ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত এলাকায় মাদকের বিস্তার এখন জনজীবনে নতুন এক আতঙ্কের নাম। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তপথে প্রবেশ করছে মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবা। সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে নতুন এক নেশাজাত দ্রব্য ড্যান্ডি। সহজলভ্য ও কমদামি হওয়ায় এই আঠাজাত পদার্থ দ্রুত কিশোর-তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ড্যান্ডি মূলত এক ধরনের আঠা, যা রাসায়নিক উপাদানে তৈরি। এটি শুঁকে নেশা করার ফলে শরীর ও মস্তিষ্কে মারাত্মক ক্ষতি হয়। চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে মানসিক ভারসাম্যও নষ্ট হতে পারে।
দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তঘেঁষা নরসিংপুর, সোনাপুর, সারপিনপাড়া, চাইরগাঁও, শ্রীপুর, শ্যামারগাঁও, বাংলাবাজার, ঘিলাতলী, কলাউড়া, মৌলারপাড়, চৌধুরীপাড়া, কলোনি, ঝুমগাঁও, ইদুকোনা, বাগানবাড়ী, গাছগড়া, ভাঙ্গাপাড়া, মাঠগাঁও, দৌলতপুর ও ইসলামপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে মদ, গাঁজা, ইয়াবা ও ‘ড্যান্ডি’র প্রভাব আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সীমান্তের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে কিছু অসাধু চক্র মাদক পাচার করছে এবং কিশোর–তরুণদের টার্গেট করছে। এতে বহু পরিবার ভেঙে পড়ছে, সামাজিক অস্থিরতাও বাড়ছে।
একজন অভিভাবক বলেন,আমাদের সন্তানরা বিকেল হলেই কোথায় যায় বুঝতে পারি না। স্কুলের ছাত্ররাও এখন ‘ড্যান্ডি’ শুঁকে অচেতন হয়ে পড়ে। এটা সমাজের জন্য ভয়াবহ সংকেত।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক বলেন,মাদক নির্মূলে পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সচেতন মহলের মতে, শুধু প্রশাসনিক উদ্যোগ নয়, পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে এই ভয়াবহ মাদক বিস্তার রোধ করতে। তরুণ প্রজন্মকে নেশার ছোবল থেকে রক্ষা করতে এখনই প্রয়োজন সমন্বিত সামাজিক আন্দোলন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত এলাকায় মাদকের বিস্তার এখন জনজীবনে নতুন এক আতঙ্কের নাম। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তপথে প্রবেশ করছে মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবা। সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে নতুন এক নেশাজাত দ্রব্য ড্যান্ডি। সহজলভ্য ও কমদামি হওয়ায় এই আঠাজাত পদার্থ দ্রুত কিশোর-তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ড্যান্ডি মূলত এক ধরনের আঠা, যা রাসায়নিক উপাদানে তৈরি। এটি শুঁকে নেশা করার ফলে শরীর ও মস্তিষ্কে মারাত্মক ক্ষতি হয়। চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে মানসিক ভারসাম্যও নষ্ট হতে পারে।
দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তঘেঁষা নরসিংপুর, সোনাপুর, সারপিনপাড়া, চাইরগাঁও, শ্রীপুর, শ্যামারগাঁও, বাংলাবাজার, ঘিলাতলী, কলাউড়া, মৌলারপাড়, চৌধুরীপাড়া, কলোনি, ঝুমগাঁও, ইদুকোনা, বাগানবাড়ী, গাছগড়া, ভাঙ্গাপাড়া, মাঠগাঁও, দৌলতপুর ও ইসলামপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে মদ, গাঁজা, ইয়াবা ও ‘ড্যান্ডি’র প্রভাব আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সীমান্তের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে কিছু অসাধু চক্র মাদক পাচার করছে এবং কিশোর–তরুণদের টার্গেট করছে। এতে বহু পরিবার ভেঙে পড়ছে, সামাজিক অস্থিরতাও বাড়ছে।
একজন অভিভাবক বলেন,আমাদের সন্তানরা বিকেল হলেই কোথায় যায় বুঝতে পারি না। স্কুলের ছাত্ররাও এখন ‘ড্যান্ডি’ শুঁকে অচেতন হয়ে পড়ে। এটা সমাজের জন্য ভয়াবহ সংকেত।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক বলেন,মাদক নির্মূলে পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সচেতন মহলের মতে, শুধু প্রশাসনিক উদ্যোগ নয়, পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে এই ভয়াবহ মাদক বিস্তার রোধ করতে। তরুণ প্রজন্মকে নেশার ছোবল থেকে রক্ষা করতে এখনই প্রয়োজন সমন্বিত সামাজিক আন্দোলন।