সিরাজগঞ্জ : শীতকালীন সবজি চাষ করতে চলছে জমি প্রস্তুতির কাজ
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীনসহ সবজি চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় বছর জুড়ে কম বেশি বিভিন্ন রকম সবজি চাষবাদ হয়ে থাকে। তবে শীতকালে এ চাষবাদের পরিধি আরও বেড়ে যায়। চলতি মৌসুমেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৯টি উপজেলার কৃষকরা জমি প্রস্তুতের কাজে নেমে পড়েছে চাষিরা।
জানা গেছে, সবজি চাষে লাভবান এবং প্রতিদিন নগদ টাকা পাওয়া যায় বলে কৃষকরা এ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে। জেলায় বছর জুড়ে নানা রকম সবজি চাষাবাদ হয়। ইতিমধ্যেই এসব জমিতে শীতকালীন ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, আলু, শাক, গাজর, কেশুর, শসা, সিম, বেগুন, মূলা, লাউ, মরিচসহ বিভিন্ন রকম সবজি লাগানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। কোন কোন এলাকার মাঠে আগাম লাগানো সবজি বড় হয়ে গেছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাঐতারা গ্রামের কৃষক হারেজ আলী জানান, তিনি এবার ৩০ শতক জমি সবজি চাষ করবেন । জমির পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ঝমি তৈরি শুরু করেছেন। জমি তৈরি হলেই সবজি লাগাবেন। চন্দ্রকোন গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১০ বিঘা জমিতে সবজি চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই শসা, ডাটা লাগানো হয়েছে কপি, মুলা গাজর সহ বিভিন্ন সবজি লাগানোর প্রস্তুতি চলছে।
উল্লাপাড়া উপজেলার পৌর এলাকার কৃষক ফজলুল হক বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্র্শে শসা, লাউ, মুলা, বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ শুরা করেছেন। বর্তমানে তিনি ৮০ শতাংশ শসার চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা ইতিমধ্যেই শসার ফলন শুরু হয়েছে। অন্যান্ন সবজির বীজ ও চারা লাগানো হচ্ছে।
তিনি জানান, এখানকার কৃষকরা বিভিন্ন ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি বারো মাস হরেক রকম সবজি চাষাবাদ করে মোটা অংকের টাকা আয় করছে। যা তাদের সংসারে সচ্ছলতা এনে দিয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন জানান, সদর উপজেলায় ১৬৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষের লক্ষাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকরা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে জমি তৈরি ও বীজ বোপন, চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্না ইয়াসমিন সুমি বলেন, এই উপজেলায় ১৫২৫ হেক্টর জমিতে শীতকালিন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এজন্য প্রান্তিক কৃষদের সবজি বীজ ও সার বীনা মুল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান উল্লাপাড়াতে আগাম লাগানো সবজি ইতিমধ্যেই বাজারে উঠেছে যে গুলি বিক্রী করে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ কে এম মন্জুরে মওলা জানান, এ জেলায় চলতি মৌসুমে ৮ হাজার ৮৫০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মধ্যে বিনা মুল্যে সবজি বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে। কৃষকরা সবজি বিক্রি করে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও লাভবান হবে। যা এ জেলার কৃষি অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে বলে জানান তিনি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সিরাজগঞ্জ : শীতকালীন সবজি চাষ করতে চলছে জমি প্রস্তুতির কাজ
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীনসহ সবজি চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় বছর জুড়ে কম বেশি বিভিন্ন রকম সবজি চাষবাদ হয়ে থাকে। তবে শীতকালে এ চাষবাদের পরিধি আরও বেড়ে যায়। চলতি মৌসুমেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৯টি উপজেলার কৃষকরা জমি প্রস্তুতের কাজে নেমে পড়েছে চাষিরা।
জানা গেছে, সবজি চাষে লাভবান এবং প্রতিদিন নগদ টাকা পাওয়া যায় বলে কৃষকরা এ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে। জেলায় বছর জুড়ে নানা রকম সবজি চাষাবাদ হয়। ইতিমধ্যেই এসব জমিতে শীতকালীন ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, আলু, শাক, গাজর, কেশুর, শসা, সিম, বেগুন, মূলা, লাউ, মরিচসহ বিভিন্ন রকম সবজি লাগানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। কোন কোন এলাকার মাঠে আগাম লাগানো সবজি বড় হয়ে গেছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাঐতারা গ্রামের কৃষক হারেজ আলী জানান, তিনি এবার ৩০ শতক জমি সবজি চাষ করবেন । জমির পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ঝমি তৈরি শুরু করেছেন। জমি তৈরি হলেই সবজি লাগাবেন। চন্দ্রকোন গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১০ বিঘা জমিতে সবজি চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই শসা, ডাটা লাগানো হয়েছে কপি, মুলা গাজর সহ বিভিন্ন সবজি লাগানোর প্রস্তুতি চলছে।
উল্লাপাড়া উপজেলার পৌর এলাকার কৃষক ফজলুল হক বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্র্শে শসা, লাউ, মুলা, বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ শুরা করেছেন। বর্তমানে তিনি ৮০ শতাংশ শসার চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা ইতিমধ্যেই শসার ফলন শুরু হয়েছে। অন্যান্ন সবজির বীজ ও চারা লাগানো হচ্ছে।
তিনি জানান, এখানকার কৃষকরা বিভিন্ন ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি বারো মাস হরেক রকম সবজি চাষাবাদ করে মোটা অংকের টাকা আয় করছে। যা তাদের সংসারে সচ্ছলতা এনে দিয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন জানান, সদর উপজেলায় ১৬৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষের লক্ষাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকরা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে জমি তৈরি ও বীজ বোপন, চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্না ইয়াসমিন সুমি বলেন, এই উপজেলায় ১৫২৫ হেক্টর জমিতে শীতকালিন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এজন্য প্রান্তিক কৃষদের সবজি বীজ ও সার বীনা মুল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান উল্লাপাড়াতে আগাম লাগানো সবজি ইতিমধ্যেই বাজারে উঠেছে যে গুলি বিক্রী করে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ কে এম মন্জুরে মওলা জানান, এ জেলায় চলতি মৌসুমে ৮ হাজার ৮৫০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মধ্যে বিনা মুল্যে সবজি বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে। কৃষকরা সবজি বিক্রি করে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও লাভবান হবে। যা এ জেলার কৃষি অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে বলে জানান তিনি।