গলাচিপা (পটুয়াখালী) : ঝুঁকি নিয়ে পারাপার -সংবাদ
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া ও ডাকুয়া এ দুই ইউনিয়নের মানুষের মেলবন্ধনের সেতুটির চরম বেহাল দশা। যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ দুই ইউনিয়নের মানুষের দুর্ভোগ, দুর্দশা এখন চরমে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি পারাপার হতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর গজালিয়া বাজার সংলগ্ন গজালিয়া খালের উপর প্রায় ২৪০ ফুট স্লিপার ব্রিজটি নির্মাণ করে। প্রায় সিকি শতাব্দি আগে এটি নির্মিত হয়। দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও এর রক্ষণাবেক্ষণ বা সংস্কারে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় অনেকটা দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিজের অনেক স্লিপার ভেঙে গেছে। এলাকাবাসী ভেঙে যাওয়া স্থানে বাঁশ ও কাঠের পাটাতন বানিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপারে বাধ্য হচ্ছে।
সরেজমিন গেলে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক হাফিজুর রহমান জানান, পারাপারের সময় স্কুলগামী অনেক শিশু বই-খাতা নিয়ে খালের মধ্যে পড়ে যায়। জীবনহানি না ঘটলেও অনেকেই গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে যেতে বাধ্য হয়েছে। গজালিয়া বাজারে অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি হাসপাতাল, একটি মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। পাশ্ববর্তী ডাকুয়া ইউনিয়নের ৪ গ্রামের শতাধিক শিশু প্রাইমারি স্কুল ও মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। প্রতি সপ্তাহে রোববার ও বুধবার গজালিয়া হাট বসে। ওই এলাকার সমাজসেবক আলাউদ্দিন বিশ্বাস জানান, হাটের দিনগুলোতে এলাকার মানুষ ও ব্যবসায়ীদের এ ব্রিজ দিয়ে পারাপারে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তিনি।
গলাচিপা উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুই ইউনিয়নের সংযোগ স্থাপনকারী গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটির সংস্কার অথবা পুনঃনির্মাণে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
গলাচিপা (পটুয়াখালী) : ঝুঁকি নিয়ে পারাপার -সংবাদ
রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া ও ডাকুয়া এ দুই ইউনিয়নের মানুষের মেলবন্ধনের সেতুটির চরম বেহাল দশা। যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ দুই ইউনিয়নের মানুষের দুর্ভোগ, দুর্দশা এখন চরমে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি পারাপার হতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর গজালিয়া বাজার সংলগ্ন গজালিয়া খালের উপর প্রায় ২৪০ ফুট স্লিপার ব্রিজটি নির্মাণ করে। প্রায় সিকি শতাব্দি আগে এটি নির্মিত হয়। দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও এর রক্ষণাবেক্ষণ বা সংস্কারে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় অনেকটা দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিজের অনেক স্লিপার ভেঙে গেছে। এলাকাবাসী ভেঙে যাওয়া স্থানে বাঁশ ও কাঠের পাটাতন বানিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপারে বাধ্য হচ্ছে।
সরেজমিন গেলে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক হাফিজুর রহমান জানান, পারাপারের সময় স্কুলগামী অনেক শিশু বই-খাতা নিয়ে খালের মধ্যে পড়ে যায়। জীবনহানি না ঘটলেও অনেকেই গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে যেতে বাধ্য হয়েছে। গজালিয়া বাজারে অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি হাসপাতাল, একটি মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। পাশ্ববর্তী ডাকুয়া ইউনিয়নের ৪ গ্রামের শতাধিক শিশু প্রাইমারি স্কুল ও মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। প্রতি সপ্তাহে রোববার ও বুধবার গজালিয়া হাট বসে। ওই এলাকার সমাজসেবক আলাউদ্দিন বিশ্বাস জানান, হাটের দিনগুলোতে এলাকার মানুষ ও ব্যবসায়ীদের এ ব্রিজ দিয়ে পারাপারে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তিনি।
গলাচিপা উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুই ইউনিয়নের সংযোগ স্থাপনকারী গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটির সংস্কার অথবা পুনঃনির্মাণে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।