শেরপুর শহরের নারায়ণপুর এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের পর আশা আক্তার (২৬) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতাল ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন।
মৃত আশা আক্তার সদর উপজেলার কুসুমহাটি এলাকার মো. জাহিদ হাসানের স্ত্রী এবং এক সন্তানের জননী ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, গত শুক্রবার আশা আক্তারকে প্রসবের জন্য শেরপুর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত শনিবার দুপুরে চিকিৎসক ডা. লুৎফর রহমানের তত্ত্বাবধানে এবং অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ জস মিয়ার সহায়তায় তার সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্ন হয়। অপারেশনের কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বজনদের জানায়, আশার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আশার ফুফু হালিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাতিজিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক অবহেলা করে মেরে ফেলেছে। সে সুস্থ অবস্থায় হেঁটে অপারেশন কক্ষে গিয়েছিল। তার বড় ভাই মো. অপূর্ব বলেন, আমার বোন পুরোপুরি সুস্থ ছিল। চিকিৎসায় অবহেলার কারণেই তাকে হারাতে হলো। আমরা এর বিচার চাই।
ঘটনার পর উত্তেজিত স্বজনরা হাসপাতাল ঘেরাও করলে কর্তৃপক্ষ কেচিগেইট তালাবদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাসরিন আক্তার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।
রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
শেরপুর শহরের নারায়ণপুর এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের পর আশা আক্তার (২৬) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতাল ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন।
মৃত আশা আক্তার সদর উপজেলার কুসুমহাটি এলাকার মো. জাহিদ হাসানের স্ত্রী এবং এক সন্তানের জননী ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, গত শুক্রবার আশা আক্তারকে প্রসবের জন্য শেরপুর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত শনিবার দুপুরে চিকিৎসক ডা. লুৎফর রহমানের তত্ত্বাবধানে এবং অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ জস মিয়ার সহায়তায় তার সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্ন হয়। অপারেশনের কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বজনদের জানায়, আশার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আশার ফুফু হালিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাতিজিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক অবহেলা করে মেরে ফেলেছে। সে সুস্থ অবস্থায় হেঁটে অপারেশন কক্ষে গিয়েছিল। তার বড় ভাই মো. অপূর্ব বলেন, আমার বোন পুরোপুরি সুস্থ ছিল। চিকিৎসায় অবহেলার কারণেই তাকে হারাতে হলো। আমরা এর বিচার চাই।
ঘটনার পর উত্তেজিত স্বজনরা হাসপাতাল ঘেরাও করলে কর্তৃপক্ষ কেচিগেইট তালাবদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাসরিন আক্তার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।