হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ি বাজারে মিষ্টির কার্টুনে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে বিরোধের জেরে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের ইমামবাড়ি বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বানিয়াচং উপজেলার সন্দলপুর গ্রামের আমির উদ্দিনের মালিকানাধীন নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ি বাজারের ‘ভাই ভাই হোটেল’ থেকে কালিয়ারভাঙ্গা গ্রামের সাদমান আহমেদ ইমন মিষ্টি ক্রয় করেন। মিষ্টির কার্টুনে অতিরিক্ত ওজন ধরা পড়লে ইমন বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। এতে হোটেল মালিক পক্ষ ও ইমন মিয়ার পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর উভয় পক্ষের মধ্যে স্থানীয়ভাবে আপস-মীমাংসার আয়োজন করা হয়। বৈঠকের আগেই উভয় পক্ষের সমর্থকরা বাজারে জড়ো হয়। একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটির জেরে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ না থাকায় ও অন্ধকার হওয়ায় টর্চ লাইট জ্বালিয়ে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল ও লাঠিসোটার সংঘর্ষ। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ইমামবাড়ি বাজারের সব দোকানপাট রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ সারাদিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকালে মাইকিং করে বিষয়টি সবাইকে জানানো হয়েছে। নবীগঞ্জ থানার (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয়দের ভাষায়‘রাতভর বাজারজুড়ে টর্চের আলো আর চিৎকারে আতঙ্কে কেঁপে উঠেছিল ইমামবাড়ি।’
রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ি বাজারে মিষ্টির কার্টুনে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে বিরোধের জেরে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের ইমামবাড়ি বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বানিয়াচং উপজেলার সন্দলপুর গ্রামের আমির উদ্দিনের মালিকানাধীন নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ি বাজারের ‘ভাই ভাই হোটেল’ থেকে কালিয়ারভাঙ্গা গ্রামের সাদমান আহমেদ ইমন মিষ্টি ক্রয় করেন। মিষ্টির কার্টুনে অতিরিক্ত ওজন ধরা পড়লে ইমন বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। এতে হোটেল মালিক পক্ষ ও ইমন মিয়ার পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর উভয় পক্ষের মধ্যে স্থানীয়ভাবে আপস-মীমাংসার আয়োজন করা হয়। বৈঠকের আগেই উভয় পক্ষের সমর্থকরা বাজারে জড়ো হয়। একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটির জেরে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ না থাকায় ও অন্ধকার হওয়ায় টর্চ লাইট জ্বালিয়ে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল ও লাঠিসোটার সংঘর্ষ। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ইমামবাড়ি বাজারের সব দোকানপাট রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ সারাদিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকালে মাইকিং করে বিষয়টি সবাইকে জানানো হয়েছে। নবীগঞ্জ থানার (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয়দের ভাষায়‘রাতভর বাজারজুড়ে টর্চের আলো আর চিৎকারে আতঙ্কে কেঁপে উঠেছিল ইমামবাড়ি।’