দুমকি : সেতুর সংযোগ সড়কের অভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে যাতায়াত করছে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী -সংবাদ
পটুয়াখালীর দুমকিতে ব্রিজের কাজ দুই বছর আগে শেষ হলেও নেই ব্রিজে ওঠার সংযোগ সড়ক। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুলে মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থী ও ইউনিয়নের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের আশুরিয়া হোতা খালের ওপর ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ব্রিজের কাজ শেষ হয়েছে দুই বছর তবে এখনো সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের কাজ করা হয়নি। স্কুলশিক্ষার্থী, বয়স্ক ও শিশুসহ সাধারণ পথচারীরা পারাপার হচ্ছেন কাঠের সাঁকো দিয়ে।স্থানীয়রা জানান, গাবতলী ও দক্ষিন মুরাদিয়া এলাকার মানুষের দুমকি সদরে কাজে যাওয়ার জন্য এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া এই ইউনিয়নের কৃষকরা উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণে বিপাকে পড়েন। এ ব্রিজের সংযোগ সড়ক না থাকায় হঠাৎ অসুস্থ হলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসাসেবা সম্ভব হয় না। অনেক পথ ঘুরে যেতে হয়।অটোচালক আবুল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন সেতুটির সংযোগ সড়ক না থাকায় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অটো নিয়ে এই রাস্তায় যাতায়াত করা যাচ্ছে না।উত্তর শ্রীরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রনীর শিক্ষার্থী মালিহা আক্তার বলেন, বর্ষা মৌসুমে অনেক ঝুঁকি নিয়ে এই সেতুটি পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। মাঝেমধ্যে সেতু থেকে নামার সময় পিছলে পড়ে যায় অনেক শিক্ষার্থী। স্থানীয় বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতু পাড় হয়ে দুমকি আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসা, উত্তর শ্রীরামপুর স.প্রা.বি ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গাবতলী স.প্রা.বি এবং সালামপুর আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির হোসেন মৃধা বলেন, অনেক দিন ধরে দুর্ভোগে আছেন এলাকাবাসী। এই এলাকার মানুষকে সরকার মানুষ মনে করে না। মূল সেতু হয়ে গেছে অনেক দিন হয়। কিন্তু সংযোগ সড়ক হচ্ছে না। কখন কার হাত—পা ভাঙে সবসময় সে ভয়ে থাকতে হয়।
ঠিকাদার কাজ করে লা পাত্তা হয়েছেন, এলজিইডি দুমকি অফিসে কয়েকবার যোগাযোগ করেছি কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না।ঠিকাদার ইমরান হোসেন বলেন, বৃষ্টির জন্য সংযোগ সড়কের কাজ করতে পারিনি, কিছুদিনের মধ্যেই কাজটি শেষ করা হবে। দুমকি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, পানি থাকায় মাটির অভাবে সংযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে আশা করছি দ্রুত সংযোগ সড়কের কাজ সম্পন্ন হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
দুমকি : সেতুর সংযোগ সড়কের অভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে যাতায়াত করছে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী -সংবাদ
বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
পটুয়াখালীর দুমকিতে ব্রিজের কাজ দুই বছর আগে শেষ হলেও নেই ব্রিজে ওঠার সংযোগ সড়ক। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুলে মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থী ও ইউনিয়নের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের আশুরিয়া হোতা খালের ওপর ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ব্রিজের কাজ শেষ হয়েছে দুই বছর তবে এখনো সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের কাজ করা হয়নি। স্কুলশিক্ষার্থী, বয়স্ক ও শিশুসহ সাধারণ পথচারীরা পারাপার হচ্ছেন কাঠের সাঁকো দিয়ে।স্থানীয়রা জানান, গাবতলী ও দক্ষিন মুরাদিয়া এলাকার মানুষের দুমকি সদরে কাজে যাওয়ার জন্য এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া এই ইউনিয়নের কৃষকরা উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণে বিপাকে পড়েন। এ ব্রিজের সংযোগ সড়ক না থাকায় হঠাৎ অসুস্থ হলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসাসেবা সম্ভব হয় না। অনেক পথ ঘুরে যেতে হয়।অটোচালক আবুল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন সেতুটির সংযোগ সড়ক না থাকায় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অটো নিয়ে এই রাস্তায় যাতায়াত করা যাচ্ছে না।উত্তর শ্রীরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রনীর শিক্ষার্থী মালিহা আক্তার বলেন, বর্ষা মৌসুমে অনেক ঝুঁকি নিয়ে এই সেতুটি পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। মাঝেমধ্যে সেতু থেকে নামার সময় পিছলে পড়ে যায় অনেক শিক্ষার্থী। স্থানীয় বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতু পাড় হয়ে দুমকি আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসা, উত্তর শ্রীরামপুর স.প্রা.বি ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গাবতলী স.প্রা.বি এবং সালামপুর আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির হোসেন মৃধা বলেন, অনেক দিন ধরে দুর্ভোগে আছেন এলাকাবাসী। এই এলাকার মানুষকে সরকার মানুষ মনে করে না। মূল সেতু হয়ে গেছে অনেক দিন হয়। কিন্তু সংযোগ সড়ক হচ্ছে না। কখন কার হাত—পা ভাঙে সবসময় সে ভয়ে থাকতে হয়।
ঠিকাদার কাজ করে লা পাত্তা হয়েছেন, এলজিইডি দুমকি অফিসে কয়েকবার যোগাযোগ করেছি কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না।ঠিকাদার ইমরান হোসেন বলেন, বৃষ্টির জন্য সংযোগ সড়কের কাজ করতে পারিনি, কিছুদিনের মধ্যেই কাজটি শেষ করা হবে। দুমকি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, পানি থাকায় মাটির অভাবে সংযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে আশা করছি দ্রুত সংযোগ সড়কের কাজ সম্পন্ন হবে।