ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী বাজারে অগ্নিকান্ডে প্রায় ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের নাম-ঠিকানা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী বাজারের মাছ বাজার সংলগ্ন বাচ্চু মোল্যার মার্কেটের নাসির দর্জির দোকান হতে আগুনের সুত্রপাত। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের সট সার্কিটে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটেছে। আগুনে বাচ্চু মোল্যার মার্কেট, আজিজ মোল্যার মার্কেটসহ ৪টি মার্কেটের মনোহরি দোকান, ওষুধ, টেইলার্স, বীজ ভান্ডার, জুতার দোকান, রেস্টুরেন্টসহ অন্তত ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী, মধুখালী ও বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টার ফলে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আগুন লাগার এক ঘন্টা পর প্রথমে মধুখালী ফায়ার সার্ভিস ও পরে বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসে। স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মনির হোসেন জানান, বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে চলে যাওয়ায় বাজারে পাহারাদার ছাড়া বেশি লোকজন ছিলো না। আগুনের শোরগোল শুনে বাড়ি থেকে দৌড়ে গিয়ে দেখি কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। পাশে আমারও কয়েকটি দোকান রয়েছে। তবে আমার দোকানের ক্ষয়ক্ষতি হতে আল্লাহ রক্ষা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বুলবুল হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে নাসির দর্জির দোকান হতে সট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনে সুত্রপাত হয়েছে। আগুনে ১৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। এতে কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা খরব পাওয়ার পর প্রায় এক ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে আসে। তারপরও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন না আসলে হইতো বাজারের অনেকংশই পুড়ে যেত।
বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের লিডার খালেক শেখ জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিল। আমরা আশার পরে একযোগে দুই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় এক ঘন্টা চেষ্টার ফলে আগুন নেভাতে সক্ষম হই। আরো বিস্তারিত মধুখালী ফায়ার সার্ভিস জানাতে পারবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রাশেদুল আলম জানান, আগুনে তেরটি দোকান একেবারে পুড়ে গেছে। এক ঘন্টার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়, তবে অভিযান সম্পূন্ন করতে প্রায় দেড় ঘন্টা সময় লেগেছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সুত্রপাত। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরো পরে জানানো যাবে। অবৈধ লটারিতে প্রশাসনের নীরবতা: পুরস্কারের প্রলোভনে নিঃস্ব সাধারণ
রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী বাজারে অগ্নিকান্ডে প্রায় ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের নাম-ঠিকানা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী বাজারের মাছ বাজার সংলগ্ন বাচ্চু মোল্যার মার্কেটের নাসির দর্জির দোকান হতে আগুনের সুত্রপাত। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের সট সার্কিটে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটেছে। আগুনে বাচ্চু মোল্যার মার্কেট, আজিজ মোল্যার মার্কেটসহ ৪টি মার্কেটের মনোহরি দোকান, ওষুধ, টেইলার্স, বীজ ভান্ডার, জুতার দোকান, রেস্টুরেন্টসহ অন্তত ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী, মধুখালী ও বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টার ফলে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আগুন লাগার এক ঘন্টা পর প্রথমে মধুখালী ফায়ার সার্ভিস ও পরে বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসে। স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মনির হোসেন জানান, বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে চলে যাওয়ায় বাজারে পাহারাদার ছাড়া বেশি লোকজন ছিলো না। আগুনের শোরগোল শুনে বাড়ি থেকে দৌড়ে গিয়ে দেখি কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। পাশে আমারও কয়েকটি দোকান রয়েছে। তবে আমার দোকানের ক্ষয়ক্ষতি হতে আল্লাহ রক্ষা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বুলবুল হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে নাসির দর্জির দোকান হতে সট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনে সুত্রপাত হয়েছে। আগুনে ১৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। এতে কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা খরব পাওয়ার পর প্রায় এক ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে আসে। তারপরও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন না আসলে হইতো বাজারের অনেকংশই পুড়ে যেত।
বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের লিডার খালেক শেখ জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিল। আমরা আশার পরে একযোগে দুই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় এক ঘন্টা চেষ্টার ফলে আগুন নেভাতে সক্ষম হই। আরো বিস্তারিত মধুখালী ফায়ার সার্ভিস জানাতে পারবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রাশেদুল আলম জানান, আগুনে তেরটি দোকান একেবারে পুড়ে গেছে। এক ঘন্টার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়, তবে অভিযান সম্পূন্ন করতে প্রায় দেড় ঘন্টা সময় লেগেছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সুত্রপাত। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরো পরে জানানো যাবে। অবৈধ লটারিতে প্রশাসনের নীরবতা: পুরস্কারের প্রলোভনে নিঃস্ব সাধারণ