গাইবান্ধা : ব্রহ্মপুত্রের বুকে সাদা কাশফুলের মেলা -সংবাদ
ব্রহ্মপুত্রের বিশাল বুকে সাদা কাশফুলের দোল, চোখ জুড়িয়ে দেওয়া এক অপার সৌন্দর্য। গাইবান্ধার ফুলছড়ির এই চর এখন যেন রূপকথার রাজ্য। নদীর বালুচরে সারিসারি কাশফুলে ঢেকে গেছে চারদিক, যেন প্রকৃতি নিজ হাতে বুনেছে শুভ্রতার এক চাদর। বাতাসে দুলছে কাশফুলের কোমল শাখা, চারপাশে নরম রোদ, পাখির কলতান আর নদীর কলকল ধ্বনি, সব মিলিয়ে যেন প্রকৃতির এক নিখুঁত আঁকা আল্পনা, যেখানে নদী, ফুল আর আকাশ মিলে রচনা করেছে এক অপার প্রশান্তির ছবি। প্রতি বছর শরতের আগমনে কাশফুলে ভরে ওঠে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই জনপদ, যা এখন ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্যে।
প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের। কেউ পরিবার নিয়ে আসছেন, কেউ বন্ধুদের সঙ্গে মেতে উঠছেন প্রকৃতির উৎসবে। কেউ আবার কাশবনের ভেতর দিয়ে হেঁটে খুঁজছেন প্রশান্তি, কেউবা ক্যামেরায় বন্দি করছেন জীবনের রঙিন মুহূর্ত। স্থানীয়রা বলছেন, এই কয়েক সপ্তাহই যেন তাদের জীবনের সবচেয়ে ব্যস্ত ও আনন্দের সময়। উজালডাংগা চরের আব্দুর রাজ্জাক মিয়া জানান, বালুর চরে গজানো কাশফুল চরের সৌন্দর্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। চরের এখন দেশ বিদেশের মানুষ আসছে যা ভালো লাগার বিষয়। স্থানীয় নৌকা চালক জানান সাদ্দাম হোসেন বলেন, দর্শনার্থীদের কারনে চরের জনসমাগম অনেক বেড়েছে। আগে শুধু কৃষিকাজ করতাম। এখন মানুষ ঘুরতে আসে, আমরা নৌকা দিয়ে সহযোগিতা করি আয়ও বাড়ছে, ভালোও লাগে।
সূর্যের আলোয় ঝিলমিল করছে নদীর পানি, শিশুরা খেলছে, পাখি উড়ছে। ব্রহ্মপুত্রের এই চরভূমি শুধু প্রকৃতির নয়-এখানে লুকিয়ে আছে সম্ভাবনার বিশাল ভা-ার। দেশি পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশী পর্যটকেরও দেখা মিলছে এখানে। সৌদি প্রবাসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, পরিবার পরিজন নিয়ে চরে এসেছি, বেশ ভালো সময় কাটছে।
আলোকচিত্রী কুদ্দুস আলম জানান, চরের কাশবনের ছবি ক্যামেরায় ধারণ করে তা পত্র-পত্রিকা কিংবা স্যোলাল মিডিয়ায় প্রচার করলেও এলাকার সুনাম ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
গণউন্নয়ন কেন্দ্র এর নির্বাহী প্রধান ও নদী ও চর গবেষক এম.আবদুস্্ সালাম জানান, কাশবন, নদী, পাখি আর নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে ঘিরে এখানে গড়ে উঠতে পারে টেকসই ইকো ট্যুরিজম জোন। যদি পরিকল্পিতভাবে এই অঞ্চলকে ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে স্থানীয়দের জীবিকা যেমন সমৃদ্ধ হবে, তেমনি সংরক্ষিত থাকবে।
গাইবান্ধা পুরাতন ফুলছড়ি বাজার কিংবা বালাসীঘাট হয়ে কাশফুলের চরে যাওয়া যায়। ব্রহ্মপুত্রের গুপ্তমনি, রসুলপুর, উজালডাংগা, হারুডাংগা ও কুজখালী চরের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকার বিস্তৃর্ণ এলাকাতেই কাশবন। দু’ঘন্টা ভ্রমণ করলেও কাশফুল দেখা শেষ হবে না। এখানে শুধু কাশফুলের শুভ্রতা শুধু চেুাখে নয়, ছুঁয়ে যায় হৃদয়ও। ব্রহ্মপুত্রের বুকে ফুটে থাকা এই সাদা ফুল আর নদীর আকা নান্দনিক যেন জানিয়ে দেয় প্রকৃতিই আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। যদি এই প্রকৃতি আমরা ভালোবাসি, সংরক্ষণ করি—তবেই এই সৌন্দর্য টিকে থাকবে আগামী প্রজন্মের জন্যও।
গাইবান্ধা : ব্রহ্মপুত্রের বুকে সাদা কাশফুলের মেলা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
ব্রহ্মপুত্রের বিশাল বুকে সাদা কাশফুলের দোল, চোখ জুড়িয়ে দেওয়া এক অপার সৌন্দর্য। গাইবান্ধার ফুলছড়ির এই চর এখন যেন রূপকথার রাজ্য। নদীর বালুচরে সারিসারি কাশফুলে ঢেকে গেছে চারদিক, যেন প্রকৃতি নিজ হাতে বুনেছে শুভ্রতার এক চাদর। বাতাসে দুলছে কাশফুলের কোমল শাখা, চারপাশে নরম রোদ, পাখির কলতান আর নদীর কলকল ধ্বনি, সব মিলিয়ে যেন প্রকৃতির এক নিখুঁত আঁকা আল্পনা, যেখানে নদী, ফুল আর আকাশ মিলে রচনা করেছে এক অপার প্রশান্তির ছবি। প্রতি বছর শরতের আগমনে কাশফুলে ভরে ওঠে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই জনপদ, যা এখন ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্যে।
প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের। কেউ পরিবার নিয়ে আসছেন, কেউ বন্ধুদের সঙ্গে মেতে উঠছেন প্রকৃতির উৎসবে। কেউ আবার কাশবনের ভেতর দিয়ে হেঁটে খুঁজছেন প্রশান্তি, কেউবা ক্যামেরায় বন্দি করছেন জীবনের রঙিন মুহূর্ত। স্থানীয়রা বলছেন, এই কয়েক সপ্তাহই যেন তাদের জীবনের সবচেয়ে ব্যস্ত ও আনন্দের সময়। উজালডাংগা চরের আব্দুর রাজ্জাক মিয়া জানান, বালুর চরে গজানো কাশফুল চরের সৌন্দর্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। চরের এখন দেশ বিদেশের মানুষ আসছে যা ভালো লাগার বিষয়। স্থানীয় নৌকা চালক জানান সাদ্দাম হোসেন বলেন, দর্শনার্থীদের কারনে চরের জনসমাগম অনেক বেড়েছে। আগে শুধু কৃষিকাজ করতাম। এখন মানুষ ঘুরতে আসে, আমরা নৌকা দিয়ে সহযোগিতা করি আয়ও বাড়ছে, ভালোও লাগে।
সূর্যের আলোয় ঝিলমিল করছে নদীর পানি, শিশুরা খেলছে, পাখি উড়ছে। ব্রহ্মপুত্রের এই চরভূমি শুধু প্রকৃতির নয়-এখানে লুকিয়ে আছে সম্ভাবনার বিশাল ভা-ার। দেশি পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশী পর্যটকেরও দেখা মিলছে এখানে। সৌদি প্রবাসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, পরিবার পরিজন নিয়ে চরে এসেছি, বেশ ভালো সময় কাটছে।
আলোকচিত্রী কুদ্দুস আলম জানান, চরের কাশবনের ছবি ক্যামেরায় ধারণ করে তা পত্র-পত্রিকা কিংবা স্যোলাল মিডিয়ায় প্রচার করলেও এলাকার সুনাম ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
গণউন্নয়ন কেন্দ্র এর নির্বাহী প্রধান ও নদী ও চর গবেষক এম.আবদুস্্ সালাম জানান, কাশবন, নদী, পাখি আর নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে ঘিরে এখানে গড়ে উঠতে পারে টেকসই ইকো ট্যুরিজম জোন। যদি পরিকল্পিতভাবে এই অঞ্চলকে ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে স্থানীয়দের জীবিকা যেমন সমৃদ্ধ হবে, তেমনি সংরক্ষিত থাকবে।
গাইবান্ধা পুরাতন ফুলছড়ি বাজার কিংবা বালাসীঘাট হয়ে কাশফুলের চরে যাওয়া যায়। ব্রহ্মপুত্রের গুপ্তমনি, রসুলপুর, উজালডাংগা, হারুডাংগা ও কুজখালী চরের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকার বিস্তৃর্ণ এলাকাতেই কাশবন। দু’ঘন্টা ভ্রমণ করলেও কাশফুল দেখা শেষ হবে না। এখানে শুধু কাশফুলের শুভ্রতা শুধু চেুাখে নয়, ছুঁয়ে যায় হৃদয়ও। ব্রহ্মপুত্রের বুকে ফুটে থাকা এই সাদা ফুল আর নদীর আকা নান্দনিক যেন জানিয়ে দেয় প্রকৃতিই আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। যদি এই প্রকৃতি আমরা ভালোবাসি, সংরক্ষণ করি—তবেই এই সৌন্দর্য টিকে থাকবে আগামী প্রজন্মের জন্যও।