বন্যায় পনি বৃদ্ধির পাশাপাশি পানি কমতে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের নারায়নপুর ও আলাতুলি এবং শিবগঞ্জের পাঁকা, উজিরপুর ও দুর্লভপুর ইউনিয়নে প্রায় ২৫ কিলোমিটার জুড়ে দু’প্রান্তে ভাঙন অব্যাহত থাকায় ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে পরিবারগুলো। ভাঙনের কারণে মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে আশা করছেন চলতি শুস্ক মৌসুমে নদীর ভাঙনরোধে স্থায়ীভাবে বাঁধের কাজ শুরু করলে ৫ টি ইউনিয়নের বসবাসকারীরা নিঃস্ব থেকে মুক্তি পাবে। পানি বাড়ার পাশাপাশি পানি কমে যাওয়ায় নারায়নপুর ইউনিয়নের এগারোরশিয়া, বাতাস মোড়, সরদারপাড়া বাগপাড়া, জাওনিয়া, মন্ডলপাড়া, দেবীপুর, রুস্তমটোলা, জহুরপুর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনে ২ হাজার বাড়িঘর, জমি, উপসাইক্লোন কেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে চলে গেছে। আর এখন যেটুকু সম্বল আছে সে টুকুর উপর পদ্মার চোখ পড়েছে। নারায়নপুর ইউনিয়নের মো. সেলিম জানান, পানি যখন বাড়ে তখন ভাঙন দেখা দেয়, আবার যখন পানি কমে সেসময় একই অবস্থা দেখা দেয়। মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবার আশংকা করছেন ইউনিয়নবাসী। নারায়নপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন জানান, পানির গতি পথ পরিবর্তন হওয়ায় এ ইউনিয়নটি অব্যাহত ভাঙনে দিন দিন ছোট হচ্ছে। শুস্ক মৌসুমে ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হলে এ জনপদটি অনেকাংশে রক্ষা পাবে। এদিকে চর আলাতুলি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, আলাতুলি গ্রাম থেকে শুরু করে চর আলাতুলি, পশ্চিম কোদালকাটি, কোদালকাটি রোডপাড়া, ঢ্যাঙ্গাপাড়া, জেলেপাড়া ও বকচর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৫/৬ কিলোমিটার অংশ ভাঙনের কবলে পড়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ আশপাশের উপজেলা ও অন্যত্র গিয়ে বসবাস করছেন। অপরদিকে, শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর, উজিরপুর ও পাঁকা ইউনিয়নে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন অব্যাহত থাকায় বসবাসরতরা আতংকের মধ্যদিয়ে দিন পার করছেন। পাকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, চরপাকা, কদমতলা, জামাইপাড়া, দক্ষিণপাড়া-নিশিপাড়ার উভয়প্রান্তে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা না নিলে একসময় মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে এ্ ইউনিয়নটি।
শুস্ক মৌসুমে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের ২ টি ইউনিয়ন ও শিবগঞ্জ উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন নদীভাঙন থেকে রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে কাজ শুরু করা যাবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
বন্যায় পনি বৃদ্ধির পাশাপাশি পানি কমতে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের নারায়নপুর ও আলাতুলি এবং শিবগঞ্জের পাঁকা, উজিরপুর ও দুর্লভপুর ইউনিয়নে প্রায় ২৫ কিলোমিটার জুড়ে দু’প্রান্তে ভাঙন অব্যাহত থাকায় ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে পরিবারগুলো। ভাঙনের কারণে মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে আশা করছেন চলতি শুস্ক মৌসুমে নদীর ভাঙনরোধে স্থায়ীভাবে বাঁধের কাজ শুরু করলে ৫ টি ইউনিয়নের বসবাসকারীরা নিঃস্ব থেকে মুক্তি পাবে। পানি বাড়ার পাশাপাশি পানি কমে যাওয়ায় নারায়নপুর ইউনিয়নের এগারোরশিয়া, বাতাস মোড়, সরদারপাড়া বাগপাড়া, জাওনিয়া, মন্ডলপাড়া, দেবীপুর, রুস্তমটোলা, জহুরপুর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনে ২ হাজার বাড়িঘর, জমি, উপসাইক্লোন কেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে চলে গেছে। আর এখন যেটুকু সম্বল আছে সে টুকুর উপর পদ্মার চোখ পড়েছে। নারায়নপুর ইউনিয়নের মো. সেলিম জানান, পানি যখন বাড়ে তখন ভাঙন দেখা দেয়, আবার যখন পানি কমে সেসময় একই অবস্থা দেখা দেয়। মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবার আশংকা করছেন ইউনিয়নবাসী। নারায়নপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন জানান, পানির গতি পথ পরিবর্তন হওয়ায় এ ইউনিয়নটি অব্যাহত ভাঙনে দিন দিন ছোট হচ্ছে। শুস্ক মৌসুমে ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হলে এ জনপদটি অনেকাংশে রক্ষা পাবে। এদিকে চর আলাতুলি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, আলাতুলি গ্রাম থেকে শুরু করে চর আলাতুলি, পশ্চিম কোদালকাটি, কোদালকাটি রোডপাড়া, ঢ্যাঙ্গাপাড়া, জেলেপাড়া ও বকচর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৫/৬ কিলোমিটার অংশ ভাঙনের কবলে পড়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ আশপাশের উপজেলা ও অন্যত্র গিয়ে বসবাস করছেন। অপরদিকে, শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর, উজিরপুর ও পাঁকা ইউনিয়নে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন অব্যাহত থাকায় বসবাসরতরা আতংকের মধ্যদিয়ে দিন পার করছেন। পাকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, চরপাকা, কদমতলা, জামাইপাড়া, দক্ষিণপাড়া-নিশিপাড়ার উভয়প্রান্তে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা না নিলে একসময় মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে এ্ ইউনিয়নটি।
শুস্ক মৌসুমে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের ২ টি ইউনিয়ন ও শিবগঞ্জ উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন নদীভাঙন থেকে রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে কাজ শুরু করা যাবে।