alt

আগাম ধানে কৃষকের মুখে হাসি

প্রতিনিধি, লালমনিরহাট : বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

লালমনিরহাট: পাকা ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক -সংবাদ

এক সময় উত্তরাঞ্চলের মানুষদের মঙ্গা এলাকার মানুষ বলা হতো। আশ্বিন ও কার্ত্তিক মাসে মানুষের তেমন কোনো কাজ কর্ম ছিল না। ফলে বাড়িতে বসে অলস সময় পার কারতো শ্রমজীবী এসব মানুষ। আশ্বিন ও কার্ত্তিক মাসে মানুষের যে অভাব অনটন ছিল তাকে বলা হতো মঙ্গা। তবে এখন আর আগের মতো এই অঞ্চলে মঙ্গা নামে সেই শব্দটি নেই। কালের বিবর্তন ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় দিন দিন তা বদলে গেছে। এখন আর আগের মতো আশ্বিন-কার্ত্তিক মাসে অলস সময় কাটাতে হয় না। এখন কাজ করার জন্যই বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তাদের। উত্তর জনপদের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট। পশ্চিমে তিস্তা নদী আর পূর্বে ভারতীয় সীমান্তের মাঝখানে অবস্থিত লালমনিরহাট জেলা। আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি থেকে এ জেলায় কাটা শুরু হয়েছে আগাম জাতের পাকা ধান।

আর সেই আগাম জাতের নতুন পাকা ধান কেটে ঘরে তুলছে কৃষক। এতে করে কৃষকের মঙ্গাও কাটছে আর মুখে ফুটছে হাঁসি। মঙ্গা পেটানো আগাম জাতের এ ধান কৃষকের ঘরে ঘরে অগ্রহায়ন না আসতেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দিয়েছে। আশ্বিন-কার্তিকেই যেন নবান্নের সাড়া পড়েছে কৃষকের ঘরে ঘরে। ধান কাটার পর আবার সেই জমিতে আলু, শাক, সবজি আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে এই অঞ্চলের কৃষকরা। রোগ বালাই কম, একই জমিতে বছরে তিন থেকে চার ফসল আবাদ, ধানের দাম ও গো-খাদ্য হিসেবে খড়েরও দাম ভালো পাওয়ায় দিন দিন আগাম জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষক।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা যায় ধান ক্ষেতের মাঝে উঁকি দিচ্ছে আগাম জাতের সোনালি ধান। আর সেই ধান কাটতে ও মাড়াই করতে ব্যস্ত সময় পার করছে এই অঞ্চলের অলস সময় পার করা কৃষকরা। যাদের আবার ধান কাটা ও মাড়াই করা হয়েছে। তারা জমি চাষ করে নতুন ফসলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জানা গেছে, আষাঢ় মাসের শুরুতেই অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে এ জাতের ধানের চারা লাগানো হয়। চারার বয়স ২৫দিন হলে তারপর জমিতে রোপন করা হয়। জমিতে রোপনের ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে ধান পাকা শুরু হয়। আর সেই ধান ৯০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে কেটে ঘরে তোলা হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট এর উদ্ভাবিত আগাম জাতের ধানগুলো হলো, বিনা-৭, ব্রী ৩৩, ব্রী ৫৬, ব্রী ৬২, পূর্বাচী ও হাইব্রীড। আর এই ধানগুলো চাষাবাদের জন্য কৃষককে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে লালমনিরহাটের বেসরকারি সংস্থা নজীর।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারে এ জেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৬ হাজার ৪শত ৯৫ হেক্টর জমি। আর অর্জিত হয়েছে ৮৮ হাজার ৫শত ১০ হেক্টর জমি। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। তবে গত বছর অর্জিত হয়েছে ৮৪ হাজার ৫শত ৮৫ হেক্টর জমি। এ বছর আগাম জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়েছে, ১ হাজার ২৮ হেক্টর জমিতে।

হাতীবান্ধা উপজেলার আরাজী শেখ সুন্দর গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি গত বছর ২ বিঘাতে আগাম জাতের ধান আবাদ করেছিলাম। ফলন ভালো পাওয়ায় এ বছর ৭ বিঘা জমিতে আগাম জাতের ধান আবাদ করেছি। এর মধ্যে ৮০ শতক জমির ধান ইতিমধ্যে কাটা শেষ হয়ে গেছে। ৮০ শতক জমির ধান হয়েছে ৩৭ মণ।

জেলার পারুলিয়া চরের কৃষক একাব্বর হোসেন জানান, এই অঞ্চলে আগাম জাতের ধান আবাদ করে দিন দিন মঙ্গা কমে যাচ্ছে। ধানের ফলন ও দাম দুটোই ভালো পাওয়া যাচ্ছে। ধান ৮০০ থেকে ৯০০টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে। একই এলাকার কৃষক মমিনুর রহমান জানান, রোগ বালাই কম, একই জমিতে বছরে তিন থেকে চার ফসল আবাদ, ধানের দাম ও গো-খাদ্য হিসেবে খড়েরও দাম ভালো পাওয়ায় দিন দিন মানুষ আগাম জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

এ দিকে সিন্দুর্না চরের কৃষক এরশাদ হোসেন জানান, মঙ্গার দিনে এ ধানটি কৃষকের ঘরে আনন্দ বয়ে এনেছে। ধানের ফলনও ভালো। প্রতিবিঘা জমিতে ধান ফলেছে ১১ থেকে ১২ মণ। বাজারে দামও ভালো। প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা। এছাড়া গো খাদ্য হিসেবে খড়ের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতি বিঘা জমি থেকে খর বিক্রি করে পেয়েছি ২ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইখুল আরেফিন বলেন, দিন দিন কৃষক আগাম জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। আমরা আগাম জাতের ধান উৎপাদনে কৃষককে বিভিন্ন ভাবে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি। আগাম জাতের ধান চাষ হওয়ায় বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আগাম জাতের ধান বিঘা প্রতি ১৪ থেকে ১৫ মণ হয়। ৯০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে এই ধান কেটে ঘরে তোলা যায়।

ছবি

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হলো ‘এআই পার্টি ফোন’ রিয়েলমি ১৫ সিরিজ

ছবি

জরাজীর্ণ অবস্থায় পাথরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

ছবি

পোরশায় খাস পুকুরের দন্দে বৃদ্ধ নিহত

ছবি

ভালুকায় বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষে লাভবান কৃষক

ছবি

আখের রস বিক্রি করে সংসার চলে কাশেমের

ছবি

জীবনের বৈঠা হাতে লিয়াকত মাঝি পেট চলে না তবুও হাসি আছে মুখে

ছবি

মধুপুর গড় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জাতের প্রাকৃতিক বন আলু

ছবি

শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ালেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন

ছবি

খোকসায় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে কৃষকের মৃত্যু

ছবি

দুর্গাপুরে প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু দোষীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

ছবি

নাটোরে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক ৭

ছবি

বেতাগী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পিন্টু গ্রেপ্তার

ছবি

বিরামপুরে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল অটোচালকের

ছবি

সুন্দরগঞ্জে কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

ছবি

সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে হত্যার চেষ্টা, এলাকাবাসির মানববন্ধন

ছবি

মোরেলগঞ্জে ২১শ’ জেলে পরিবার পাচ্ছেন মানবিক সহায়তা

ছবি

সাটুরিয়া উপজেলায় এলজিইডির কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

ব্রহ্মপুত্রের চর জুড়ে কাশফুল ইকো ট্যুরিজমের নতুন দিগন্ত

ছবি

অ্যানথ্রাক্সের রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে বাকৃবির গবেষকরা

ছবি

দশমিনায় সড়কের পাশে শীতকালীন সবজির আবাদ, লাভবান কৃষক

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার প্রতিযোগিতায় অসাধু জেলেরা

ছবি

পোরশায় প্রায় রাতেই হচ্ছে ডাকাতি, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ছবি

ডিমলা হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ফ্যান দিলেন ইউএনও

চুনারুঘাটে ভারতে প্রবেশের সময় যুবক আটক

ছবি

নড়াইলে আ’লীগ নেতা মুক্তির জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

ছবি

কলমাকান্দায় সাপের কামড়ে প্রাণ গেল শিশুর

ছবি

ভারতে ৩ বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

লক্ষ্মীপুরে বাস কাউন্টার দখল নিয়ে যুবদলের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ২০

ছবি

বোয়ালখালীতে পুলিশ পরিচয়ে দুই বসতঘরে ডাকাতি

ছবি

দেবিদ্বারে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল ৭১ রাউন্ড গুলি

ছবি

লালপুরে খেজুর গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত গাছিরা

ছবি

শৈলকুপায় জমি অধিগ্রহণে ভিটেমাটি হারানোর শঙ্কায় নাসিমা খাতুন

ছবি

সংবাদ প্রকাশের পর চান্দিনা পৌর ভবনের নির্মাণাধীন এসএস গেইট ও গ্রিল অপসারণ

ছবি

উলিপুরে ৬১৪ বস্তা নকল টিএসপি সার ধ্বংস

ছবি

বরুড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ

ছবি

সৈয়দপুরে ছয় শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

tab

আগাম ধানে কৃষকের মুখে হাসি

প্রতিনিধি, লালমনিরহাট

লালমনিরহাট: পাকা ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক -সংবাদ

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

এক সময় উত্তরাঞ্চলের মানুষদের মঙ্গা এলাকার মানুষ বলা হতো। আশ্বিন ও কার্ত্তিক মাসে মানুষের তেমন কোনো কাজ কর্ম ছিল না। ফলে বাড়িতে বসে অলস সময় পার কারতো শ্রমজীবী এসব মানুষ। আশ্বিন ও কার্ত্তিক মাসে মানুষের যে অভাব অনটন ছিল তাকে বলা হতো মঙ্গা। তবে এখন আর আগের মতো এই অঞ্চলে মঙ্গা নামে সেই শব্দটি নেই। কালের বিবর্তন ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় দিন দিন তা বদলে গেছে। এখন আর আগের মতো আশ্বিন-কার্ত্তিক মাসে অলস সময় কাটাতে হয় না। এখন কাজ করার জন্যই বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তাদের। উত্তর জনপদের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট। পশ্চিমে তিস্তা নদী আর পূর্বে ভারতীয় সীমান্তের মাঝখানে অবস্থিত লালমনিরহাট জেলা। আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি থেকে এ জেলায় কাটা শুরু হয়েছে আগাম জাতের পাকা ধান।

আর সেই আগাম জাতের নতুন পাকা ধান কেটে ঘরে তুলছে কৃষক। এতে করে কৃষকের মঙ্গাও কাটছে আর মুখে ফুটছে হাঁসি। মঙ্গা পেটানো আগাম জাতের এ ধান কৃষকের ঘরে ঘরে অগ্রহায়ন না আসতেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দিয়েছে। আশ্বিন-কার্তিকেই যেন নবান্নের সাড়া পড়েছে কৃষকের ঘরে ঘরে। ধান কাটার পর আবার সেই জমিতে আলু, শাক, সবজি আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে এই অঞ্চলের কৃষকরা। রোগ বালাই কম, একই জমিতে বছরে তিন থেকে চার ফসল আবাদ, ধানের দাম ও গো-খাদ্য হিসেবে খড়েরও দাম ভালো পাওয়ায় দিন দিন আগাম জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষক।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা যায় ধান ক্ষেতের মাঝে উঁকি দিচ্ছে আগাম জাতের সোনালি ধান। আর সেই ধান কাটতে ও মাড়াই করতে ব্যস্ত সময় পার করছে এই অঞ্চলের অলস সময় পার করা কৃষকরা। যাদের আবার ধান কাটা ও মাড়াই করা হয়েছে। তারা জমি চাষ করে নতুন ফসলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জানা গেছে, আষাঢ় মাসের শুরুতেই অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে এ জাতের ধানের চারা লাগানো হয়। চারার বয়স ২৫দিন হলে তারপর জমিতে রোপন করা হয়। জমিতে রোপনের ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে ধান পাকা শুরু হয়। আর সেই ধান ৯০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে কেটে ঘরে তোলা হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট এর উদ্ভাবিত আগাম জাতের ধানগুলো হলো, বিনা-৭, ব্রী ৩৩, ব্রী ৫৬, ব্রী ৬২, পূর্বাচী ও হাইব্রীড। আর এই ধানগুলো চাষাবাদের জন্য কৃষককে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে লালমনিরহাটের বেসরকারি সংস্থা নজীর।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারে এ জেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৬ হাজার ৪শত ৯৫ হেক্টর জমি। আর অর্জিত হয়েছে ৮৮ হাজার ৫শত ১০ হেক্টর জমি। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। তবে গত বছর অর্জিত হয়েছে ৮৪ হাজার ৫শত ৮৫ হেক্টর জমি। এ বছর আগাম জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়েছে, ১ হাজার ২৮ হেক্টর জমিতে।

হাতীবান্ধা উপজেলার আরাজী শেখ সুন্দর গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি গত বছর ২ বিঘাতে আগাম জাতের ধান আবাদ করেছিলাম। ফলন ভালো পাওয়ায় এ বছর ৭ বিঘা জমিতে আগাম জাতের ধান আবাদ করেছি। এর মধ্যে ৮০ শতক জমির ধান ইতিমধ্যে কাটা শেষ হয়ে গেছে। ৮০ শতক জমির ধান হয়েছে ৩৭ মণ।

জেলার পারুলিয়া চরের কৃষক একাব্বর হোসেন জানান, এই অঞ্চলে আগাম জাতের ধান আবাদ করে দিন দিন মঙ্গা কমে যাচ্ছে। ধানের ফলন ও দাম দুটোই ভালো পাওয়া যাচ্ছে। ধান ৮০০ থেকে ৯০০টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে। একই এলাকার কৃষক মমিনুর রহমান জানান, রোগ বালাই কম, একই জমিতে বছরে তিন থেকে চার ফসল আবাদ, ধানের দাম ও গো-খাদ্য হিসেবে খড়েরও দাম ভালো পাওয়ায় দিন দিন মানুষ আগাম জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

এ দিকে সিন্দুর্না চরের কৃষক এরশাদ হোসেন জানান, মঙ্গার দিনে এ ধানটি কৃষকের ঘরে আনন্দ বয়ে এনেছে। ধানের ফলনও ভালো। প্রতিবিঘা জমিতে ধান ফলেছে ১১ থেকে ১২ মণ। বাজারে দামও ভালো। প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা। এছাড়া গো খাদ্য হিসেবে খড়ের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতি বিঘা জমি থেকে খর বিক্রি করে পেয়েছি ২ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইখুল আরেফিন বলেন, দিন দিন কৃষক আগাম জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। আমরা আগাম জাতের ধান উৎপাদনে কৃষককে বিভিন্ন ভাবে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি। আগাম জাতের ধান চাষ হওয়ায় বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আগাম জাতের ধান বিঘা প্রতি ১৪ থেকে ১৫ মণ হয়। ৯০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে এই ধান কেটে ঘরে তোলা যায়।

back to top