সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার চকনিহাল এলাকায় এক ডোবা থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পুরো ঘটনাটি ঘিরে দেখা দিয়েছে দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার অভিযোগ।
গতকাল শনিবার বিকালে স্থানীয়রা কচুরিপানার নিচে কঙ্কালের কিছু অংশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সলঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং দায়সারা ভাবে লাশবাহী গাড়ির চালক দুলালকে দিয়ে কয়েকটি হাড় উদ্ধার করায়।
পরে স্থানীয়রা কচুরিপানা সরিয়ে বাদবাকি ডোবার ভেতরে আরও অংশ খুজে বের করতে বললে পুলিশ স্থানীয়দের জানান পানিতে নামতে পারব না। আর পাওয়া যাবে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথমে কচুরিপানার নিচে দুটি পায়ের হাড় ও সার্টের কলার ও ছেরা প্যান্ট পাওয়া যায় এই কয়েকটি অংশ নিয়েই পুলিশ চলে যায়।
এরপর রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রহিমাবাদ গ্রামের আলতাফ হোসেনসহ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা কচুরিপানা সরিয়ে কোমরের উপরের অংশ ও মাথার খুলি উদ্ধার করেন। একই সঙ্গে ডোবার ভেতর থেকে পচে যাওয়া একটি শার্টের কলারও পাওয়া যায়।
উদ্ধার হওয়া পোশাকের অংশ দেখে স্থানীয়রা ধারনা করছেন, এটি গত ৯ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ থাকা সলঙ্গার অলিদহ দক্ষিণপাড়া গ্রামের অটোরিকশা চালক আমিনুল ইসলামের কঙ্কাল হতে পারে। পরে আমিনুলের মা উদ্ধারকৃত পোশাক দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন।
আইন অনুযায়ী, লাশ উদ্ধার ও স্থানান্তরের দায়িত্ব শুধুমাত্র পুলিশ সদস্যদের। সাধারণ মানুষ নিজেরা লাশ তোলা বা স্থানান্তর করা আইনত দ-নীয় অপরাধ, কারণ এতে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং ময়নাতদন্তে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। কিন্ত এ ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি ও অবহেলার কারণে স্থানীয়দেরই উদ্ধার কাজ করতে হয়েছে যা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, প্রাথমিকভাবে প্যান্টের ভেতরে থাকা দুটি পায়ের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মাথার খুলিসহ শরীরের অন্যান্য অংশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত কঙ্কাল ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার চকনিহাল এলাকায় এক ডোবা থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পুরো ঘটনাটি ঘিরে দেখা দিয়েছে দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার অভিযোগ।
গতকাল শনিবার বিকালে স্থানীয়রা কচুরিপানার নিচে কঙ্কালের কিছু অংশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সলঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং দায়সারা ভাবে লাশবাহী গাড়ির চালক দুলালকে দিয়ে কয়েকটি হাড় উদ্ধার করায়।
পরে স্থানীয়রা কচুরিপানা সরিয়ে বাদবাকি ডোবার ভেতরে আরও অংশ খুজে বের করতে বললে পুলিশ স্থানীয়দের জানান পানিতে নামতে পারব না। আর পাওয়া যাবে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথমে কচুরিপানার নিচে দুটি পায়ের হাড় ও সার্টের কলার ও ছেরা প্যান্ট পাওয়া যায় এই কয়েকটি অংশ নিয়েই পুলিশ চলে যায়।
এরপর রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রহিমাবাদ গ্রামের আলতাফ হোসেনসহ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা কচুরিপানা সরিয়ে কোমরের উপরের অংশ ও মাথার খুলি উদ্ধার করেন। একই সঙ্গে ডোবার ভেতর থেকে পচে যাওয়া একটি শার্টের কলারও পাওয়া যায়।
উদ্ধার হওয়া পোশাকের অংশ দেখে স্থানীয়রা ধারনা করছেন, এটি গত ৯ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ থাকা সলঙ্গার অলিদহ দক্ষিণপাড়া গ্রামের অটোরিকশা চালক আমিনুল ইসলামের কঙ্কাল হতে পারে। পরে আমিনুলের মা উদ্ধারকৃত পোশাক দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন।
আইন অনুযায়ী, লাশ উদ্ধার ও স্থানান্তরের দায়িত্ব শুধুমাত্র পুলিশ সদস্যদের। সাধারণ মানুষ নিজেরা লাশ তোলা বা স্থানান্তর করা আইনত দ-নীয় অপরাধ, কারণ এতে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং ময়নাতদন্তে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। কিন্ত এ ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি ও অবহেলার কারণে স্থানীয়দেরই উদ্ধার কাজ করতে হয়েছে যা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, প্রাথমিকভাবে প্যান্টের ভেতরে থাকা দুটি পায়ের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মাথার খুলিসহ শরীরের অন্যান্য অংশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত কঙ্কাল ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।