রায়পুর উপজেলা ভূমি অফিস এক সময় যেখান থেকে হয়রানি, দালাল চক্র ও অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ শোনা যেত, সেই চিত্র এখন সম্পূর্ণ বদলে গেছে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগে অফিসটি এখন জনআস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিগার সুলতানার নানামুখী পদক্ষেপের ফলে ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের কাছে রায়পুর উপজেলা ভূমি অফিস একটি জনবান্ধব ভূমি অফিসে পরিণত হয়েছে। তিন মাস আগে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তিনি একের পর এক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এক দিনে আবেদন, এক দিনে নামজারি এই ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইতোমধ্যে দুই শতাধিকের বেশি নামজারি সম্পন্ন করা হয়েছে।
সরজমিনে উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের প্রবেশমুখে স্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ব্যানার ও স্টিকার। সাধারণ মানুষের জন্য স্থাপন করা হয়েছে হেল্পডেস্ক। এখানে সব নথিপত্র বিশেষ উপায়ে স্মারক ও ক্রমানুসারে নথিভুক্ত করা হয়েছে। কোনো নথি প্রয়োজন হলে ১ মিনিটের মধ্যে তা বের করা সম্ভব। অফিসের দেয়ালে দেয়ালে দালাল ও ঘুষ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান শোভা পাচ্ছে। এখন ভূমি মালিক নিজেই সরাসরি সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর গিয়ে তাদের কাজকর্ম করে নিতে পারছেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিগার সুলতানা বলেন, সাধারণ মানুষ ভূমি সংক্রান্ত কোনো কাজই জানে না। ফলে, তারা না বুঝেই দালালদের খপ্পরে পড়ে। তাই আমরা ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষের জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। মানুষকে সেবা দেওয়াই আমাদের মূল কাজ। ভূমি সংক্রান্ত সেবা নিতে এসে কেউ ভোগান্তির শিকার হবে, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ইতোমধ্যে দালালমুক্ত ভূমি অফিস করার উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করলে দালাল চক্ররা ২ বা ১ বছরের আগের কিছু তথ্য ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে কাজের বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এ থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
রায়পুর উপজেলা ভূমি অফিস এক সময় যেখান থেকে হয়রানি, দালাল চক্র ও অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ শোনা যেত, সেই চিত্র এখন সম্পূর্ণ বদলে গেছে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগে অফিসটি এখন জনআস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিগার সুলতানার নানামুখী পদক্ষেপের ফলে ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের কাছে রায়পুর উপজেলা ভূমি অফিস একটি জনবান্ধব ভূমি অফিসে পরিণত হয়েছে। তিন মাস আগে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তিনি একের পর এক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এক দিনে আবেদন, এক দিনে নামজারি এই ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইতোমধ্যে দুই শতাধিকের বেশি নামজারি সম্পন্ন করা হয়েছে।
সরজমিনে উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের প্রবেশমুখে স্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ব্যানার ও স্টিকার। সাধারণ মানুষের জন্য স্থাপন করা হয়েছে হেল্পডেস্ক। এখানে সব নথিপত্র বিশেষ উপায়ে স্মারক ও ক্রমানুসারে নথিভুক্ত করা হয়েছে। কোনো নথি প্রয়োজন হলে ১ মিনিটের মধ্যে তা বের করা সম্ভব। অফিসের দেয়ালে দেয়ালে দালাল ও ঘুষ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান শোভা পাচ্ছে। এখন ভূমি মালিক নিজেই সরাসরি সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর গিয়ে তাদের কাজকর্ম করে নিতে পারছেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিগার সুলতানা বলেন, সাধারণ মানুষ ভূমি সংক্রান্ত কোনো কাজই জানে না। ফলে, তারা না বুঝেই দালালদের খপ্পরে পড়ে। তাই আমরা ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষের জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। মানুষকে সেবা দেওয়াই আমাদের মূল কাজ। ভূমি সংক্রান্ত সেবা নিতে এসে কেউ ভোগান্তির শিকার হবে, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ইতোমধ্যে দালালমুক্ত ভূমি অফিস করার উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করলে দালাল চক্ররা ২ বা ১ বছরের আগের কিছু তথ্য ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে কাজের বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এ থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে।