alt

বাগাতিপাড়ায় মঞ্চস্থ হলো যাত্রাপালা গৌরি মালা, গ্রামজুড়ে উৎসবের আমেজ

ফজলে রাব্বি, বাগাতিপাড়া (নাটোর) : সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

প্রযুক্তির উন্নয়ন ও আধুনিক বিনোদনের ছোঁয়ায় ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের অন্যতম শিল্প ‘যাত্রাপালা’। এই হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বকুল স্মৃতি থিয়েটারের উদ্যোগে মঞ্চস্থ হয়েছে সামাজিক যাত্রাপালা গৌরি মালা’।

উপজেলার গালিমপুর গ্রামের গিরিশ ধাম জমিদারবাড়ি সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত এই সামাজিক যাত্রাপালাকে ঘিরে গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আমেজ। দীর্ঘদিন পর এমন আয়োজন হওয়ায় নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবাই মেতে ওঠেন গ্রামীণ বিনোদনের প্রাণবন্ত এই উৎসবে।

যাত্রাপালা গৗরি মালা-তে গ্রামীণ কুসংস্কার, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, সমাজে নৈতিকতা, পারিবারিক বন্ধন ও মানবিক মূল্যবোধের বিষয়গুলো নাট্যরূপে উপস্থাপন করা হয়। অভিনয় শিল্পীদের প্রাণবন্ত পারফরম্যান্সে দর্শকরা পুরো সময় মুগ্ধ হয়ে থাকেন। গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করেন এই সামাজিক নাট্যরূপ।

আধুনিক মঞ্চসজ্জা, আলো ও সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবহারে পরিবেশিত হলেও উপস্থাপনায় ছিল সেই পুরোনো দিনের রূপ। ঢোলের তালে তালে সংলাপ, গান ও অভিনয়ের মেলবন্ধনে দর্শকরা ফিরে যান গ্রামীণ সংস্কৃতির অতীতে।

সারাদিন কৃষিকাজ শেষে সন্ধ্যায় উপজেলার জিগরী গ্রাম থেকে যাত্রা দেখতে আসেন কৃষক আব্দুর রাজ্জাক (৫২)। তিনি বলেন, “আজকাল এমন আয়োজন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অনেকদিন পর এত সুন্দর আয়োজন দেখলাম। মা-বোন, আত্মীয়স্বজন সবাই মিলে উপভোগ করছি। কোনো অশ্লীলতা ছাড়াই এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ। লক্ষনহাটি গ্রামের গৃহিণী রোকেয়া বেগম (২৩) বলেন, “গ্রামে এখন আর এমন যাত্রা হয় না। আজ খবর পেয়ে পরিবারের সবাই মিলে দেখতে এসেছি। অনেকদিন পর এমন আয়োজন দেখে খুব ভালো লাগছে।

যাত্রাপালার আয়োজন কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত শিল্পী ও কলাকুশলীদের জীবিকা। একসময় যাত্রাই ছিল তাদের একমাত্র আয়ের উৎস। এখন নিয়মিত মঞ্চায়নের অভাবে অনেকেই পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, নিয়মিত এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করা গেলে গ্রামীণ সংস্কৃতির এই ধারাটি আবারও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

ছবি

হাই কোর্টের রায়: বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল

চিংড়িজোনের বহিরাগতদের চিংড়িপ্লট বাতিল করে স্থানীয় চাষিদের বরাদ্দের সুপারিশ

ছবি

চাটখিলে প্রতিবন্ধী শিশুদের উপবৃত্তি বিষয়ক সেমিনার

নবাবগঞ্জে বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

ধামসা-মাদলের তালে বরেন্দ্র অঞ্চলে আদিবাসীদের সংস্কৃতির উৎসব

ছবি

দেবগ্রামে গ্রাম বাংলার বিলুপ্ত প্রায় ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা

ছবি

জেলে নয়, ভিন্ন পেশার মানুষ পেলো বকনা বাছুর

ছবি

শেরপুরে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প বিলীনের পথে

সন্ধা রাতেই হচ্ছে ডাকাতি

সীতাকুণ্ডে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যা

শিবচরে বাবা নিহত, ছেলে আটক

সাঘাটায় জমি বেদখলে বাধা দেয়ায় প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকি

ছবি

পদ্মার বিস্তীর্ণ চরজুড়ে চলছে অপারেশন ফার্স্ট লাইট

ছবি

নিখোঁজের ১৭ দিন পরও মাদ্রাসা ছাত্রের সন্ধান মেলেনি

ছবি

৫৯ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মোবাইল উদ্ধার

ছবি

পার্বতীপুরে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের ১৭ কিলোমিটার বৈদ্যুতিক তার চুরি

ছবি

৫৬ কিলোমিটার মহাসড়কে ১৯টি অবৈধ বাজার

ছবি

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশে থাকবে গণতন্ত্র মানবাধিকার ও ভোটাধিকার’

ছবি

রাজবাড়ীতে রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হলো কৃষকের ৫০০ কলাগাছ

ছবি

খড়ের দামে কৃষক খুশি, বিপাকে খামারিরা

ছবি

চুয়াডাঙ্গা জুড়ে চলছে খেজুর রস সংগ্রহের প্রস্তুতি

মোহনগঞ্জে নাশকতা মামলায় সাবেক পৌর কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

ছবি

ভালুকায় বাস চাপায় স্বামী-স্ত্রী নিহত

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে মাগুড়া-তুলসীপাড়া সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগে মানুষ

ছবি

মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা

ছবি

কিশোরগঞ্জের মাটে মাঠে আমন ধান পাকতে শুরু করেছে

ছবি

‘চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে’

ছবি

ঝিকরগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী নিহত, স্ত্রী আহত

ছবি

আইডিইবি’র নবগঠিত গাইবান্ধা জেলা কমিটির শপথ

ছবি

চট্টগ্রামে বন্দরে চার দিনের সফরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

ছবি

ঘোড়াঘাটে দাবিহীন ১৫’শ দলিল পুড়িয়ে বিনষ্ট

ছবি

পীরগাছায় চাষ করা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার টি ট্রি গাছ

ছবি

সিরাজগঞ্জে চলনবিলে শুরু হয়েছে বিনা চাষে রসুন চাষ

ছবি

৬ বছর পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানি শুরু

ছবি

চাঁদপুরে পৌরকর পরিশোধ না করায় মার্কেটের সামনে ময়লার স্তূপ

ছবি

আমাদের ঘাড়ের ওপর গণভোট ও সনদ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

tab

বাগাতিপাড়ায় মঞ্চস্থ হলো যাত্রাপালা গৌরি মালা, গ্রামজুড়ে উৎসবের আমেজ

ফজলে রাব্বি, বাগাতিপাড়া (নাটোর)

সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

প্রযুক্তির উন্নয়ন ও আধুনিক বিনোদনের ছোঁয়ায় ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের অন্যতম শিল্প ‘যাত্রাপালা’। এই হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বকুল স্মৃতি থিয়েটারের উদ্যোগে মঞ্চস্থ হয়েছে সামাজিক যাত্রাপালা গৌরি মালা’।

উপজেলার গালিমপুর গ্রামের গিরিশ ধাম জমিদারবাড়ি সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত এই সামাজিক যাত্রাপালাকে ঘিরে গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আমেজ। দীর্ঘদিন পর এমন আয়োজন হওয়ায় নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবাই মেতে ওঠেন গ্রামীণ বিনোদনের প্রাণবন্ত এই উৎসবে।

যাত্রাপালা গৗরি মালা-তে গ্রামীণ কুসংস্কার, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, সমাজে নৈতিকতা, পারিবারিক বন্ধন ও মানবিক মূল্যবোধের বিষয়গুলো নাট্যরূপে উপস্থাপন করা হয়। অভিনয় শিল্পীদের প্রাণবন্ত পারফরম্যান্সে দর্শকরা পুরো সময় মুগ্ধ হয়ে থাকেন। গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করেন এই সামাজিক নাট্যরূপ।

আধুনিক মঞ্চসজ্জা, আলো ও সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবহারে পরিবেশিত হলেও উপস্থাপনায় ছিল সেই পুরোনো দিনের রূপ। ঢোলের তালে তালে সংলাপ, গান ও অভিনয়ের মেলবন্ধনে দর্শকরা ফিরে যান গ্রামীণ সংস্কৃতির অতীতে।

সারাদিন কৃষিকাজ শেষে সন্ধ্যায় উপজেলার জিগরী গ্রাম থেকে যাত্রা দেখতে আসেন কৃষক আব্দুর রাজ্জাক (৫২)। তিনি বলেন, “আজকাল এমন আয়োজন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অনেকদিন পর এত সুন্দর আয়োজন দেখলাম। মা-বোন, আত্মীয়স্বজন সবাই মিলে উপভোগ করছি। কোনো অশ্লীলতা ছাড়াই এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ। লক্ষনহাটি গ্রামের গৃহিণী রোকেয়া বেগম (২৩) বলেন, “গ্রামে এখন আর এমন যাত্রা হয় না। আজ খবর পেয়ে পরিবারের সবাই মিলে দেখতে এসেছি। অনেকদিন পর এমন আয়োজন দেখে খুব ভালো লাগছে।

যাত্রাপালার আয়োজন কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত শিল্পী ও কলাকুশলীদের জীবিকা। একসময় যাত্রাই ছিল তাদের একমাত্র আয়ের উৎস। এখন নিয়মিত মঞ্চায়নের অভাবে অনেকেই পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, নিয়মিত এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করা গেলে গ্রামীণ সংস্কৃতির এই ধারাটি আবারও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

back to top