কুষ্টিয়া : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ফটক -সংবাদ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অচল হয়ে যায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জরুরি প্রয়োজনেই তাদের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ চলে গেলে নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে যায় বা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে জরুরি যোগাযোগ ব্যাহত হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা যে মোবাইল অপারেটর বেশি ব্যবহার করেন তার মধ্যে টেলিটক অন্যতম। তবে এ নেটওয়ার্কে ধীরগতি ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি। আবার ক্যাম্পাসের বাইরে মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আরও বেশি। কারণ ক্যাম্পাসে বিদ্যুতের সীমিত ব্যাকআপ থাকলেও বাইরের এলাকায় লোডশেডিং বেশি হয়।
এ বিষয়ে টেলিটক অপারেটর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাদের নেটওয়ার্ক সিস্টেমে পাওয়ার ব্যাকআপ হিসেবে ব্যবহৃত অধিকাংশ ইউপিএস ইতোমধ্যেই অকেজো হয়ে গেছে। এ কারণে বিদ্যুৎ চলে গেলে সিম নেটওয়ার্কও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর পাওয়ার ব্যাকআপ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনারেটর থাকলেও নেটওয়ার্ক সিস্টেম সার্ভারকে সার্বক্ষণিক চালু রাখতে কার্যকর নেই অনলাইন ইউপিএস। যার ফলে বিদ্যুৎ আসার পরে সার্ভার আবার চালু হতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় নেয়। যার ফলে এসময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যায় না। যদি অনলাইন ইউপিএস দিয়ে সার্ভারকে সার্বক্ষণিক চালু রাখা যায় তাহলে শিক্ষার্থীরা নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা পাবে।
আইসিটি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রনি ইসলাম বলেন, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে আমরা শিক্ষার্থীরা টেলিটক অপারেটর বেশি ব্যবহার করে থাকি। বিদ্যুৎ না থাকলে অন্তত মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিক থাকলে আমরা কিছুটা কাজ চালাতে পারতাম। কিন্তু এখানে বিদ্যুৎ গেলে মোবাইল ইন্টারনেটও বন্ধ হয়ে যায়। এতে আমাদের পড়াশোনার পরিবেশ ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থাও অচল হয়ে পড়ছে।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহজাহান আলী বলেন, মোবাইল অপারেটর নেটওয়ার্ক সেবার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেলের নিয়ন্ত্রণে নেই। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের মাধ্যমে উদ্যোগ নিতে পারে। আর নেটওয়ার্ক সিস্টেম সার্ভারকে সার্বক্ষণিক চালু রাখতে অনলাইন ইউপিএস কেনার জন্য প্রসেস চলছে। কিছুদিনের মধ্যে এগুলো চলে আসলে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
মোবাইল অপারেটরের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরিফ উদ্দিন বলেন, টেলিটক মোবাইল অপারেটর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। তারা নতুন পাওয়ার ব্যাকআপের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন। আগামী মাস থেকেই কার্যক্রম শুরু করবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন। আশা করছি খুব শীঘ্রই বিদ্যুৎ চলে গেলেও নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো সমস্যার সমাধান হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
কুষ্টিয়া : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ফটক -সংবাদ
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অচল হয়ে যায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জরুরি প্রয়োজনেই তাদের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ চলে গেলে নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে যায় বা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে জরুরি যোগাযোগ ব্যাহত হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা যে মোবাইল অপারেটর বেশি ব্যবহার করেন তার মধ্যে টেলিটক অন্যতম। তবে এ নেটওয়ার্কে ধীরগতি ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি। আবার ক্যাম্পাসের বাইরে মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আরও বেশি। কারণ ক্যাম্পাসে বিদ্যুতের সীমিত ব্যাকআপ থাকলেও বাইরের এলাকায় লোডশেডিং বেশি হয়।
এ বিষয়ে টেলিটক অপারেটর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাদের নেটওয়ার্ক সিস্টেমে পাওয়ার ব্যাকআপ হিসেবে ব্যবহৃত অধিকাংশ ইউপিএস ইতোমধ্যেই অকেজো হয়ে গেছে। এ কারণে বিদ্যুৎ চলে গেলে সিম নেটওয়ার্কও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর পাওয়ার ব্যাকআপ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনারেটর থাকলেও নেটওয়ার্ক সিস্টেম সার্ভারকে সার্বক্ষণিক চালু রাখতে কার্যকর নেই অনলাইন ইউপিএস। যার ফলে বিদ্যুৎ আসার পরে সার্ভার আবার চালু হতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় নেয়। যার ফলে এসময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যায় না। যদি অনলাইন ইউপিএস দিয়ে সার্ভারকে সার্বক্ষণিক চালু রাখা যায় তাহলে শিক্ষার্থীরা নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা পাবে।
আইসিটি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রনি ইসলাম বলেন, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে আমরা শিক্ষার্থীরা টেলিটক অপারেটর বেশি ব্যবহার করে থাকি। বিদ্যুৎ না থাকলে অন্তত মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিক থাকলে আমরা কিছুটা কাজ চালাতে পারতাম। কিন্তু এখানে বিদ্যুৎ গেলে মোবাইল ইন্টারনেটও বন্ধ হয়ে যায়। এতে আমাদের পড়াশোনার পরিবেশ ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থাও অচল হয়ে পড়ছে।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহজাহান আলী বলেন, মোবাইল অপারেটর নেটওয়ার্ক সেবার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেলের নিয়ন্ত্রণে নেই। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের মাধ্যমে উদ্যোগ নিতে পারে। আর নেটওয়ার্ক সিস্টেম সার্ভারকে সার্বক্ষণিক চালু রাখতে অনলাইন ইউপিএস কেনার জন্য প্রসেস চলছে। কিছুদিনের মধ্যে এগুলো চলে আসলে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
মোবাইল অপারেটরের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরিফ উদ্দিন বলেন, টেলিটক মোবাইল অপারেটর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। তারা নতুন পাওয়ার ব্যাকআপের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন। আগামী মাস থেকেই কার্যক্রম শুরু করবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন। আশা করছি খুব শীঘ্রই বিদ্যুৎ চলে গেলেও নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো সমস্যার সমাধান হবে।