প্রযুক্তির উন্নয়ন ও আধুনিক বিনোদনের ছোঁয়ায় ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের অন্যতম শিল্প ‘যাত্রাপালা’। এই হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বকুল স্মৃতি থিয়েটারের উদ্যোগে মঞ্চস্থ হয়েছে সামাজিক যাত্রাপালা গৌরি মালা’।
উপজেলার গালিমপুর গ্রামের গিরিশ ধাম জমিদারবাড়ি সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত এই সামাজিক যাত্রাপালাকে ঘিরে গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আমেজ। দীর্ঘদিন পর এমন আয়োজন হওয়ায় নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবাই মেতে ওঠেন গ্রামীণ বিনোদনের প্রাণবন্ত এই উৎসবে।
যাত্রাপালা গৗরি মালা-তে গ্রামীণ কুসংস্কার, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, সমাজে নৈতিকতা, পারিবারিক বন্ধন ও মানবিক মূল্যবোধের বিষয়গুলো নাট্যরূপে উপস্থাপন করা হয়। অভিনয় শিল্পীদের প্রাণবন্ত পারফরম্যান্সে দর্শকরা পুরো সময় মুগ্ধ হয়ে থাকেন। গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করেন এই সামাজিক নাট্যরূপ।
আধুনিক মঞ্চসজ্জা, আলো ও সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবহারে পরিবেশিত হলেও উপস্থাপনায় ছিল সেই পুরোনো দিনের রূপ। ঢোলের তালে তালে সংলাপ, গান ও অভিনয়ের মেলবন্ধনে দর্শকরা ফিরে যান গ্রামীণ সংস্কৃতির অতীতে।
সারাদিন কৃষিকাজ শেষে সন্ধ্যায় উপজেলার জিগরী গ্রাম থেকে যাত্রা দেখতে আসেন কৃষক আব্দুর রাজ্জাক (৫২)। তিনি বলেন, “আজকাল এমন আয়োজন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অনেকদিন পর এত সুন্দর আয়োজন দেখলাম। মা-বোন, আত্মীয়স্বজন সবাই মিলে উপভোগ করছি। কোনো অশ্লীলতা ছাড়াই এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ। লক্ষনহাটি গ্রামের গৃহিণী রোকেয়া বেগম (২৩) বলেন, “গ্রামে এখন আর এমন যাত্রা হয় না। আজ খবর পেয়ে পরিবারের সবাই মিলে দেখতে এসেছি। অনেকদিন পর এমন আয়োজন দেখে খুব ভালো লাগছে।
যাত্রাপালার আয়োজন কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত শিল্পী ও কলাকুশলীদের জীবিকা। একসময় যাত্রাই ছিল তাদের একমাত্র আয়ের উৎস। এখন নিয়মিত মঞ্চায়নের অভাবে অনেকেই পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, নিয়মিত এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করা গেলে গ্রামীণ সংস্কৃতির এই ধারাটি আবারও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
প্রযুক্তির উন্নয়ন ও আধুনিক বিনোদনের ছোঁয়ায় ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের অন্যতম শিল্প ‘যাত্রাপালা’। এই হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বকুল স্মৃতি থিয়েটারের উদ্যোগে মঞ্চস্থ হয়েছে সামাজিক যাত্রাপালা গৌরি মালা’।
উপজেলার গালিমপুর গ্রামের গিরিশ ধাম জমিদারবাড়ি সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত এই সামাজিক যাত্রাপালাকে ঘিরে গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আমেজ। দীর্ঘদিন পর এমন আয়োজন হওয়ায় নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবাই মেতে ওঠেন গ্রামীণ বিনোদনের প্রাণবন্ত এই উৎসবে।
যাত্রাপালা গৗরি মালা-তে গ্রামীণ কুসংস্কার, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, সমাজে নৈতিকতা, পারিবারিক বন্ধন ও মানবিক মূল্যবোধের বিষয়গুলো নাট্যরূপে উপস্থাপন করা হয়। অভিনয় শিল্পীদের প্রাণবন্ত পারফরম্যান্সে দর্শকরা পুরো সময় মুগ্ধ হয়ে থাকেন। গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করেন এই সামাজিক নাট্যরূপ।
আধুনিক মঞ্চসজ্জা, আলো ও সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবহারে পরিবেশিত হলেও উপস্থাপনায় ছিল সেই পুরোনো দিনের রূপ। ঢোলের তালে তালে সংলাপ, গান ও অভিনয়ের মেলবন্ধনে দর্শকরা ফিরে যান গ্রামীণ সংস্কৃতির অতীতে।
সারাদিন কৃষিকাজ শেষে সন্ধ্যায় উপজেলার জিগরী গ্রাম থেকে যাত্রা দেখতে আসেন কৃষক আব্দুর রাজ্জাক (৫২)। তিনি বলেন, “আজকাল এমন আয়োজন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অনেকদিন পর এত সুন্দর আয়োজন দেখলাম। মা-বোন, আত্মীয়স্বজন সবাই মিলে উপভোগ করছি। কোনো অশ্লীলতা ছাড়াই এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ। লক্ষনহাটি গ্রামের গৃহিণী রোকেয়া বেগম (২৩) বলেন, “গ্রামে এখন আর এমন যাত্রা হয় না। আজ খবর পেয়ে পরিবারের সবাই মিলে দেখতে এসেছি। অনেকদিন পর এমন আয়োজন দেখে খুব ভালো লাগছে।
যাত্রাপালার আয়োজন কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত শিল্পী ও কলাকুশলীদের জীবিকা। একসময় যাত্রাই ছিল তাদের একমাত্র আয়ের উৎস। এখন নিয়মিত মঞ্চায়নের অভাবে অনেকেই পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, নিয়মিত এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করা গেলে গ্রামীণ সংস্কৃতির এই ধারাটি আবারও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।