ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের দাসকান্দি বাজারে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ -৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান রতন। রোববার, (০৯ নভেম্বর ২০২৫) সকাল সাড়ে ১০টা ঘটনাস্হল পরিদর্শন গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৮ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পরিবারের প্রতি সহানুভুতি প্রকাশ করে নগদ ৪ লাখ টাকা ও প্রতি পরিবারে ৩০ কেজি চাল খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দাশকান্দী বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মুছা সরকার,বিএনপি নেতা অধ্যাপক একেএম গিয়াসউদ্দীন আহম্মেদ, কৃষক দলের জেলা আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম পিন্টু,বিএনপি নেতা আবদুল মান্নান মিয়াজী,এবাদুল হক, নুরুল আমিন সরকার,উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক রাসেল দেওয়ান, সদস্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন সরকার, যুবদলের নেতা আসলামুজ্জোহা চৌধুরী তপন, নজরুল মেম্বার,আশ্রাফুল আলম সবুজ প্রমূখ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার ভোর সাড় ৪টায় সংঘটিত হওয়া অগ্নিকান্ডে বাজারটির পশ্চিম- উত্তরাংশের ফার্মেসী, মিষ্টান্ন, কাপড় ও শুটকির দোকানসহ ৮ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের থাকা মালামাল পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ মায়া মেডিকেল হল এর মালিক দেবাশীষ রায় চৌধুরী জানান, তার বাবা প্রয়াত পবিত্র রায় চৌধুরীর হাতে গড়া শত বছরের প্রতিষ্ঠানটি আজ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেলো।
গজারিয়া উপজেলা ফায়ার স্টেশন ব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ভোর পৌণে ৫টায় আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট প্রায় ২৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, তবে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে এক ঘন্টার বেশি সময় লাগে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাজারের নিরাপত্তা প্রহরী চাঁন মিয়াসহ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, শনিবার ভোর সাড়ে ৪টায় প্রথমে ১টি দোকানে আগুন লাগে। সেই আগুন পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে অগ্নি নির্বাপক কর্মীরা যোগ দেয়। ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
দোকানের মালিক ক্ষুধিরাম বর্মণ, সঞ্জিত, হিমাংশু, আব্দুল আউয়াল ও ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনেই একের পর এক দোকান পুড়ে গেল আমরা কিছুই করতে পারিনি। কিভাবে কি হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারলাম না।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের দাসকান্দি বাজারে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ -৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান রতন। রোববার, (০৯ নভেম্বর ২০২৫) সকাল সাড়ে ১০টা ঘটনাস্হল পরিদর্শন গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৮ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পরিবারের প্রতি সহানুভুতি প্রকাশ করে নগদ ৪ লাখ টাকা ও প্রতি পরিবারে ৩০ কেজি চাল খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দাশকান্দী বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মুছা সরকার,বিএনপি নেতা অধ্যাপক একেএম গিয়াসউদ্দীন আহম্মেদ, কৃষক দলের জেলা আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম পিন্টু,বিএনপি নেতা আবদুল মান্নান মিয়াজী,এবাদুল হক, নুরুল আমিন সরকার,উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক রাসেল দেওয়ান, সদস্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন সরকার, যুবদলের নেতা আসলামুজ্জোহা চৌধুরী তপন, নজরুল মেম্বার,আশ্রাফুল আলম সবুজ প্রমূখ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার ভোর সাড় ৪টায় সংঘটিত হওয়া অগ্নিকান্ডে বাজারটির পশ্চিম- উত্তরাংশের ফার্মেসী, মিষ্টান্ন, কাপড় ও শুটকির দোকানসহ ৮ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের থাকা মালামাল পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ মায়া মেডিকেল হল এর মালিক দেবাশীষ রায় চৌধুরী জানান, তার বাবা প্রয়াত পবিত্র রায় চৌধুরীর হাতে গড়া শত বছরের প্রতিষ্ঠানটি আজ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেলো।
গজারিয়া উপজেলা ফায়ার স্টেশন ব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ভোর পৌণে ৫টায় আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট প্রায় ২৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, তবে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে এক ঘন্টার বেশি সময় লাগে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাজারের নিরাপত্তা প্রহরী চাঁন মিয়াসহ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, শনিবার ভোর সাড়ে ৪টায় প্রথমে ১টি দোকানে আগুন লাগে। সেই আগুন পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে অগ্নি নির্বাপক কর্মীরা যোগ দেয়। ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
দোকানের মালিক ক্ষুধিরাম বর্মণ, সঞ্জিত, হিমাংশু, আব্দুল আউয়াল ও ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনেই একের পর এক দোকান পুড়ে গেল আমরা কিছুই করতে পারিনি। কিভাবে কি হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারলাম না।’