ডিমলা (নীলফামারী) : ঝূকিপূর্ণ দেবে যাওয়া ধুম নদী ব্রিজ -সংবাদ
নীলফামারী ডিমলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের গোডাউনের হাট সংলগ্ন ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের পশ্চিম পাশের একমাত্র যাতায়াতের পাকা রাস্তার ধুম নদীর উপরে নির্মিত ব্রিজটি বিধ্বস্ত হয়ে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণ সংহারের আশঙ্কা রয়েছে।
নীলফামারীর ডিমলার ৩টি জনবহুল ইউনিয়নের বসবাসকারী লোকজনের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়কের গোডাউনের হাট ও খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের ৩শত গজ পশ্চিমে দীর্ঘদিন পূর্বে ধুম নদীর উপরে নির্মিত ব্রিজটি বয়সের ভারে বিধ্বস্ত হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রিজটির মাঝামাঝি ৩টি স্থানে দেবে গিয়ে উঁচু-নিচু হয়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদজনক হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এ ব্রিজের উপর দিয়ে ট্রাক, ট্রাক্টর, কার, মাইক্রো, মোটর সাইকেল ও অটোরিকশাসহ শতাধিক ভারী যানবাহন মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলচল করছে। তাছাড়া এ ব্রিজের উপর দিয়ে নাউতারা, গয়াবারী ও খালিশা চাপানী সহ ৩ টি ইউনিয়নের অধিকাংশ বসবাসকারী লোকজন চলাফেরা করে থাকে। এ এলাকার লোকজন তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিজাত পণ্য বাজারে বিক্রি করার জন্য এই ,ব্রিজ দিয়ে পাশাপাশি হাট-বাজার গোডাউনের হাট,নাউতারা হাট ও বাজার,নতুন বাজার ও শুটিবাড়ি হাট-বাজারে পরিবহনে করে নিয়ে যেতে চরম বিরম্বনার শিকার হন।
এ ছাড়াও ঐতিহ্যবাহী ছোটখাতা কামিল মাদ্রাসা, একাধিক মাধ্যমিক ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থী ব্রিজের উপর দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে। অতচ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের এ ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণের কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না।
এটাতে উঠতে গিয়ে প্রায়ই অটোরিকশা সহ বিভিন্ন যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত । বিধ্বস্ত হওয়া এ ব্রিজটি এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে পার্শ্ববর্তী ৩টি ইউনিয়নের বসবাসকারী মানুষজন ও শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারীদের ।
ছোট খাতা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, মাওলানা বজলুর রহমান বলেন, ওই ব্রিজের উপর দিয়ে আমার প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী যাওয়া আসা করে। তাদের নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় আল্লাহ না করুক কোন দুর্ঘটনায় পড়ুক তারা।
প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মইনুল হক জানান, গোডাউনের হাট সংলগ্ন ব্রিজটি অনেকদিন আগেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতদিন এটি ভেঙে ফেলে নতুন ভাবে তৈরি করা উচিত ছিল। আশা করি সংশ্লিষ্ট এলজিইডি বিভাগ কর্তৃপক্ষ এ সড়কে জনবহুলের চলাচলের গুরুত্ব বুঝে দ্রুততম সময়ে অচল ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
একই কথা বললেন, ঐ ইউনিয়নের স্বাবেক চেয়ারম্যান সামশুল হক হুদা। তিনি বলেন, আমরা এ এলাকার মানুষ এই অচল ব্রিজটির কারণে দুর্ঘটনা ঘটার আতঙ্কের মধ্যে আছি।
খালিশা চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান, সহিদুজ্জামান সরকার জানান, আমার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের পার্শ্ববতী চলাচলের অতি গুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়কের প্রায় বিধ্বস্ত ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলে পূনঃ নির্মাণের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা নির্বাহী মহোদয়কে অনেকবার মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়েছি। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাড়াতাড়ি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন ।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা বলেন, আমি ডিমলায় নতুন যোগদান করেছি। সরোজমিনে তদন্ত করে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেল নির্বাহী অফিসার মো, ইমরানুজ্জামান বলেন, ব্রিজের বিষয়টি ইতিমধ্যে আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। চলাচলে জন গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সর্বাধিক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অল্প দিনের মধ্যে এটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। সেটার জন্য ইতিমধ্যেই যথাযথ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ডিমলা (নীলফামারী) : ঝূকিপূর্ণ দেবে যাওয়া ধুম নদী ব্রিজ -সংবাদ
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
নীলফামারী ডিমলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের গোডাউনের হাট সংলগ্ন ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের পশ্চিম পাশের একমাত্র যাতায়াতের পাকা রাস্তার ধুম নদীর উপরে নির্মিত ব্রিজটি বিধ্বস্ত হয়ে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণ সংহারের আশঙ্কা রয়েছে।
নীলফামারীর ডিমলার ৩টি জনবহুল ইউনিয়নের বসবাসকারী লোকজনের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়কের গোডাউনের হাট ও খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের ৩শত গজ পশ্চিমে দীর্ঘদিন পূর্বে ধুম নদীর উপরে নির্মিত ব্রিজটি বয়সের ভারে বিধ্বস্ত হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রিজটির মাঝামাঝি ৩টি স্থানে দেবে গিয়ে উঁচু-নিচু হয়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদজনক হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এ ব্রিজের উপর দিয়ে ট্রাক, ট্রাক্টর, কার, মাইক্রো, মোটর সাইকেল ও অটোরিকশাসহ শতাধিক ভারী যানবাহন মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলচল করছে। তাছাড়া এ ব্রিজের উপর দিয়ে নাউতারা, গয়াবারী ও খালিশা চাপানী সহ ৩ টি ইউনিয়নের অধিকাংশ বসবাসকারী লোকজন চলাফেরা করে থাকে। এ এলাকার লোকজন তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিজাত পণ্য বাজারে বিক্রি করার জন্য এই ,ব্রিজ দিয়ে পাশাপাশি হাট-বাজার গোডাউনের হাট,নাউতারা হাট ও বাজার,নতুন বাজার ও শুটিবাড়ি হাট-বাজারে পরিবহনে করে নিয়ে যেতে চরম বিরম্বনার শিকার হন।
এ ছাড়াও ঐতিহ্যবাহী ছোটখাতা কামিল মাদ্রাসা, একাধিক মাধ্যমিক ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থী ব্রিজের উপর দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে। অতচ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের এ ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণের কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না।
এটাতে উঠতে গিয়ে প্রায়ই অটোরিকশা সহ বিভিন্ন যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত । বিধ্বস্ত হওয়া এ ব্রিজটি এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে পার্শ্ববর্তী ৩টি ইউনিয়নের বসবাসকারী মানুষজন ও শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারীদের ।
ছোট খাতা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, মাওলানা বজলুর রহমান বলেন, ওই ব্রিজের উপর দিয়ে আমার প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী যাওয়া আসা করে। তাদের নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় আল্লাহ না করুক কোন দুর্ঘটনায় পড়ুক তারা।
প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মইনুল হক জানান, গোডাউনের হাট সংলগ্ন ব্রিজটি অনেকদিন আগেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতদিন এটি ভেঙে ফেলে নতুন ভাবে তৈরি করা উচিত ছিল। আশা করি সংশ্লিষ্ট এলজিইডি বিভাগ কর্তৃপক্ষ এ সড়কে জনবহুলের চলাচলের গুরুত্ব বুঝে দ্রুততম সময়ে অচল ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
একই কথা বললেন, ঐ ইউনিয়নের স্বাবেক চেয়ারম্যান সামশুল হক হুদা। তিনি বলেন, আমরা এ এলাকার মানুষ এই অচল ব্রিজটির কারণে দুর্ঘটনা ঘটার আতঙ্কের মধ্যে আছি।
খালিশা চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান, সহিদুজ্জামান সরকার জানান, আমার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের পার্শ্ববতী চলাচলের অতি গুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়কের প্রায় বিধ্বস্ত ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলে পূনঃ নির্মাণের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা নির্বাহী মহোদয়কে অনেকবার মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়েছি। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাড়াতাড়ি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন ।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা বলেন, আমি ডিমলায় নতুন যোগদান করেছি। সরোজমিনে তদন্ত করে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেল নির্বাহী অফিসার মো, ইমরানুজ্জামান বলেন, ব্রিজের বিষয়টি ইতিমধ্যে আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। চলাচলে জন গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সর্বাধিক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অল্প দিনের মধ্যে এটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। সেটার জন্য ইতিমধ্যেই যথাযথ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।