সিরাজগঞ্জ : বিদ্যুৎ সংযোগ অভাবে সেচ পাম্প বন্ধ- কৃষকেরা হতাশ -সংবাদ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে ঝুলে রয়েছে ২কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যায়ে ১৭ টি এলএলপি সেচ প্রকল্প। নির্ধারিত সময়ে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হলেও দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ার কৃষকদের মাঝে এক ধরনের হতাশা নেমে এসেছে। এতে করে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে অন্যদিকে ফসল উৎপাদনে কৃষকের মাঝে অনিহা দেখা দিয়েছে। আর বিদ্যুৎ অফিসের দাবি প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরবরাহ না থাকায় সংযোগ স্থাপনে বিলম্ব হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে বিএডিসি পানাশি( ক্ষুদ্র সেচ) প্রকল্পের আওতায় ৫ কিউসেক ১০টি ও ২ কিউসেক ৭টি এলএলপি সেচ প্রকল্পের ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার বরাদ্দ হয়। সরকারি বিধি অনুযায়ী ঠিকাদারদের মাধ্যমে ১৭ টি এলএলপির অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ধানগড়া ইউপির ঝাগড়া গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দীন ও জামান সাহেব বলেন ৪ বছর ধরে ঝুলে আছে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ কাজ । ২০২১ সাল হতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য অফিসে ঘুরতে ঘুরতে আমরা এখন যেন হতাশ হয়ে পড়েছি। নানা অযুহাতে শুধু কালক্ষেপণ করে চলছে পল্লী বিদ্যুত অফিস ও দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলো। তেলিজানা গ্রামের মাফুজুল বলেন দীর্ঘ দিন হয়ে গেল, কিন্তু আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ হইলো না।
চান্দাইকোনা ইউপির দাথিয়া দিগর গ্রামের কৃষক ফরিদুল ইসলাম বলেন ৪ বছরেও মেলেনি সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ। কিন্তু বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের জন্য ২০২১ সাল হতে বিভিন্ন তারিখে স্মারক নম্বর সহ ১৭ টি সেচ পাম্পের বিপরীতে ডিমান্ড নোটের মাধ্যমে ৭৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ভুইয়াগাতী পল্লী বিদ্যুত জোনাল অফিস জমা দেওয়া হয় ।
এবিষয়ে বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী আনন্দ কুমার বর্মন বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ১৭টি সেচ পাম্পের ডিমান্ড নোট পল্লী বিদ্যুত অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে । তবে দীর্ঘদিন যাবৎ অতিবাহিত হলেও সংযোগ না দেওয়ায় পাম্প চালানো সম্ভব হচ্ছে না । এতে কৃষকেরা হতাশায় ভুগছে বলেও জানান তিনি ।
এ ব্যাপারে ভূইয়াগাতী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম নিজামুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ১৭ টি প্রকল্পের মধ্যে ইতিমধ্যেই একটি সমাপ্ত হয়েছে। ৯ টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাছাড়া একটি নতুন রেল লাইন সম্পত্তির আওতায় এবং কয়েকটিতে স্থানীয প্রভাবশালী জমির মালিকদের বাধার কারনে ঠিকাদার কাজ করতে পারছেনা। রোববার আবারো সংয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। দ্রুতই এর সমাধান হবে বলে তিনি জানান।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সিরাজগঞ্জ : বিদ্যুৎ সংযোগ অভাবে সেচ পাম্প বন্ধ- কৃষকেরা হতাশ -সংবাদ
রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে ঝুলে রয়েছে ২কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যায়ে ১৭ টি এলএলপি সেচ প্রকল্প। নির্ধারিত সময়ে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হলেও দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ার কৃষকদের মাঝে এক ধরনের হতাশা নেমে এসেছে। এতে করে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে অন্যদিকে ফসল উৎপাদনে কৃষকের মাঝে অনিহা দেখা দিয়েছে। আর বিদ্যুৎ অফিসের দাবি প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরবরাহ না থাকায় সংযোগ স্থাপনে বিলম্ব হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে বিএডিসি পানাশি( ক্ষুদ্র সেচ) প্রকল্পের আওতায় ৫ কিউসেক ১০টি ও ২ কিউসেক ৭টি এলএলপি সেচ প্রকল্পের ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার বরাদ্দ হয়। সরকারি বিধি অনুযায়ী ঠিকাদারদের মাধ্যমে ১৭ টি এলএলপির অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ধানগড়া ইউপির ঝাগড়া গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দীন ও জামান সাহেব বলেন ৪ বছর ধরে ঝুলে আছে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ কাজ । ২০২১ সাল হতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য অফিসে ঘুরতে ঘুরতে আমরা এখন যেন হতাশ হয়ে পড়েছি। নানা অযুহাতে শুধু কালক্ষেপণ করে চলছে পল্লী বিদ্যুত অফিস ও দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলো। তেলিজানা গ্রামের মাফুজুল বলেন দীর্ঘ দিন হয়ে গেল, কিন্তু আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ হইলো না।
চান্দাইকোনা ইউপির দাথিয়া দিগর গ্রামের কৃষক ফরিদুল ইসলাম বলেন ৪ বছরেও মেলেনি সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ। কিন্তু বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের জন্য ২০২১ সাল হতে বিভিন্ন তারিখে স্মারক নম্বর সহ ১৭ টি সেচ পাম্পের বিপরীতে ডিমান্ড নোটের মাধ্যমে ৭৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ভুইয়াগাতী পল্লী বিদ্যুত জোনাল অফিস জমা দেওয়া হয় ।
এবিষয়ে বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী আনন্দ কুমার বর্মন বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ১৭টি সেচ পাম্পের ডিমান্ড নোট পল্লী বিদ্যুত অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে । তবে দীর্ঘদিন যাবৎ অতিবাহিত হলেও সংযোগ না দেওয়ায় পাম্প চালানো সম্ভব হচ্ছে না । এতে কৃষকেরা হতাশায় ভুগছে বলেও জানান তিনি ।
এ ব্যাপারে ভূইয়াগাতী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম নিজামুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ১৭ টি প্রকল্পের মধ্যে ইতিমধ্যেই একটি সমাপ্ত হয়েছে। ৯ টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাছাড়া একটি নতুন রেল লাইন সম্পত্তির আওতায় এবং কয়েকটিতে স্থানীয প্রভাবশালী জমির মালিকদের বাধার কারনে ঠিকাদার কাজ করতে পারছেনা। রোববার আবারো সংয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। দ্রুতই এর সমাধান হবে বলে তিনি জানান।