alt

দুর্গাপুরে ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইন ফ্রি ফায়ার গেমস্

প্রতিনিধি, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) : শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

নেত্রকোনার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা ও পাশ্বর্তী ধোবাউড়া উপজেলায় সবত্র ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইনে ‘ফ্রি ফায়ার গেম’ খেলার প্রবণতা। গ্রামে-গঞ্জে, পর্যটন এলাকার চিপায়-চাপায়, রাস্তার ধারে, ঘরে, গাছতলায় হরহামেশায় দেখা যাচ্ছে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়ে এবং বড়রাও বসে বসে হৈ-হুল্লা, ধর-মার কথার স্বরে ফ্রি ফায়ার গেমটি খেলে যাচ্ছে। পাশাপাশি গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের প্রবণতা বেড়ে গেছে। এ গেমে আশক্ত হয়ে পড়েছে স্কুল পড়ুয়া শিশু কিশোর ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিশুরা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। খেলাটি শিশুদের এতই মধুর যা অভিবাবকদের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে গেছে। লেখাপড়ার প্রতি তাদের আর মন বসছে না। মানছে না শিক্ষকদের নির্দেশনা। বিদ্যালয়ে ছাত্রদের উপস্থিতির সংখ্যা কমে গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে চার দোকান, চিপসের দোকান, খেলার মাঠে, পরিত্যক্ত ঘরে, বিদ্যালয়ের মাঠে, বারান্দায় দলবেধে স্মার্ট ফোন দিয়ে অনলাইনে এই খেলায় আশক্ত হয়ে পড়েছে। এইগুলি দেখার যেন কেউ নেই। মাঝে মধ্যে হই হুল্লার করে চিৎকার দিয়ে ওঠে। এমন চিত্র বিভিন্ন এলাকায় গেলে দেখা যাবে। এতে বিদ্যালয় বিমুখ হয়ে পরেছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। কয়েক জন শিক্ষক মাসুদ মিয়া, মো. সেলিম, সঞ্জয় সরকার, আ: মজিদ সহ অনেকেই জানান শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থানে অনলাইনে গেমস্ খেলছে বলে তাদের নজরে আসে। আমরা তাৎক্ষনিক তাদের অভিভাবকদের খবর দিয়ে বিষয়টি অবগত করেন। তবু বিছু করা করা যাচ্ছে না। এ ব্যপারে স্থানীয় পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন অভিভাবকদের নিয়ে যদি সচেতনতামূলক সমাবেশ করা যায় তবে অবশ্যই শিশুদের মোবাইলে গেমস্ খেলা বন্ধ হবে। তারা আরো বলেন বিদ্যালয়গুলিতে খেলা-ধূলার তেমন কোন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা নেই। ত্রিশ দশকের পূর্বে প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে মৌসুমী খেলার প্রতিযোগিতা ব্যবস্থা হত। যেমন প্রথমে উপজেলায়, পরে জেলায় তারপর বিভাগে এরপর ঢাকায় চূড়ান্ত খেলার পুরস্কার বিতরণ করা হত। যে বয়সে শিশুরা খেলধূলায় মেতে থাকতো সেই বয়সে এখন শিক্ষার্থীদের হাতে চলে এসেছে দামী স্মার্ট ফোন। অভিভাবকরাই তুলে দিচ্ছে তাদের হাতে মোবাইল। এতে অল্প বয়সেই ছেলে-মেয়েরা বিভিীন্ন অপকর্মের কলাকৌশল শিখে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পরছে।

ছবি

টিকে আছে সৈয়দপুরের ঝুট শিল্প, স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় চাপে রপ্তানি

ছবি

দশমিনা থেকে হারিয়ে গেছে তাল-পিঠার উৎসব

ছবি

বাপ দাদার ঘোলের ঐতিহ্য আঁকড়ে ৩২ বছর ধরে সংগ্রামী গোপাল

ছবি

রায়গঞ্জে প্রতিবন্ধী কৃষকের জমির ধান লুটের অভিযোগ

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিনিবাসে আগুন

ছবি

ডিমলায় বুড়ি তিস্তার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি

ছবি

মোহনগঞ্জে আমন ধান কাটা শুরু

ছবি

শাহজাদপুরে ঋণের দায়ে ব্যবসায়ীরআত্মহত্যা

ছবি

দেবহাটায় নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকান

ছবি

উখিয়ায় ৩৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ১

ছবি

খেজুর রসের ঘ্রাণে শীতের বার্তা

ছবি

আত্রাইয়ে সুতি জালে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রবিশস্যের আবাদ

ছবি

ফকিরহাটের সড়ক দুর্ঘটনায় মটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

ছবি

সিরাজগঞ্জে লাভজনক ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

ছবি

সুনামগঞ্জে শর্টগানের ৯৫০ রাউন্ড কার্তুজসহ দুইজন গ্রেপ্তার

ছবি

আমতলীতে সরকারি ধান ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চাইবে সৌদি আরব, ইসরায়েল ইস্যুতে চাপ দেবেন ট্রাম্প

ছবি

গোপন টেন্ডারে ৭০টি গাছ বিক্রি কুষ্টিয়ায় গাছ কাটা নিয়ে মুখোমুখি সওজ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর

ছবি

হেফাজতে থাকা আসামির গণমাধ্যমে বক্তব্য: পুলিশ কমিশনারকে তলব করল আদালত

ছবি

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ছবি

চট্টগ্রাম মহানগরীতে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে যুবক খুন

ছবি

তাহিরপুর সীমান্তে বিএসএফের হাতে তিন বাংলাদেশি আটক

ছবি

কাতালগঞ্জে ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে প্রতিপক্ষের হয়রানি

ছবি

হারিয়ে যাচ্ছে শ্রীমঙ্গলের বিলাস নদী

ছবি

নুরাল পাগলার দরবারে হামলার দুই মাস পর আদালতে নতুন মামলা

ছবি

মামলা করায় নারী শিল্পীকে মারধর, মুখে কালি ও চুল কেটে নির্যাতন

ছবি

পাচার হচ্ছে বিরল প্রজাতির লেমুরসহ বণ্যপ্রাণী, সঙ্গে যাচ্ছে কচ্ছপের হাড়ও

ছবি

মালয়েশিয়া কেড়ে নিলো ১৮ বছর, ফিরে দেখেন স্ত্রী অন্য সংসারে, বাবা-মা পরপারে

ছবি

শনিবার ভয়াল সিডর দিবস, এখনও সিডরের ক্ষত উপকূলে

ছবি

শুক্রবার ও বিভিন্ন জায়গায় পোড়ানো হয় যানবাহন

ছবি

রাজশাহীতে বিচারকের ছেলেকে হত্যার ঘটনায় মামলা

ছবি

সিরাজগঞ্জে জমে উঠেছে মানুষ বিক্রির হাট

ছবি

বিপন্ন প্রজাতির ছাতিম ফুলের তীব্র ঘ্রাণে বিমোহিত পথচারী

ছবি

মধুপুর গড়ের লাল মাটিতে কমলা চাষ

ছবি

ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তার ডিমোশন

ছবি

লাখাই উপজেলায় আমন ধান ঘরে তোলার অপেক্ষায়

tab

দুর্গাপুরে ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইন ফ্রি ফায়ার গেমস্

প্রতিনিধি, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা)

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

নেত্রকোনার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা ও পাশ্বর্তী ধোবাউড়া উপজেলায় সবত্র ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইনে ‘ফ্রি ফায়ার গেম’ খেলার প্রবণতা। গ্রামে-গঞ্জে, পর্যটন এলাকার চিপায়-চাপায়, রাস্তার ধারে, ঘরে, গাছতলায় হরহামেশায় দেখা যাচ্ছে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়ে এবং বড়রাও বসে বসে হৈ-হুল্লা, ধর-মার কথার স্বরে ফ্রি ফায়ার গেমটি খেলে যাচ্ছে। পাশাপাশি গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের প্রবণতা বেড়ে গেছে। এ গেমে আশক্ত হয়ে পড়েছে স্কুল পড়ুয়া শিশু কিশোর ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিশুরা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। খেলাটি শিশুদের এতই মধুর যা অভিবাবকদের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে গেছে। লেখাপড়ার প্রতি তাদের আর মন বসছে না। মানছে না শিক্ষকদের নির্দেশনা। বিদ্যালয়ে ছাত্রদের উপস্থিতির সংখ্যা কমে গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে চার দোকান, চিপসের দোকান, খেলার মাঠে, পরিত্যক্ত ঘরে, বিদ্যালয়ের মাঠে, বারান্দায় দলবেধে স্মার্ট ফোন দিয়ে অনলাইনে এই খেলায় আশক্ত হয়ে পড়েছে। এইগুলি দেখার যেন কেউ নেই। মাঝে মধ্যে হই হুল্লার করে চিৎকার দিয়ে ওঠে। এমন চিত্র বিভিন্ন এলাকায় গেলে দেখা যাবে। এতে বিদ্যালয় বিমুখ হয়ে পরেছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। কয়েক জন শিক্ষক মাসুদ মিয়া, মো. সেলিম, সঞ্জয় সরকার, আ: মজিদ সহ অনেকেই জানান শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থানে অনলাইনে গেমস্ খেলছে বলে তাদের নজরে আসে। আমরা তাৎক্ষনিক তাদের অভিভাবকদের খবর দিয়ে বিষয়টি অবগত করেন। তবু বিছু করা করা যাচ্ছে না। এ ব্যপারে স্থানীয় পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন অভিভাবকদের নিয়ে যদি সচেতনতামূলক সমাবেশ করা যায় তবে অবশ্যই শিশুদের মোবাইলে গেমস্ খেলা বন্ধ হবে। তারা আরো বলেন বিদ্যালয়গুলিতে খেলা-ধূলার তেমন কোন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা নেই। ত্রিশ দশকের পূর্বে প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে মৌসুমী খেলার প্রতিযোগিতা ব্যবস্থা হত। যেমন প্রথমে উপজেলায়, পরে জেলায় তারপর বিভাগে এরপর ঢাকায় চূড়ান্ত খেলার পুরস্কার বিতরণ করা হত। যে বয়সে শিশুরা খেলধূলায় মেতে থাকতো সেই বয়সে এখন শিক্ষার্থীদের হাতে চলে এসেছে দামী স্মার্ট ফোন। অভিভাবকরাই তুলে দিচ্ছে তাদের হাতে মোবাইল। এতে অল্প বয়সেই ছেলে-মেয়েরা বিভিীন্ন অপকর্মের কলাকৌশল শিখে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পরছে।

back to top