ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার চকিদারের খেয়াঘাটে ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে প্রায় ২০ গ্রামের পারাপার হয়ে থাকে।
এপাশে হাজারো ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা পথচারীরা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। এতে অনেক সময় নৌকাডুবিসহ মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল পড়ে যায় পানিতে। সেইসঙ্গে ওপার-এপার থেকে কৃষি ফসল সংগ্রহ করতে নানাভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এছাড়াও হঠাৎ কোনো রোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জীবন নির্ভর করে সময়ের ওপর। একটু দেরি হলেই রোগীর জীবন অসহ্য যন্ত্রণাসহ ওখানেই মৃত্যুর প্রহর গুনতে হয় ঘাঘট নদীর ঘাটে। এখানে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ মন্দুয়ার ঘাঘট নদীর চকিদারের খেয়াঘাট নামকস্থানে দেখা গেছে- নদী পারাপারে মানুষদের চরম দুর্ভোগের দৃশ্য।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, যখন জাতীয় সংসদ কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুরু হয়, তখন নদীপারে বৃদ্ধি পায় নেতাকর্মীদের আনাগোনা। নির্বাচনী প্রার্থীরা অবিরাম ছুটে চলেন ঘাঘট তীরের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। এসময় ডিঙ্গি নৌকার স্থলে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন তারা। তবে অর্ধশত বছরেও কথা রাখেনি কেউ। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়েই হাজারো মানুষ চলাচলা করছেন।
সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, এখানে ব্রিজ না থাকায় রোগী-শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত পার হন ডিঙ্গি নৌকায়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সেইসঙ্গে নদীপারের সন্তানদের বিয়ে করাতে অনেকটা বেগ পেতে হয়। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ জরুরি। চান মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, চকিদারের খেয়াঘাটে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হয়েছে কিন্তু শুধু আশ্বাস দিয়েই আসছেন। আজও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি।
বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল কাইয়ুম হুদা বলেন, ওইস্থানে জনগণের খুব ভোগান্তি হচ্ছে। চকিদারের ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। জরুরিভাবে ব্রিজ নির্মাণ দরকার। সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. মেনাজ বলেন, ইতোমধ্যে ওইস্থানে সমীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করা যায় অতি শিগগিরই সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার চকিদারের খেয়াঘাটে ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে প্রায় ২০ গ্রামের পারাপার হয়ে থাকে।
এপাশে হাজারো ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা পথচারীরা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। এতে অনেক সময় নৌকাডুবিসহ মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল পড়ে যায় পানিতে। সেইসঙ্গে ওপার-এপার থেকে কৃষি ফসল সংগ্রহ করতে নানাভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এছাড়াও হঠাৎ কোনো রোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জীবন নির্ভর করে সময়ের ওপর। একটু দেরি হলেই রোগীর জীবন অসহ্য যন্ত্রণাসহ ওখানেই মৃত্যুর প্রহর গুনতে হয় ঘাঘট নদীর ঘাটে। এখানে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ মন্দুয়ার ঘাঘট নদীর চকিদারের খেয়াঘাট নামকস্থানে দেখা গেছে- নদী পারাপারে মানুষদের চরম দুর্ভোগের দৃশ্য।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, যখন জাতীয় সংসদ কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুরু হয়, তখন নদীপারে বৃদ্ধি পায় নেতাকর্মীদের আনাগোনা। নির্বাচনী প্রার্থীরা অবিরাম ছুটে চলেন ঘাঘট তীরের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। এসময় ডিঙ্গি নৌকার স্থলে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন তারা। তবে অর্ধশত বছরেও কথা রাখেনি কেউ। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়েই হাজারো মানুষ চলাচলা করছেন।
সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, এখানে ব্রিজ না থাকায় রোগী-শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত পার হন ডিঙ্গি নৌকায়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সেইসঙ্গে নদীপারের সন্তানদের বিয়ে করাতে অনেকটা বেগ পেতে হয়। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ জরুরি। চান মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, চকিদারের খেয়াঘাটে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হয়েছে কিন্তু শুধু আশ্বাস দিয়েই আসছেন। আজও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি।
বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল কাইয়ুম হুদা বলেন, ওইস্থানে জনগণের খুব ভোগান্তি হচ্ছে। চকিদারের ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। জরুরিভাবে ব্রিজ নির্মাণ দরকার। সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. মেনাজ বলেন, ইতোমধ্যে ওইস্থানে সমীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করা যায় অতি শিগগিরই সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ হবে।