রাজধানীর কলাবাগানে এক নারীকে হত্যার পর লাশ বাসার ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে করা মামলায় নিহতের স্বামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সাদেকুর রহমান আসামির জবানবন্দি রেকর্ডে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই কামাল হোসেন।
এর আগে গত সোমবার রাতে কলাবাগান এলাকায় একটি বাসার ফ্রিজারের ভেতর থেকে ৪২ বছর বয়সী তাসলিমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে তাসলিমার স্বামী নজরুল ইসলাম পলাতক ছিলেন। এ ঘটনায় নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন তাসলিমার ছোট ভাই নাঈম হোসেন। গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে বংশালের নবাবপুর রোড ক্রসিং এলাকা থেকে নজরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গতকাল বুধবার নজরুলকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার এসআই আতিকুর রহমান। পরে নজরুল স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি তাসলিমাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং হত্যাকা-ে ব্যবহৃত দাটি তার ভাড়া বাসায় লুকিয়ে রেখেছেন বলে স্বীকার করেন। পরে তাকে নিয়ে বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ওয়ারড্রপ থেকে দাটি উদ্ধার করা হয়।
এসআই কামাল হোসেন বলেন, নজরুল স্বেচ্ছায় আদালতে দোষ স্বীকার করতে আগ্রহী হন। পরে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালে পারিবারিকভাবে নজরুল ইসলামের সঙ্গে তাসলিমার বিয়ে হয়। তাদের তিন মেয়ে রয়েছে। পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে পারিবারিক কলহের কারণে তাসলিমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন নজরুল।
গত জুন থেকে নজরুল ঢাকায় তার বাসায় তাসলিমাকে বন্দী রেখে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ বাদীর। এমনকি তাসলিমা সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যদের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়। ২১ সেপ্টেম্বর তাসলিমার বাবার বাড়ি পূবাইলে গিয়ে স্ত্রীর উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি নিজের নামে লিখে দেয়ার জন্য চাপ দেন নজরুল।
এতে সম্মতি না পেয়ে নজরুল পরিবারসহ ঢাকায় ফিরে আসেন। পরে তাসলিমার সঙ্গে তার মেয়েদের কোনো প্রকার যোগাযোগ করতে দেননি নজরুল। পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে তাসলিমাকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দিতেন না নজরুল। এমনকি নজরুল ঘরের বাইরে গেলে দরজা লক করে যেতেন। গত রোববার রাত ১১টা থেকে সোমবার সকাল ৭টার মধ্যে যেকোনো সময় তাসলিমাকে খুন করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করেন বাদী।
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীর কলাবাগানে এক নারীকে হত্যার পর লাশ বাসার ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে করা মামলায় নিহতের স্বামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সাদেকুর রহমান আসামির জবানবন্দি রেকর্ডে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই কামাল হোসেন।
এর আগে গত সোমবার রাতে কলাবাগান এলাকায় একটি বাসার ফ্রিজারের ভেতর থেকে ৪২ বছর বয়সী তাসলিমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে তাসলিমার স্বামী নজরুল ইসলাম পলাতক ছিলেন। এ ঘটনায় নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন তাসলিমার ছোট ভাই নাঈম হোসেন। গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে বংশালের নবাবপুর রোড ক্রসিং এলাকা থেকে নজরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গতকাল বুধবার নজরুলকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার এসআই আতিকুর রহমান। পরে নজরুল স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি তাসলিমাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং হত্যাকা-ে ব্যবহৃত দাটি তার ভাড়া বাসায় লুকিয়ে রেখেছেন বলে স্বীকার করেন। পরে তাকে নিয়ে বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ওয়ারড্রপ থেকে দাটি উদ্ধার করা হয়।
এসআই কামাল হোসেন বলেন, নজরুল স্বেচ্ছায় আদালতে দোষ স্বীকার করতে আগ্রহী হন। পরে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালে পারিবারিকভাবে নজরুল ইসলামের সঙ্গে তাসলিমার বিয়ে হয়। তাদের তিন মেয়ে রয়েছে। পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে পারিবারিক কলহের কারণে তাসলিমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন নজরুল।
গত জুন থেকে নজরুল ঢাকায় তার বাসায় তাসলিমাকে বন্দী রেখে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ বাদীর। এমনকি তাসলিমা সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যদের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়। ২১ সেপ্টেম্বর তাসলিমার বাবার বাড়ি পূবাইলে গিয়ে স্ত্রীর উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি নিজের নামে লিখে দেয়ার জন্য চাপ দেন নজরুল।
এতে সম্মতি না পেয়ে নজরুল পরিবারসহ ঢাকায় ফিরে আসেন। পরে তাসলিমার সঙ্গে তার মেয়েদের কোনো প্রকার যোগাযোগ করতে দেননি নজরুল। পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে তাসলিমাকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দিতেন না নজরুল। এমনকি নজরুল ঘরের বাইরে গেলে দরজা লক করে যেতেন। গত রোববার রাত ১১টা থেকে সোমবার সকাল ৭টার মধ্যে যেকোনো সময় তাসলিমাকে খুন করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করেন বাদী।