alt

শার্শার ঠেঙামারী বিল

কচুরিপানায় ডুবে আছে হাজার হাজার বিঘা চাষের জমি

প্রতিনিধি, বেনাপোল (যশোর) : রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

যশোরের শার্শা উপজেলার ঠেঙামারী বিলে নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিলে কচুরিপানা ও জলাবদ্ধতার কারনে এবছরও হাজার হাজার বিঘা জমি পতিত থাকার আশংকা রয়েছে। এ কারণে বোরো ধান রোপন করা নিয়ে দু:চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

ঠেঙামারী বিলে এখন মাঠ ভর্তি কচুরিপানা। যা পরিস্কার করা দুরহ ব্যাপার। কৃষকদেরও মাথায় হাত। ইরি বোরো মৌসুম আগত। নভেম্বরের শেষের দিকে বীজতলা তৈরীর সময়। এখনো বিল ভর্তি পানি রয়েছে। কবে নামবে বিলের পানি কেউ জানে না। সেই সাথে মাঠ জুড়ে কচুরিপানা। জমিতে পা ফেলানোর জায়গা নেই। শার্শা সীমান্তের ভারতের ইছামতি নদীর পানি এখনো প্রবেশ করছে বিলে।

মাঠে কি ভাবে ধান চাষ করবে বোরো মৌসুমে এই চিন্তা কুরে কুরে খাচ্ছে চাষিদের। বিলে এখনো ৫ থেকে ৭ ফুট পানি জমে রয়েছে।

স্থানীয়রা কচুরিপানা পরিস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকাল থেকে তারা বিল পরিস্কার করার জন্য ভাড়ায় অন্য উপজেলার থেকে কচুরিপানা কাটার মেশিন এনেছেন। মেশিনের সাহায্যে কচুরিপানা কেটে জমি পরিস্কার করার চেষ্টা করছেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, এবছর বিলে এবং খালে যে পরিমান কচুরিপানা জমে রয়েছে তাতে বোরো ধান লাগানোর কোনো সম্ভাবনাই তারা দেখছেন না। কচুরিপানা পরিস্কার করতে অনেক টাকা ব্যয় হবে। কিন্তু এতো টাকা ব্যয় করে যদি সময় মত বিলের পানি না নামে। তা হলে সমস্ত টাকাটাই বিফলে যাবে।

স্থানীয় কৃষক নায়েব আলী জানিয়েছেন, মেশিনে এক বিঘা জমির কচুরিপানা পরিস্কার করতে সর্বনি¤œ ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ পড়বে। আর এই কচুরিপানা রাখতে দুই কাঠা জমি ফেলে রাখতে হবে।

কৃষক আব্দুস সাত্তার জানিয়েছেন, মাঠে কচুরিপানা পরিস্কার করা মেশিন আনা হয়েছে। যদি এতে খরচ কম হয় ও সহজে পঁচে নষ্ট হয় তা হলে তারা কচুরিপানা কাটা মেশিন দিয়ে জমি পরিস্কার করবেন। তিনি আরও বলেন, এতো কিছুর পরেও ধান না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

কয়েকজন কৃষক জানিয়েছেন, আমরা ঠেঙামারী বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই সমাধান চাই। শুনেছি সরকার খাল সংস্কার ও গেট নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছেন। যদি বাস্তবায়ন হয় তা হলে মাঠে ফসল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হোসেন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত এ সমস্যায় জর্জরিত। সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি। ভারতীয় ইছামতি নদীর পানি এসে মাঠের পাশাপাশি বাড়িঘর প্লাবিত হয়ে যায়। খালের পানি বের করার কোন ব্যবস্থা নেই। শুনেছি সরকারিভাবে খাল সংস্কার ও দাউদখালী খালমুখে বাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এলাকার সমস্যার সমাধান হবে কি না বলা যাচ্ছে না।

একই কথা জানান শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের সমস্যা এটা। বছরের বেশির ভাগ সময় ভারতীয় পানিতে খালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কয়েকবার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাল সংস্কার ও দাউদখালী খালমুখে বাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এলাকার সমস্যা কিছুটা লাঘব হবে বলে তিনি জানান।

কাদিরদী বাজারে অগ্নিকান্ডে ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই

সুনামগঞ্জে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবসে নারী সমাবেশ ও পিঠা উৎসব

যাদের হাতে উঠলো এবারের সিজেএফবি অ্যাওয়ার্ড

পুরস্কারের প্রলোভনে নিঃস্ব সাধারণ মানুষ

চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে

দোহার ইলিশ শিকারের অপরাধে ২১ জেলে আটক

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে গলায় ওড়না প্যাঁচানো যুবকের লাশ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর জেলের মরদেহ উদ্ধার

চাঁদপুরে দেশিয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার

কেশবপুরে জমি নিয়ে বিবাদে শিশুসহ আহত ৭

জয়পুরহাটে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত এক

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

বোয়ালখালীতে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন আড়াই লাখ টাকা ক্ষতি

মানিকগঞ্জের রাস্তার ধারে লক্ষ লক্ষ টাকার আঁখ বিক্রি

গারো সম্প্রদায়ের সংসারেক ঐতিহ্যের ওয়ান্না উৎসব

পবিপ্রবিতে ইউসিজি চেয়ারম্যানের মতবিনিময় ও ব্যামাগারের উদ্বোধন

ডিমলায় ভূমি অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী গাড়ির বাড়তি মাশুল স্থগিত

মহম্মদপুরের অধ্যক্ষ এস এম ইউনুচ আলী পেলেন গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স অনিয়ম দুর্নীতিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত

ঈদগাঁও উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে ৬ বালু মহাল জব্দ

ঝালকাঠিতে ঝুঁকির মধ্যে চলছে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা

ঘোড়াঘাটে বিপন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় প্রশাসনের অভিযানে জাল জব্দ

সলঙ্গায় ডোবা থেকে কঙ্কাল উদ্ধার

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষক নিহত

গোবিন্দগঞ্জে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত গুচ্ছগ্রাম এক রাতে উধাও

ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞায় দশমিনায় জেলে পরিবারগুলোতে দুর্দিন

ত্রিশালে খুচরা সার বিক্রেতাদের মানববন্ধন

সিরাজদিখানে গাছে ঝুলছে পল্লী বিদ্যুতের মিটার

পার্বতীপুরে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন, ভোগান্তিতে ৮০ হাজার গ্রাহক

১২ বছর ধরে শিকলবন্দী ভাইবোন এখন মুক্ত

কলমাকান্দায় গাঁজা গাছসহ একব্যক্তি আটক

হবিগঞ্জে টর্চ জ্বালিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত

শেরপুরে সিজারের পর প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতাল ঘেরাও

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ১৪ ভারতীয় জেলে আটক

নবীগঞ্জে মিষ্টির ওজন নিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষে আহত ৫০

tab

শার্শার ঠেঙামারী বিল

কচুরিপানায় ডুবে আছে হাজার হাজার বিঘা চাষের জমি

প্রতিনিধি, বেনাপোল (যশোর)

রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

যশোরের শার্শা উপজেলার ঠেঙামারী বিলে নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিলে কচুরিপানা ও জলাবদ্ধতার কারনে এবছরও হাজার হাজার বিঘা জমি পতিত থাকার আশংকা রয়েছে। এ কারণে বোরো ধান রোপন করা নিয়ে দু:চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

ঠেঙামারী বিলে এখন মাঠ ভর্তি কচুরিপানা। যা পরিস্কার করা দুরহ ব্যাপার। কৃষকদেরও মাথায় হাত। ইরি বোরো মৌসুম আগত। নভেম্বরের শেষের দিকে বীজতলা তৈরীর সময়। এখনো বিল ভর্তি পানি রয়েছে। কবে নামবে বিলের পানি কেউ জানে না। সেই সাথে মাঠ জুড়ে কচুরিপানা। জমিতে পা ফেলানোর জায়গা নেই। শার্শা সীমান্তের ভারতের ইছামতি নদীর পানি এখনো প্রবেশ করছে বিলে।

মাঠে কি ভাবে ধান চাষ করবে বোরো মৌসুমে এই চিন্তা কুরে কুরে খাচ্ছে চাষিদের। বিলে এখনো ৫ থেকে ৭ ফুট পানি জমে রয়েছে।

স্থানীয়রা কচুরিপানা পরিস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকাল থেকে তারা বিল পরিস্কার করার জন্য ভাড়ায় অন্য উপজেলার থেকে কচুরিপানা কাটার মেশিন এনেছেন। মেশিনের সাহায্যে কচুরিপানা কেটে জমি পরিস্কার করার চেষ্টা করছেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, এবছর বিলে এবং খালে যে পরিমান কচুরিপানা জমে রয়েছে তাতে বোরো ধান লাগানোর কোনো সম্ভাবনাই তারা দেখছেন না। কচুরিপানা পরিস্কার করতে অনেক টাকা ব্যয় হবে। কিন্তু এতো টাকা ব্যয় করে যদি সময় মত বিলের পানি না নামে। তা হলে সমস্ত টাকাটাই বিফলে যাবে।

স্থানীয় কৃষক নায়েব আলী জানিয়েছেন, মেশিনে এক বিঘা জমির কচুরিপানা পরিস্কার করতে সর্বনি¤œ ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ পড়বে। আর এই কচুরিপানা রাখতে দুই কাঠা জমি ফেলে রাখতে হবে।

কৃষক আব্দুস সাত্তার জানিয়েছেন, মাঠে কচুরিপানা পরিস্কার করা মেশিন আনা হয়েছে। যদি এতে খরচ কম হয় ও সহজে পঁচে নষ্ট হয় তা হলে তারা কচুরিপানা কাটা মেশিন দিয়ে জমি পরিস্কার করবেন। তিনি আরও বলেন, এতো কিছুর পরেও ধান না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

কয়েকজন কৃষক জানিয়েছেন, আমরা ঠেঙামারী বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই সমাধান চাই। শুনেছি সরকার খাল সংস্কার ও গেট নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছেন। যদি বাস্তবায়ন হয় তা হলে মাঠে ফসল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হোসেন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত এ সমস্যায় জর্জরিত। সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি। ভারতীয় ইছামতি নদীর পানি এসে মাঠের পাশাপাশি বাড়িঘর প্লাবিত হয়ে যায়। খালের পানি বের করার কোন ব্যবস্থা নেই। শুনেছি সরকারিভাবে খাল সংস্কার ও দাউদখালী খালমুখে বাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এলাকার সমস্যার সমাধান হবে কি না বলা যাচ্ছে না।

একই কথা জানান শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের সমস্যা এটা। বছরের বেশির ভাগ সময় ভারতীয় পানিতে খালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কয়েকবার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাল সংস্কার ও দাউদখালী খালমুখে বাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এলাকার সমস্যা কিছুটা লাঘব হবে বলে তিনি জানান।

back to top