চাপ কমবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর
সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ গতকাল বৃহস্পতিবার মতলব উত্তর (চাঁদপুর) এবং গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলার সংযোগস্থলে মেঘনা-ধনাগোদা নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, প্রকল্প পরিচালক, প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ এবং উভয় প্রান্তের বর্ণিত সেতুর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (ঘ-১) এর ভবেরচর হতে শুরু করে চাঁদপুরের মতলব উত্তর পর্যন্ত প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্ট এবং নদীশাসন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এই সেতুটি হবে ১.৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং চার লেন বিশিষ্ট ক্যাবল স্টেইড সেতু, যার স্প্যানের দৈর্ঘ্য বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ হবে। এসময় প্রকল্পের প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ (যেমন: নদীর গভীরতা, স্রোতের গতি এবং ভূতাত্ত্বিক অবস্থা) সঠিকতা চিহ্নিত করার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন। পরিদর্শনকালে সেতু সচিব বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য বৈষম্যহীন, ব্যয় সাশ্রয়ী কানেক্টিভিটি গড়ে তোলা। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই সেতুটি নির্মাণ। এটি শুধু একটি সেতু নয়, এটি চাঁদপুরের অর্থনৈতিক প্রবেশদ্বার। বর্তমানে সড়কপথে ঢাকার সাথে এই অঞ্চলের যে দীর্ঘ এবং সময় সাপেক্ষ যোগাযোগ ব্যবস্থা, এই সেতুর মাধ্যমে তা হ্রাস পাবে এবং বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। বিশেষ করে, চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের মৎস্য ও কৃষিজ পণ্যগুলো দ্রুত রাজধানীতে পৌঁছানো সম্ভব হবে, যা প্রান্তিক চাষী ও ব্যবসায়ীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করবে।
তিনি আরও বলেন, সেতুটি নির্মিত হলে এটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর চাপ কমবে এবং এই অঞ্চলকে সরাসরি জাতীয় অর্থনীতির মূল স্রোতে নিয়ে আসবে। সচিব মহোদয় আশ্বাস দেন, জনগণের মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বমানের প্রকৌশল ও পরিবেশবান্ধব নকশা অনুসরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ডিটেইল্ড ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে, ভূমি অধি গ্রহণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসময় তিনি মতলব উত্তর অংশের বিদ্যমান সড়কের প্রয়োজনীয় সম্প্রসারণের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর নির্বাহী প্রকৌশলীদের নির্দেশনা প্রদান করেন। পরিদর্শন শেষে সচিব, সেতু বিভাগ, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক, মতলব উত্তর এর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সাথে এ প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে আলোচনা করেন এবং উপস্থিত সকলকে এই জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নে সেতু কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানান।
এসময় যুগ্ম সচিব ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরী ভুলুসহ সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পরিচালক বৃন্দ, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, চাঁদপুর সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা কুলসুম মনি, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী, মতলব উত্তর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ সহ বিভিন্ন কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
চাপ কমবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ গতকাল বৃহস্পতিবার মতলব উত্তর (চাঁদপুর) এবং গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলার সংযোগস্থলে মেঘনা-ধনাগোদা নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, প্রকল্প পরিচালক, প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ এবং উভয় প্রান্তের বর্ণিত সেতুর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (ঘ-১) এর ভবেরচর হতে শুরু করে চাঁদপুরের মতলব উত্তর পর্যন্ত প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্ট এবং নদীশাসন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এই সেতুটি হবে ১.৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং চার লেন বিশিষ্ট ক্যাবল স্টেইড সেতু, যার স্প্যানের দৈর্ঘ্য বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ হবে। এসময় প্রকল্পের প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ (যেমন: নদীর গভীরতা, স্রোতের গতি এবং ভূতাত্ত্বিক অবস্থা) সঠিকতা চিহ্নিত করার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন। পরিদর্শনকালে সেতু সচিব বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য বৈষম্যহীন, ব্যয় সাশ্রয়ী কানেক্টিভিটি গড়ে তোলা। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই সেতুটি নির্মাণ। এটি শুধু একটি সেতু নয়, এটি চাঁদপুরের অর্থনৈতিক প্রবেশদ্বার। বর্তমানে সড়কপথে ঢাকার সাথে এই অঞ্চলের যে দীর্ঘ এবং সময় সাপেক্ষ যোগাযোগ ব্যবস্থা, এই সেতুর মাধ্যমে তা হ্রাস পাবে এবং বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। বিশেষ করে, চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের মৎস্য ও কৃষিজ পণ্যগুলো দ্রুত রাজধানীতে পৌঁছানো সম্ভব হবে, যা প্রান্তিক চাষী ও ব্যবসায়ীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করবে।
তিনি আরও বলেন, সেতুটি নির্মিত হলে এটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর চাপ কমবে এবং এই অঞ্চলকে সরাসরি জাতীয় অর্থনীতির মূল স্রোতে নিয়ে আসবে। সচিব মহোদয় আশ্বাস দেন, জনগণের মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বমানের প্রকৌশল ও পরিবেশবান্ধব নকশা অনুসরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ডিটেইল্ড ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে, ভূমি অধি গ্রহণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসময় তিনি মতলব উত্তর অংশের বিদ্যমান সড়কের প্রয়োজনীয় সম্প্রসারণের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর নির্বাহী প্রকৌশলীদের নির্দেশনা প্রদান করেন। পরিদর্শন শেষে সচিব, সেতু বিভাগ, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক, মতলব উত্তর এর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সাথে এ প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে আলোচনা করেন এবং উপস্থিত সকলকে এই জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নে সেতু কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানান।
এসময় যুগ্ম সচিব ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরী ভুলুসহ সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পরিচালক বৃন্দ, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, চাঁদপুর সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা কুলসুম মনি, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী, মতলব উত্তর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ সহ বিভিন্ন কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।