চান্দিনা (কুমিল্লা) : বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানজট -সংবাদ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা-বাগুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে সওজ বিভাগ। বুধবার,(০৫ নভেম্বর ২০২৫) সকাল ১১টার দিকে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের উভয় পাশে সওজের জায়গা দখল করে প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন দোকানপাট নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এসব দোকানিদের কাছ থেকে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করত প্রভাবশালীরা।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ১৬ নভেম্বর একই স্থানে প্রথমবারের মতো অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় একই স্থানে নতুন দোকান গড়ে ওঠে। পরে গত ১৮ মে দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালিয়ে আবারও প্রায় দুই শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়। তবে মাত্র ছয় মাস না যেতেই প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পুনরায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় তৃতীয়বারের মতো এই অভিযান পরিচালনা করে সওজ বিভাগ। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম ভূইয়া। অভিযানে সহযোগিতা করেন হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম এবং সেনাবাহিনীর একটি টিম।
সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, “মহাসড়কের চলাচল নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে রাখতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কেউ যেন পুনরায় সরকারি জায়গা দখল না করতে পারে, সে বিষয়ে আমরা নিয়মিত নজরদারি রাখব। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, প্রশাসনের বারবার উচ্ছেদ অভিযানের পরও একই স্থানে অবৈধ দোকান গড়ে ওঠা দুঃখজনক। তারা দখলদারদের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
চান্দিনা (কুমিল্লা) : বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানজট -সংবাদ
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা-বাগুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে সওজ বিভাগ। বুধবার,(০৫ নভেম্বর ২০২৫) সকাল ১১টার দিকে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের উভয় পাশে সওজের জায়গা দখল করে প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন দোকানপাট নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এসব দোকানিদের কাছ থেকে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করত প্রভাবশালীরা।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ১৬ নভেম্বর একই স্থানে প্রথমবারের মতো অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় একই স্থানে নতুন দোকান গড়ে ওঠে। পরে গত ১৮ মে দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালিয়ে আবারও প্রায় দুই শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়। তবে মাত্র ছয় মাস না যেতেই প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পুনরায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় তৃতীয়বারের মতো এই অভিযান পরিচালনা করে সওজ বিভাগ। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম ভূইয়া। অভিযানে সহযোগিতা করেন হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম এবং সেনাবাহিনীর একটি টিম।
সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, “মহাসড়কের চলাচল নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে রাখতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কেউ যেন পুনরায় সরকারি জায়গা দখল না করতে পারে, সে বিষয়ে আমরা নিয়মিত নজরদারি রাখব। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, প্রশাসনের বারবার উচ্ছেদ অভিযানের পরও একই স্থানে অবৈধ দোকান গড়ে ওঠা দুঃখজনক। তারা দখলদারদের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।