দশমিনায় নতুন ফলের স্বপ্ন যাত্রা
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের কৃষক মো. সরোয়ার হোসেন আরবের ফল সাম্মাম চাষ করে সফলতা অর্জন করেছে। উপজেলায় এই ফল প্রথম চাষ করেই সফলতায় নতুন করে স্বপ্ন বুনছে। উপজেলায় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবার চেষ্টা করবে বলে এই কৃষক আশা প্রকাশ করেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে কৃষক সরোয়ার নিজ উদ্যোগে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্মাম ফল চাষ করেছে। মালচিং পদ্ধতিতে এই ফল চাষাবাদ করা হলে আগাছা কম হয় এবং ফলন ভাল হয়েছে।
উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে প্রথম সাম্মাম চাষ করেই বাজিমাত করেছে। উপজেলার এই প্রান্তিক চাষী পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। চলতি বছর কৃষক সরোয়ার তার বাড়ির পাশের ২০ শতাংশ কৃষি জমিতে সাম্মাম চাষ করেছে। প্রায় ২ থেকে আড়াই মাস আগে এই ফলের চারা রোপন করেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তার রোপন করা সাম্মাম গাছে ফলের সারি দেখা যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তর তাকে এই সাম্মাম চাষ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। তিনি গাছের চারা সংগ্রহ করে তার জমিতে রোপন করেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ সার্বক্ষনিক ভাবে কৃষক সরোয়ার হোসেনকে উৎসাহ দিয়েছে। তার জমিতে সাম্মাম ফলের ফলন দেখে অন্যান্য কৃষকরা এই ফল চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কৃষক সরোয়ার ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ১ লক্ষ টাকা বিক্রি করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে। বাজারে চাহিদা মেটাতে আগাম সাম্মাম চাষ করে বাজারজাত করতে চেষ্টা করছে। স্থানীয়দের চাহিদা মিটাতে কৃষকরা পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ সাম্মাম ফল বাজারে বিক্রি করে লাভবান হবে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় কৃষি প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধকরন করা হয়। কৃষকরা আবাদি ও অনাবাদি এবং সড়কের পাশের জমিতেও প্রদর্শনীর মাধ্যমে সাম্মাম চাষ করতে পারবে।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জাফর আহামদ জানান, সাম্মাম ফল চাষের জন্য বাড়তি জমির প্রয়োজন হয় না। উপজেলার পতিত জমি চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা হিসেবে সাম্মাম ফল চাষ করার জন্য চাষীদেরকে উদ্ধুদ্ধকরণ করা হয়েছে।
সাম্মাম ফলের উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজার মূল্য বেশি থাকায় উপজেলার কৃষকদের মাঝে সাম্মাম ফলের চাষে আগ্রহ বেড়ে যাবে। উপজেলায় এই প্রথম সাম্মাম ফল চাষ করে বাজিমাত করেছে। উপজেলায় কৃষিতে আরবের ফল সাম্মাম চাষে নতুন স্বপ্ন যাত্রা যুক্ত হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
দশমিনায় নতুন ফলের স্বপ্ন যাত্রা
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের কৃষক মো. সরোয়ার হোসেন আরবের ফল সাম্মাম চাষ করে সফলতা অর্জন করেছে। উপজেলায় এই ফল প্রথম চাষ করেই সফলতায় নতুন করে স্বপ্ন বুনছে। উপজেলায় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবার চেষ্টা করবে বলে এই কৃষক আশা প্রকাশ করেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে কৃষক সরোয়ার নিজ উদ্যোগে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্মাম ফল চাষ করেছে। মালচিং পদ্ধতিতে এই ফল চাষাবাদ করা হলে আগাছা কম হয় এবং ফলন ভাল হয়েছে।
উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে প্রথম সাম্মাম চাষ করেই বাজিমাত করেছে। উপজেলার এই প্রান্তিক চাষী পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। চলতি বছর কৃষক সরোয়ার তার বাড়ির পাশের ২০ শতাংশ কৃষি জমিতে সাম্মাম চাষ করেছে। প্রায় ২ থেকে আড়াই মাস আগে এই ফলের চারা রোপন করেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তার রোপন করা সাম্মাম গাছে ফলের সারি দেখা যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তর তাকে এই সাম্মাম চাষ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। তিনি গাছের চারা সংগ্রহ করে তার জমিতে রোপন করেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ সার্বক্ষনিক ভাবে কৃষক সরোয়ার হোসেনকে উৎসাহ দিয়েছে। তার জমিতে সাম্মাম ফলের ফলন দেখে অন্যান্য কৃষকরা এই ফল চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কৃষক সরোয়ার ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ১ লক্ষ টাকা বিক্রি করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে। বাজারে চাহিদা মেটাতে আগাম সাম্মাম চাষ করে বাজারজাত করতে চেষ্টা করছে। স্থানীয়দের চাহিদা মিটাতে কৃষকরা পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ সাম্মাম ফল বাজারে বিক্রি করে লাভবান হবে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় কৃষি প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধকরন করা হয়। কৃষকরা আবাদি ও অনাবাদি এবং সড়কের পাশের জমিতেও প্রদর্শনীর মাধ্যমে সাম্মাম চাষ করতে পারবে।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জাফর আহামদ জানান, সাম্মাম ফল চাষের জন্য বাড়তি জমির প্রয়োজন হয় না। উপজেলার পতিত জমি চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা হিসেবে সাম্মাম ফল চাষ করার জন্য চাষীদেরকে উদ্ধুদ্ধকরণ করা হয়েছে।
সাম্মাম ফলের উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজার মূল্য বেশি থাকায় উপজেলার কৃষকদের মাঝে সাম্মাম ফলের চাষে আগ্রহ বেড়ে যাবে। উপজেলায় এই প্রথম সাম্মাম ফল চাষ করে বাজিমাত করেছে। উপজেলায় কৃষিতে আরবের ফল সাম্মাম চাষে নতুন স্বপ্ন যাত্রা যুক্ত হয়েছে।