গেন্ডারির আখের রস দশ টাকা গ্রাস। জান প্রাণ ঠান্ডা করে আখের রস। এই ভাবে ডাক হাক দিয়ে আখের রস বিক্রি করে সংসার চালায় কাশেম নামের এক উঠতি বয়সে ছেলে। বয়স তার ১৮ পেরিয়েছে। সংসারের আভাব দুর করতে শক্ত হাতে ধরেছে আখের রস বিক্রির ব্যবসা। দশ টাকার আখের রসের প্রতি ফোঁটায় সংসার চলে বাবা মায়ের । কাশেম এখন রস বিক্রির সবার কাছে পরিচিত মুখ।
কাশেম নামের উঠতি বয়সের ছেলেটি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। সে বলে, অভাবের তাড়নায় কোন রকম অক্ষর নিয়ে সংসারের হাল ধরতে মাঠে নেমেই সংসারের যাবতীয় ভরন-পোষণ করছে আখের রস বিক্রির টাকাতেই।কৃষক পরিবারের ছেলে বাপের জমি-জায়গা নেই। অন্যের জমিতে কামলা খাটতেন। জীবনের অনেকগুলো বছর পার হয়ে গেছে তার। মাঠের পরিশ্রম শরীরে আর সয়না। তাই মাঠের কাজ ছেড়ে পরিবারের মুখের আহার যোগাড় করতে বেছে নেয় এই আখের রস বিক্রি করার কাজ। পরিশ্রম কম, আবার কামলা খাটার চেয়েও অনেক বেশি আয়। এখন এটাকে পেশা হিসেবেই বেছে নিয়ে রোজ রস বিক্রিতে তাই বেশী মনোযোগী। উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রামে এখন গেন্ডারির চাষ হচ্ছে। সারা বছর এখানে গেন্ডারি জাতের আখ পাওয়া যাই। এলাকার উৎপাদিত কখনো পিচ হিসেবে কখনো মণহিসেবে কিনে নেয়। কার্পাসডাঙ্গার থানা বট তলায় ফুটপথের পাশে দাঁড়িয়ে মেশিনে পেড়ে আখের রস বের করে প্রতি গ্লাস ১০ টাকা বিক্রি করি। সারা বছরই আখ পাওয়া যায়। সারা বছরই দশ টাকায় রস বিক্রি করি। তবে চৈত্র-বৈশাখ মাসে রসের চাহিদা বেশি থাকে। রমজান মাসে রোজাদারদের কাছে এ রসের চাহিদা থাকে খুবই বেশি। ব্যবসা শুরু প্রথম দিকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে ।
মাড়াই মেশিন হাতে ঘুরিয়ে আখ থেকে রস বের করতে কষ্ট হতো। সেদিন ফুরিয়েছে। এখন শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ভ্যান নিয়েছেন। ভ্যানেই সেট করেছি আখ মাড়াই মেশিন। ইঞ্জিন চালিত ভ্যানে আখ, বালতি ভর্তি পানি, প্লাস্টিকের কয়েকটি টুল সহ আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্র নিয়ে রস বিক্রি করি প্রতিদিন। সে মনে করে এ কাজটি তাকে স্বাবলম্বী করবে এই আশায় তার প্রতিদিনের পথ চলা। হাফিজুর , মনি , সামাদ নামের একাধিক ব্যক্তি বলেন , প্রচন্ড গরমে মনে প্রাণে প্রশান্তি আনতে ও পিপাসা দূর করতে গরমে শরীরকে সতেজ রাখতে প্রায় তার কাছ থেকে রস থেতে ছুটে আসি। সে একজন সহজ সরল প্রকৃতির ছেলে। খুব সহজে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আখ মাড়াই করে সবাই কে রস সরবরাহ করে। প্রায় এখানে সারা বছর আখের রস পাওয়া যায়। দামেও সস্তা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কের্ন্দের ইউনানি ডা: সোহরাব হোসেন বলেন, আখের রসে প্রাকৃতিক র্শকরা, জল, এবং ইলেক্ট্রোলাইট থাকে, যা গরমে শরীরকে সতেজ রাখতে এবং ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে ও মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়ক। তবে, এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও ক্যালোরি থাকায় অতিরিক্ত সেবনে রক্তে শর্করা বাড়তে পারে এবং ওজন বৃদ্ধিতেও কারণ হতে পারে, তাই সীমিত পরিমাণে পান করা উচিত।
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
গেন্ডারির আখের রস দশ টাকা গ্রাস। জান প্রাণ ঠান্ডা করে আখের রস। এই ভাবে ডাক হাক দিয়ে আখের রস বিক্রি করে সংসার চালায় কাশেম নামের এক উঠতি বয়সে ছেলে। বয়স তার ১৮ পেরিয়েছে। সংসারের আভাব দুর করতে শক্ত হাতে ধরেছে আখের রস বিক্রির ব্যবসা। দশ টাকার আখের রসের প্রতি ফোঁটায় সংসার চলে বাবা মায়ের । কাশেম এখন রস বিক্রির সবার কাছে পরিচিত মুখ।
কাশেম নামের উঠতি বয়সের ছেলেটি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। সে বলে, অভাবের তাড়নায় কোন রকম অক্ষর নিয়ে সংসারের হাল ধরতে মাঠে নেমেই সংসারের যাবতীয় ভরন-পোষণ করছে আখের রস বিক্রির টাকাতেই।কৃষক পরিবারের ছেলে বাপের জমি-জায়গা নেই। অন্যের জমিতে কামলা খাটতেন। জীবনের অনেকগুলো বছর পার হয়ে গেছে তার। মাঠের পরিশ্রম শরীরে আর সয়না। তাই মাঠের কাজ ছেড়ে পরিবারের মুখের আহার যোগাড় করতে বেছে নেয় এই আখের রস বিক্রি করার কাজ। পরিশ্রম কম, আবার কামলা খাটার চেয়েও অনেক বেশি আয়। এখন এটাকে পেশা হিসেবেই বেছে নিয়ে রোজ রস বিক্রিতে তাই বেশী মনোযোগী। উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রামে এখন গেন্ডারির চাষ হচ্ছে। সারা বছর এখানে গেন্ডারি জাতের আখ পাওয়া যাই। এলাকার উৎপাদিত কখনো পিচ হিসেবে কখনো মণহিসেবে কিনে নেয়। কার্পাসডাঙ্গার থানা বট তলায় ফুটপথের পাশে দাঁড়িয়ে মেশিনে পেড়ে আখের রস বের করে প্রতি গ্লাস ১০ টাকা বিক্রি করি। সারা বছরই আখ পাওয়া যায়। সারা বছরই দশ টাকায় রস বিক্রি করি। তবে চৈত্র-বৈশাখ মাসে রসের চাহিদা বেশি থাকে। রমজান মাসে রোজাদারদের কাছে এ রসের চাহিদা থাকে খুবই বেশি। ব্যবসা শুরু প্রথম দিকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে ।
মাড়াই মেশিন হাতে ঘুরিয়ে আখ থেকে রস বের করতে কষ্ট হতো। সেদিন ফুরিয়েছে। এখন শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ভ্যান নিয়েছেন। ভ্যানেই সেট করেছি আখ মাড়াই মেশিন। ইঞ্জিন চালিত ভ্যানে আখ, বালতি ভর্তি পানি, প্লাস্টিকের কয়েকটি টুল সহ আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্র নিয়ে রস বিক্রি করি প্রতিদিন। সে মনে করে এ কাজটি তাকে স্বাবলম্বী করবে এই আশায় তার প্রতিদিনের পথ চলা। হাফিজুর , মনি , সামাদ নামের একাধিক ব্যক্তি বলেন , প্রচন্ড গরমে মনে প্রাণে প্রশান্তি আনতে ও পিপাসা দূর করতে গরমে শরীরকে সতেজ রাখতে প্রায় তার কাছ থেকে রস থেতে ছুটে আসি। সে একজন সহজ সরল প্রকৃতির ছেলে। খুব সহজে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আখ মাড়াই করে সবাই কে রস সরবরাহ করে। প্রায় এখানে সারা বছর আখের রস পাওয়া যায়। দামেও সস্তা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কের্ন্দের ইউনানি ডা: সোহরাব হোসেন বলেন, আখের রসে প্রাকৃতিক র্শকরা, জল, এবং ইলেক্ট্রোলাইট থাকে, যা গরমে শরীরকে সতেজ রাখতে এবং ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে ও মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়ক। তবে, এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও ক্যালোরি থাকায় অতিরিক্ত সেবনে রক্তে শর্করা বাড়তে পারে এবং ওজন বৃদ্ধিতেও কারণ হতে পারে, তাই সীমিত পরিমাণে পান করা উচিত।