দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বিপন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল জাল জব্দ করা হয়েছে। চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহারে বিপন্ন দেশীয় মাছ রক্ষায় করতোয়া নদীতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে করতোয়া নদীর পৌরশহরের ত্রিমোহনী ব্রিজ এলাকা থেকে উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের ঋষিঘাট এলাকার অনুমান ৭-৮ কিলোমিটার ধরে এ অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে জব্দ করা হয়েছে ৪৫০-৫০০ ফুট চায়না দুয়ারি জাল। এ সময় সঙ্গে ছিলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রিয়াজ মোর্শেদ রনজু, সরকারি ডিগ্রি কলেজ এর অধ্যক্ষ এস এম মনিরুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ধীরাজ সরকার এবং পুলিশের এএসআই শামীম হোসেন প্রমুখ। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রিয়াজ মোর্শেদ রনজু জানান, জব্দ করা অবৈধ জাল ধ্বংসের প্রক্রিয়া চলছে। এই জাল স্রোতের মুখে ফেলে রাখলে পানিতে ভেসে আসা ছোট-বড় মাছ একবার ভেতরে ঢুকলে আর বেরোতে পারে না। ফলে এই জালে অসংখ্য মাছ, মাছের পোনাসহ সব ধরনের জলজ প্রাণী-উদ্ভিদ, খাদ্যকণা (প্লাঙ্কটন) ধ্বংস হচ্ছে। এতে মাছের বংশবিস্তার মারাত্মক হুমকিতে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, কম পরিশ্রমে বেশি মাছ ধরতে পারায় কারেন্ট জালের চেয়েও বিপজ্জনক এই জাল জেলেদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আমরা সচেতনতার পাশাপাশি জেল-জরিমানার মাধ্যমে এই জাল ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, এই অবৈধ জাল যারা আমদানি করছে এবং বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া প্রত্যেক জায়গায় সরকারের লোকজন রয়েছে। তাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে যাতে মৎস্যসম্পদ রক্ষা ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করা যায়।
রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বিপন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল জাল জব্দ করা হয়েছে। চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহারে বিপন্ন দেশীয় মাছ রক্ষায় করতোয়া নদীতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে করতোয়া নদীর পৌরশহরের ত্রিমোহনী ব্রিজ এলাকা থেকে উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের ঋষিঘাট এলাকার অনুমান ৭-৮ কিলোমিটার ধরে এ অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে জব্দ করা হয়েছে ৪৫০-৫০০ ফুট চায়না দুয়ারি জাল। এ সময় সঙ্গে ছিলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রিয়াজ মোর্শেদ রনজু, সরকারি ডিগ্রি কলেজ এর অধ্যক্ষ এস এম মনিরুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ধীরাজ সরকার এবং পুলিশের এএসআই শামীম হোসেন প্রমুখ। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রিয়াজ মোর্শেদ রনজু জানান, জব্দ করা অবৈধ জাল ধ্বংসের প্রক্রিয়া চলছে। এই জাল স্রোতের মুখে ফেলে রাখলে পানিতে ভেসে আসা ছোট-বড় মাছ একবার ভেতরে ঢুকলে আর বেরোতে পারে না। ফলে এই জালে অসংখ্য মাছ, মাছের পোনাসহ সব ধরনের জলজ প্রাণী-উদ্ভিদ, খাদ্যকণা (প্লাঙ্কটন) ধ্বংস হচ্ছে। এতে মাছের বংশবিস্তার মারাত্মক হুমকিতে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, কম পরিশ্রমে বেশি মাছ ধরতে পারায় কারেন্ট জালের চেয়েও বিপজ্জনক এই জাল জেলেদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আমরা সচেতনতার পাশাপাশি জেল-জরিমানার মাধ্যমে এই জাল ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, এই অবৈধ জাল যারা আমদানি করছে এবং বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া প্রত্যেক জায়গায় সরকারের লোকজন রয়েছে। তাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে যাতে মৎস্যসম্পদ রক্ষা ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করা যায়।