গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের সহযোগিতায় ভ্যান চালক হাফিজ শেখ ফিরে পেয়েছে তার জীবিকার একমাত্র অবলম্বনটি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলার আড়জুরী ইউনিয়নের ভান্ডারখোলা গ্রাম থেকে পুলিশের সহায়তায় ভ্যানটি উদ্ধার করে হাফিজ শেখের পরিবার। চুরির ঘটনায় বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার আড়জুরী ইউনিয়নের ভান্ডারখোলা গ্রামের আশব শেখের ছেলে আলিম শেখ জড়িত ছিলো। যেটা সিসি টিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানাযায়, গত ২১ অক্টোবর দুপুরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতর থেকে হাফিজ শেখের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ভ্যানটি চুরি হয়ে যায়। ওই ঘটনার পর ভ্যান চালক হাফিজ শেখ হাসপাতাল ব্রীজে বসে কান্নাকাটি কওে বিলাপ করতে থাকেন। এছাড়া কান্না জড়িত কণ্ঠে নিজের অসহায়ত্বের কথা উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান। ভ্যান চালক হাফিজের বিলাপের ভিডিও স্থানীয় কয়েকটি গনমাধ্যমের ফেসবুক পেজে প্রকাশ হলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তখন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ হাফিজের ভ্যানটি উদ্ধার করতে তৎপর হয়ে ওঠে। টুঙ্গিপাড়া হাসপাতালের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ কওে একজন চোরকে সনাক্ত কওে পুলিশ। পরে মোল্লাহাট থানা ও ভান্ডারখোলার ইউপি সদস্যর সঙ্গে যোগাযোগ করে টুঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভান্ডারখোলা এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের উপস্থিতিতে ভ্যানটি ফেরত পায় হাফিজ শেখ।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর চুরি হওয়া ভ্যানটি উদ্ধারের জন্য পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। তখন হাসপাতালের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে একজন চোরকে সনাক্ত করা হয়। পরে মোল্লাহাট থানা ও ভান্ডারখোলার ইউপি সদস্যর সাথে যোগাযোগ কওে ভ্যানটির খোঁজ পাওয়া যায়। পওে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুরি হওয়া ভ্যানটি ফেরত পায় চালক হাফিজ শেখ। চোর চক্রের সদস্যদেও আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের ঐ কর্মকর্তা।
চুরি হয়ে যাওয়া ভ্যানটি ফিরে পেয়ে আনন্দে আপ্লুত হাফিজ শেখ বলেন, ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ভ্যানটি কিনে ছিলাম। সারাদিন ভ্যান চালিয়ে যা আয় হতো তাই দিয়ে চলতো চার ছেলেমেয়ে সহ ছয়জনের সংসার। মাত্র ৪ টি কিস্তি দেয়ার পর জীবিকার একমাত্র অবলম্বন সেই ভ্যানটি চুরি হয়ে যায়। তখন মানসিক ভাবে সম্পূর্ন ভেঙে পড়ে ছিলাম। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশের সহযোগিতায় ভ্যানটি ফিরে পেয়েছি। তাই গণমাধ্যম ও পুলিশের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের সহযোগিতায় ভ্যান চালক হাফিজ শেখ ফিরে পেয়েছে তার জীবিকার একমাত্র অবলম্বনটি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলার আড়জুরী ইউনিয়নের ভান্ডারখোলা গ্রাম থেকে পুলিশের সহায়তায় ভ্যানটি উদ্ধার করে হাফিজ শেখের পরিবার। চুরির ঘটনায় বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার আড়জুরী ইউনিয়নের ভান্ডারখোলা গ্রামের আশব শেখের ছেলে আলিম শেখ জড়িত ছিলো। যেটা সিসি টিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানাযায়, গত ২১ অক্টোবর দুপুরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতর থেকে হাফিজ শেখের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ভ্যানটি চুরি হয়ে যায়। ওই ঘটনার পর ভ্যান চালক হাফিজ শেখ হাসপাতাল ব্রীজে বসে কান্নাকাটি কওে বিলাপ করতে থাকেন। এছাড়া কান্না জড়িত কণ্ঠে নিজের অসহায়ত্বের কথা উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান। ভ্যান চালক হাফিজের বিলাপের ভিডিও স্থানীয় কয়েকটি গনমাধ্যমের ফেসবুক পেজে প্রকাশ হলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তখন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ হাফিজের ভ্যানটি উদ্ধার করতে তৎপর হয়ে ওঠে। টুঙ্গিপাড়া হাসপাতালের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ কওে একজন চোরকে সনাক্ত কওে পুলিশ। পরে মোল্লাহাট থানা ও ভান্ডারখোলার ইউপি সদস্যর সঙ্গে যোগাযোগ করে টুঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভান্ডারখোলা এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের উপস্থিতিতে ভ্যানটি ফেরত পায় হাফিজ শেখ।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর চুরি হওয়া ভ্যানটি উদ্ধারের জন্য পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। তখন হাসপাতালের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে একজন চোরকে সনাক্ত করা হয়। পরে মোল্লাহাট থানা ও ভান্ডারখোলার ইউপি সদস্যর সাথে যোগাযোগ কওে ভ্যানটির খোঁজ পাওয়া যায়। পওে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুরি হওয়া ভ্যানটি ফেরত পায় চালক হাফিজ শেখ। চোর চক্রের সদস্যদেও আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের ঐ কর্মকর্তা।
চুরি হয়ে যাওয়া ভ্যানটি ফিরে পেয়ে আনন্দে আপ্লুত হাফিজ শেখ বলেন, ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ভ্যানটি কিনে ছিলাম। সারাদিন ভ্যান চালিয়ে যা আয় হতো তাই দিয়ে চলতো চার ছেলেমেয়ে সহ ছয়জনের সংসার। মাত্র ৪ টি কিস্তি দেয়ার পর জীবিকার একমাত্র অবলম্বন সেই ভ্যানটি চুরি হয়ে যায়। তখন মানসিক ভাবে সম্পূর্ন ভেঙে পড়ে ছিলাম। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশের সহযোগিতায় ভ্যানটি ফিরে পেয়েছি। তাই গণমাধ্যম ও পুলিশের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা।