নীলফামারীর ডিমলায় ভূমি অফিসের জায়গা দখল করে পাকা ও কাচাঁ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি জমি জবরদখলের সত্যতা পাওয়া গেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ও প্রতিশ্রুতি দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলায় পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ের জায়গা দীর্ঘদিন যাবত একটি চিহ্নিত দালাল চক্র জবর দখল করে কাঁচা ও পাকা স্থাপনা তৈরি করে বসবাস ও ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারাগন অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারের কথা বললেও আজকাল করে কালক্ষেপণ করছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তাদের দাবি উচ্ছেদের কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা। ভূমি অফিস কার্যালয় চত্তরের জায়গা দখল করে পাকা ও কাঁচা স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা সেবা গৃহীতাদের একদিকে যেমন চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। অপরদিকে সেবা নিতে আসা লোকজনের আরোহিত মোটর সাইকেল,অটো ভ্যান সহ অন্যান্য যানবাহন রাখার জায়গা না থাকায় চড়ম বিপাকে ও বিলম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখা যায়, এই ভূমি অফিসে দায়িত্বে থাকা ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তার (তহশিলদার) যোগসাজোসে ও উদাসীনতার কারনে তহশিল অফিসের সমনের জায়গা দখল করে দোকান ঘরের পজেশনে প্রায় ২০/২৫ টি কাঁচা ঘর (টিনের চালা) তৈরি করে কাঁচা বাজার মার্কেট তৈরি করা হয়েছে। যার কারনে ভূমি অফিসে ঢুকার রাস্তা বন্ধ হয়ে ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা লোকজনের চলাচলে বিঘ্নিত হয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা ভূমি অফিসের তথ্য মতে, পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কাগজ কলমে ৬০ (ষাট) শতাংশ জমি থাকলেও ভূমি অফিসের কার্যালয় ঘরটি সহ ৬/৭ শতক জায়গা বর্তমানে ভূমি অফিসের দখলে আছে। বাকী জায়গা বেদখল করে অফিসের সামনে ২০/২৫ টি কাঁচা ঘর (টিনের চালা) তৈরি করে কাঁচা বাজার মার্কেট বসানো হয়েছে। অফিসের দক্ষিনে সংলগ্ন এলাকায় দুটি পাকা ঘর তৈরি করে একটিতে অফিস ও অন্য একটি পাকা দোকান ঘর করা হয়েছে । এ ছাড়াও ঠাকুরগঞ্জ গ্রামের মৃত্যু ইউনুস আলীর ছেলে জুয়েল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ভূমি অফিসের উত্তর পাশে সংলগ অফিসের ফঁকা জায়গায় পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে বেশ বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার ছাতনাই ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, কথিত দালাল জুয়েল ইসলাম ভূমি সহকারী কর্মকর্তার (তহশীলদার) সংলগ্ন চেয়ারে বসে অনলাইনে খাজনা আদায় রশিদের কাজ করছেন।
অভিযোগ রয়েছে জুয়েল ইসলামের দ্বারা নাম খারিজের আবেদন করলে সেটার প্রস্তাব দেন তহশীলদার সাহেব আর অন্য কোন জায়গা থেকে নাম খারিজের আবেদন করলে সেটার তিনি প্রস্তাব পাঠান না। সে কারণে খারিজের প্রস্তাব বাতিলের প্রতিবেদন দেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম।
সংবাদ কর্মীর আগমনের বিষয়ে জানতে পেয়ে তিনি দ্রুত ভূমি অফিসের বাহিরে চলে যান। এক কথায় সটকে পড়েন ভুমি অফিস থেকে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে আর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা (তহশীলদার) মো. আজিজুল ইসলাম জানান, এ অফিসে আমি ৮ মাস আগে জয়েন্ট করে দায়িত্ব পালন করে আসছি। অনিয়ম হলে আগে হয়েছে আমি আসার পর কোন অনিয়ম হয়নি। ভূমি অফিসে জায়গাও আগে দখল হয়েছে। অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তার (এসিল্যান্ড) স্যারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি।
এই ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রওশন কবির জানান, আমি ডিমলা উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে নতুন এসেছি। পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জমি অবৈধ দখলের বিষয়ে অবগত হয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যে ভূমি অফিসে জায়গার অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে তৎসঙ্গে ঐ অফিস কে দালাল মুক্ত করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরানুজ্জামান জানান, পশ্চিম ছাতনাই ভূমি অফিসের জায়গা বে-দলের বিষটি এসিল্যান্ড সাহেব আমাকে জানিয়েছেন। সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট জড়িত কোন সম্পদ বেহাত হয়ে গেলে সেটা উদ্ধার করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তার।
এসিল্যান্ডের সাথে কথা বলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে ভূমি অফিসের জায়গা উদ্ধার করা হবে। ইনশাআল্লাহ।
রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলায় ভূমি অফিসের জায়গা দখল করে পাকা ও কাচাঁ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি জমি জবরদখলের সত্যতা পাওয়া গেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ও প্রতিশ্রুতি দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলায় পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ের জায়গা দীর্ঘদিন যাবত একটি চিহ্নিত দালাল চক্র জবর দখল করে কাঁচা ও পাকা স্থাপনা তৈরি করে বসবাস ও ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারাগন অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারের কথা বললেও আজকাল করে কালক্ষেপণ করছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তাদের দাবি উচ্ছেদের কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা। ভূমি অফিস কার্যালয় চত্তরের জায়গা দখল করে পাকা ও কাঁচা স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা সেবা গৃহীতাদের একদিকে যেমন চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। অপরদিকে সেবা নিতে আসা লোকজনের আরোহিত মোটর সাইকেল,অটো ভ্যান সহ অন্যান্য যানবাহন রাখার জায়গা না থাকায় চড়ম বিপাকে ও বিলম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখা যায়, এই ভূমি অফিসে দায়িত্বে থাকা ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তার (তহশিলদার) যোগসাজোসে ও উদাসীনতার কারনে তহশিল অফিসের সমনের জায়গা দখল করে দোকান ঘরের পজেশনে প্রায় ২০/২৫ টি কাঁচা ঘর (টিনের চালা) তৈরি করে কাঁচা বাজার মার্কেট তৈরি করা হয়েছে। যার কারনে ভূমি অফিসে ঢুকার রাস্তা বন্ধ হয়ে ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা লোকজনের চলাচলে বিঘ্নিত হয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা ভূমি অফিসের তথ্য মতে, পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কাগজ কলমে ৬০ (ষাট) শতাংশ জমি থাকলেও ভূমি অফিসের কার্যালয় ঘরটি সহ ৬/৭ শতক জায়গা বর্তমানে ভূমি অফিসের দখলে আছে। বাকী জায়গা বেদখল করে অফিসের সামনে ২০/২৫ টি কাঁচা ঘর (টিনের চালা) তৈরি করে কাঁচা বাজার মার্কেট বসানো হয়েছে। অফিসের দক্ষিনে সংলগ্ন এলাকায় দুটি পাকা ঘর তৈরি করে একটিতে অফিস ও অন্য একটি পাকা দোকান ঘর করা হয়েছে । এ ছাড়াও ঠাকুরগঞ্জ গ্রামের মৃত্যু ইউনুস আলীর ছেলে জুয়েল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ভূমি অফিসের উত্তর পাশে সংলগ অফিসের ফঁকা জায়গায় পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে বেশ বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার ছাতনাই ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, কথিত দালাল জুয়েল ইসলাম ভূমি সহকারী কর্মকর্তার (তহশীলদার) সংলগ্ন চেয়ারে বসে অনলাইনে খাজনা আদায় রশিদের কাজ করছেন।
অভিযোগ রয়েছে জুয়েল ইসলামের দ্বারা নাম খারিজের আবেদন করলে সেটার প্রস্তাব দেন তহশীলদার সাহেব আর অন্য কোন জায়গা থেকে নাম খারিজের আবেদন করলে সেটার তিনি প্রস্তাব পাঠান না। সে কারণে খারিজের প্রস্তাব বাতিলের প্রতিবেদন দেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম।
সংবাদ কর্মীর আগমনের বিষয়ে জানতে পেয়ে তিনি দ্রুত ভূমি অফিসের বাহিরে চলে যান। এক কথায় সটকে পড়েন ভুমি অফিস থেকে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে আর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা (তহশীলদার) মো. আজিজুল ইসলাম জানান, এ অফিসে আমি ৮ মাস আগে জয়েন্ট করে দায়িত্ব পালন করে আসছি। অনিয়ম হলে আগে হয়েছে আমি আসার পর কোন অনিয়ম হয়নি। ভূমি অফিসে জায়গাও আগে দখল হয়েছে। অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তার (এসিল্যান্ড) স্যারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি।
এই ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রওশন কবির জানান, আমি ডিমলা উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে নতুন এসেছি। পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জমি অবৈধ দখলের বিষয়ে অবগত হয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যে ভূমি অফিসে জায়গার অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে তৎসঙ্গে ঐ অফিস কে দালাল মুক্ত করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরানুজ্জামান জানান, পশ্চিম ছাতনাই ভূমি অফিসের জায়গা বে-দলের বিষটি এসিল্যান্ড সাহেব আমাকে জানিয়েছেন। সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট জড়িত কোন সম্পদ বেহাত হয়ে গেলে সেটা উদ্ধার করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তার।
এসিল্যান্ডের সাথে কথা বলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে ভূমি অফিসের জায়গা উদ্ধার করা হবে। ইনশাআল্লাহ।