সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে ঝালকাঠির অধিকাংশ কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা। এসব ভবনগুলোর বেশিভাগের ছাদ ও দেয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা, দেবে গেছে ফ্লোর, ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পরেছে টয়লেট, নেই পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই স্বাস্থ্যসেবা দিতে হচ্ছে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার বা স্বাস্থ্যকর্মীদের।
দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগনকে স্বাস্থ্য সেবা দিতে ঝালকাঠিতে স্থাপন করা হয় ৯৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক। মান ছিল নাজুক। এছাড়া দীর্ঘদিনে সংস্কার না হওয়ায় বেশিভাগ অল্প বাজেটে নির্মিত ভবনগুলো থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে, কোন কোনটির ফ্লোর দেবে গেছে, দরজা-জানালা ভঙ্গুর হয়ে গেছে। অল্প বাজেটে নির্মিত হওয়ায় শুরু থেকেই ভবনের অবস্থা খারাপ ছিল। বর্তমানে টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নেই। এরই মধ্যে ৩০টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে স্বাস্থ্যকর্মীরা সেবা দিতে গিয়ে বিপদের মুখোমুখি হচ্ছেন। বিশেষ করে বৃষ্টি বা অতিরিক্ত জোয়ারের সময় মেঝে পানিতে ভরে যাওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। দীর্ঘ সময় ধরে প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় স্বাস্থ্যকর্মীরা পড়ছেন বিপাকে। নিরাপদ পরিবেশ না থাকায় তারা নানা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয় সেবাগ্রহীতারাও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন। স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন ভালো মানের সেবা দিতে হলে ভালো পরিবেশ প্রয়োজন।
৩০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে তা পুনঃনির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই কর্মকতা। বেশ কিছু ভবনের মেঝে দেবে গেছে এবং জোয়ারের সময় সেসব জায়গায় পানি উঠে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্য থেকেই সেবা দিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান সিভিল সার্জন।
রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে ঝালকাঠির অধিকাংশ কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা। এসব ভবনগুলোর বেশিভাগের ছাদ ও দেয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা, দেবে গেছে ফ্লোর, ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পরেছে টয়লেট, নেই পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই স্বাস্থ্যসেবা দিতে হচ্ছে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার বা স্বাস্থ্যকর্মীদের।
দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগনকে স্বাস্থ্য সেবা দিতে ঝালকাঠিতে স্থাপন করা হয় ৯৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক। মান ছিল নাজুক। এছাড়া দীর্ঘদিনে সংস্কার না হওয়ায় বেশিভাগ অল্প বাজেটে নির্মিত ভবনগুলো থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে, কোন কোনটির ফ্লোর দেবে গেছে, দরজা-জানালা ভঙ্গুর হয়ে গেছে। অল্প বাজেটে নির্মিত হওয়ায় শুরু থেকেই ভবনের অবস্থা খারাপ ছিল। বর্তমানে টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নেই। এরই মধ্যে ৩০টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে স্বাস্থ্যকর্মীরা সেবা দিতে গিয়ে বিপদের মুখোমুখি হচ্ছেন। বিশেষ করে বৃষ্টি বা অতিরিক্ত জোয়ারের সময় মেঝে পানিতে ভরে যাওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। দীর্ঘ সময় ধরে প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় স্বাস্থ্যকর্মীরা পড়ছেন বিপাকে। নিরাপদ পরিবেশ না থাকায় তারা নানা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয় সেবাগ্রহীতারাও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন। স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন ভালো মানের সেবা দিতে হলে ভালো পরিবেশ প্রয়োজন।
৩০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে তা পুনঃনির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই কর্মকতা। বেশ কিছু ভবনের মেঝে দেবে গেছে এবং জোয়ারের সময় সেসব জায়গায় পানি উঠে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্য থেকেই সেবা দিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান সিভিল সার্জন।