরগঞ্জে কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

ছবি

সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে হত্যার চেষ্টা, এলাকাবাসির মানববন্ধন

ছবি

মোরেলগঞ্জে ২১শ’ জেলে পরিবার পাচ্ছেন মানবিক সহায়তা

ছবি

সাটুরিয়া উপজেলায় এলজিইডির কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

ব্রহ্মপুত্রের চর জুড়ে কাশফুল ইকো ট্যুরিজমের নতুন দিগন্ত

ছবি

অ্যানথ্রাক্সের রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে বাকৃবির গবেষকরা

ছবি

দশমিনায় সড়কের পাশে শীতকালীন সবজির আবাদ, লাভবান কৃষক

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার প্রতিযোগিতায় অসাধু জেলেরা

ছবি

পোরশায় প্রায় রাতেই হচ্ছে ডাকাতি, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ছবি

ডিমলা হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ফ্যান দিলেন ইউএনও

চুনারুঘাটে ভারতে প্রবেশের সময় যুবক আটক

ছবি

নড়াইলে আ’লীগ নেতা মুক্তির জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

ছবি

কলমাকান্দায় সাপের কামড়ে প্রাণ গেল শিশুর

ছবি

ভারতে ৩ বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

লক্ষ্মীপুরে বাস কাউন্টার দখল নিয়ে যুবদলের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ২০

ছবি

বোয়ালখালীতে পুলিশ পরিচয়ে দুই বসতঘরে ডাকাতি

ছবি

দেবিদ্বারে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল ৭১ রাউন্ড গুলি

ছবি

লালপুরে খেজুর গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত গাছিরা

ছবি

আগাম ধানে কৃষকের মুখে হাসি

ছবি

শৈলকুপায় জমি অধিগ্রহণে ভিটেমাটি হারানোর শঙ্কায় নাসিমা খাতুন

ছবি

সংবাদ প্রকাশের পর চান্দিনা পৌর ভবনের নির্মাণাধীন এসএস গেইট ও গ্রিল অপসারণ

ছবি

উলিপুরে ৬১৪ বস্তা নকল টিএসপি সার ধ্বংস

ছবি

বরুড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ

tab

সৈয়দপুরে ছয় শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের ডাংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আছে মাত্র ছয় জন। আর এই ছয় শিক্ষার্থীকে পাঠদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োজিত রয়েছেন চারজন শিক্ষক। ছয় শিক্ষার্থী আর চার শিক্ষক দিয়েই চলছে এই বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম।

সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে নিয়োজিত চারজন শিক্ষক আর সঙ্গে উপস্থিত আছে মাত্র ছয় শিক্ষার্থী। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকে, প্রথম শ্রেণিতে আর দ্বিতীয়, চতুর্থ শ্রেণিতে কোনও শিক্ষার্থী নেই। তৃতীয় শ্রেণিতে দুজন ও পঞ্চম শ্রেণীতে চারজন শিক্ষার্থী। বিদ্যালয় ভবনে পরিপাটি শ্রেণিকক্ষে অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষ ফাঁকা। গড়ে প্রতিদিন চারজন থেকে ছয়জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৭০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। কয়েক বছর আগেও অনেক শিক্ষার্থী ছিল। প্রতিষ্ঠানে কাগজে-কলমে শিক্ষার্থী সংখ্যা এখন দেখানো হয়েছে ৮৯ জন। তবে প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে ৬ জন শিক্ষার্থীই ক্লাসে আসে। এখন শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহ নেই। অনেকে ভর্তি হলেও পরে অন্য বিদ্যালয়ে চলে যায়। পাশেই অসংখ্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহ ব্রাক ও মাদ্রাসা থাকায় শিক্ষার্থী আসছে না। শুধু তাই নয় বিদ্যালয়টিতে ৬ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও রয়েছে ৪ জন।

তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী লিমন ইসলাম বলেন, আমরা ক্লাসে ২/৩ জনের বেশি আসে না। তাই বিদ্যালয়ে আসতে ইচ্ছে করে না। আমাদের খেলার কোনো সহপাঠী নেই ।

পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রেখা বলেন, কিছুদিন আগেও আমাদের বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী ছিলো ইদানিং আমার সহপাঠীরা স্কুলে আসছে না। সহপাঠীদের বেশির ভাগ মাদ্রাসা ও এনজিওর স্কুলে ভর্তি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, পাশেই স্কুলের সামনে একটা মাদ্রাসা আছে আমাদের বিদ্যালয়ের ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী সেখানে ভর্তি হয়েছে। আমরা স্কুলে এসে শিক্ষার্থী না পেলে মন খারাপ হয়ে যায়। তারপরও কম শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস করাতে হয়। আমরা স্কুলে শিক্ষার্থীদের পাঠাতে অভিভাবক সমাবেশ করছি। প্রতিটি অভিভাবকের বাসায় যাচ্ছি তাতেও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা।

স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. নূরুজ্জামান সরকার জানান, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ আমরা চারজন আছি। আগে অনেক শিক্ষার্থী ছিলো, কিন্তু এলাকায় কয়েকটি বেসরকারি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা থাকায় শিক্ষার্থী কমে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষার্থী বাড়ানোর।

এ বিষয়ে ডাংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন বলেন, কয়েক বছর আগেও আমাদের বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী ছিলো। কিন্তু বিদ্যালয়ের পাশেই মাদ্রাসা থাকায় শিক্ষার্থীরা সবাই সেখানে চলে গেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা অভিভাবকদের বুঝিয়েছে যে, প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা হয় না। আর এ কারণেই অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে দিচ্ছে না। আমরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের বুঝিয়ে চেষ্টা করছি শিক্ষার্থী বাড়ানোর।

back to top