সিরাজগঞ্জ : নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় যমুনা নদী থেকে অবৈধ জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় -সংবাদ
প্রজননের মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যমুনা নদীতে এক শ্রেণির অসাধু জেলেরা ইলিশ ধরে চলেছে। তারা প্রশাসনের চক্ষু ফাঁকি দিয়ে যমুনা নদীতে ডিমওয়ালা ইলিশ নিধন অব্যাহত রেখেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে জেলেদের ইলিশ ধরা এখন এক ধরনের প্রতিযোগিতায় রুপ নিয়েছে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরা জেলেদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের ৯টি উপেজলার মধ্যে কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলা হচ্ছে যমুনা নদী। এসব উপজেলার চর ও নদী পারের মানুষগুলোর কৃষির পরেই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে।
বর্ষা মৌসুমে যমুনার চর এলাকার অধিকাংশ অভাবী পরিবারের প্রধান পেশা মাছ শিকার। এখানে ইলিশ, ঘাইড়া, আইড়, বাতাসি, চাপিলাসহ নদীর অন্যান্য সুস্বাদু মাছ ধরতে তাদের ঘের, জাল ও নিষিদ্ধ ক্যারেন্ট জালই হচ্ছে প্রধান উপকরণ। এসব জেলেরা তাদের ছোট-বড় ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে দিন-রাত মাছ আহরণের কাজ করছে। প্রতি বছরের মত ইলিশের বংশ বিস্তারে গত ৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়কালীন আহরণ, মজুদ, পরিবহন ও বিক্রি নিষিদ্ধ।
তবে এ মৌসুমে জেলার অন্য এলাকার চেয়ে কাজিপুর, বেলাকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা জুড়ে ব্যাপকভাবে এই মাছের বিস্তার হওয়ায় অন্যান্য বছরের মত নিষেধাজ্ঞার মৌসুমে জেলেরা কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে অবৈধ ক্যারেন্ট জাল দিয়ে দিন-রাত ইলিশ নিধনে ব্যস্তসময় পার করছে। এজন্য কৌশলে ক্যারেন্ট জাল ও নৌকা তৈরী করে যমুনায় নেমেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যমুনা নদীর কাজিপুর, বেলাকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায নদীজুড়ে অবাধে জুড়ে দেয়া হয়েছে ক্যারেন্ট জাল। নৌকা করে প্রতিটি জেলে জাল ফেলছে ও ফাঁদে আটকানো অসংখ্য মা ইলিশ ছাড়াচ্ছে জেলেরা। অপরিচিত নৌকা দেখলেই জাল-দড়ি রেখেই পালায় তারা।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের হোসেন আলী জানান, আমরা অভাবী মানুষ। বছরের এই সময়টার জন্যই অপেক্ষা করি। এখন মাছ যদি না ধরি, তা চলে যাবে। তাই পেটের তাগিদেই এই সময়টা কাজে লাগাই। যতই অভিযান চলুক উপায় নেই বলেও জানান তারা।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এসময় সারা দেশে মা ইলিশ ধরা, আহরণ, মজুদ, পরিবহন ও বিক্রি নিষিদ্ধ। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ১৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩২.৮৭৪ মিটার জাল আটক ও ধ্বংস করা হয়েছে। মামলা করা হয়েছে ৩৬টি এবং জরিমানা করা হয়েছে ৩,৬৩০০০ টাকা। এ পর্যন্ত ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেলা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অবৈধ চায়না ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এগুলো নদীর জীববৈচিত্রে জন্য ক্ষতিকর। মা ইলিশ রক্ষা ও দেশিয় মাছের প্রজনন নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট ও নিয়মিত অভিযান অব্যহত থাকবে।
সিরাজগঞ্জ : নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় যমুনা নদী থেকে অবৈধ জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
প্রজননের মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যমুনা নদীতে এক শ্রেণির অসাধু জেলেরা ইলিশ ধরে চলেছে। তারা প্রশাসনের চক্ষু ফাঁকি দিয়ে যমুনা নদীতে ডিমওয়ালা ইলিশ নিধন অব্যাহত রেখেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে জেলেদের ইলিশ ধরা এখন এক ধরনের প্রতিযোগিতায় রুপ নিয়েছে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরা জেলেদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের ৯টি উপেজলার মধ্যে কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলা হচ্ছে যমুনা নদী। এসব উপজেলার চর ও নদী পারের মানুষগুলোর কৃষির পরেই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে।
বর্ষা মৌসুমে যমুনার চর এলাকার অধিকাংশ অভাবী পরিবারের প্রধান পেশা মাছ শিকার। এখানে ইলিশ, ঘাইড়া, আইড়, বাতাসি, চাপিলাসহ নদীর অন্যান্য সুস্বাদু মাছ ধরতে তাদের ঘের, জাল ও নিষিদ্ধ ক্যারেন্ট জালই হচ্ছে প্রধান উপকরণ। এসব জেলেরা তাদের ছোট-বড় ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে দিন-রাত মাছ আহরণের কাজ করছে। প্রতি বছরের মত ইলিশের বংশ বিস্তারে গত ৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়কালীন আহরণ, মজুদ, পরিবহন ও বিক্রি নিষিদ্ধ।
তবে এ মৌসুমে জেলার অন্য এলাকার চেয়ে কাজিপুর, বেলাকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা জুড়ে ব্যাপকভাবে এই মাছের বিস্তার হওয়ায় অন্যান্য বছরের মত নিষেধাজ্ঞার মৌসুমে জেলেরা কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে অবৈধ ক্যারেন্ট জাল দিয়ে দিন-রাত ইলিশ নিধনে ব্যস্তসময় পার করছে। এজন্য কৌশলে ক্যারেন্ট জাল ও নৌকা তৈরী করে যমুনায় নেমেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যমুনা নদীর কাজিপুর, বেলাকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায নদীজুড়ে অবাধে জুড়ে দেয়া হয়েছে ক্যারেন্ট জাল। নৌকা করে প্রতিটি জেলে জাল ফেলছে ও ফাঁদে আটকানো অসংখ্য মা ইলিশ ছাড়াচ্ছে জেলেরা। অপরিচিত নৌকা দেখলেই জাল-দড়ি রেখেই পালায় তারা।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের হোসেন আলী জানান, আমরা অভাবী মানুষ। বছরের এই সময়টার জন্যই অপেক্ষা করি। এখন মাছ যদি না ধরি, তা চলে যাবে। তাই পেটের তাগিদেই এই সময়টা কাজে লাগাই। যতই অভিযান চলুক উপায় নেই বলেও জানান তারা।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এসময় সারা দেশে মা ইলিশ ধরা, আহরণ, মজুদ, পরিবহন ও বিক্রি নিষিদ্ধ। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ১৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩২.৮৭৪ মিটার জাল আটক ও ধ্বংস করা হয়েছে। মামলা করা হয়েছে ৩৬টি এবং জরিমানা করা হয়েছে ৩,৬৩০০০ টাকা। এ পর্যন্ত ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেলা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অবৈধ চায়না ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এগুলো নদীর জীববৈচিত্রে জন্য ক্ষতিকর। মা ইলিশ রক্ষা ও দেশিয় মাছের প্রজনন নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট ও নিয়মিত অভিযান অব্যহত থাকবে।