ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নেত্রকোনার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা ও পাশ্বর্তী ধোবাউড়া উপজেলায় সবত্র ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইনে ‘ফ্রি ফায়ার গেম’ খেলার প্রবণতা। গ্রামে-গঞ্জে, পর্যটন এলাকার চিপায়-চাপায়, রাস্তার ধারে, ঘরে, গাছতলায় হরহামেশায় দেখা যাচ্ছে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়ে এবং বড়রাও বসে বসে হৈ-হুল্লা, ধর-মার কথার স্বরে ফ্রি ফায়ার গেমটি খেলে যাচ্ছে। পাশাপাশি গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের প্রবণতা বেড়ে গেছে। এ গেমে আশক্ত হয়ে পড়েছে স্কুল পড়ুয়া শিশু কিশোর ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিশুরা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। খেলাটি শিশুদের এতই মধুর যা অভিবাবকদের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে গেছে। লেখাপড়ার প্রতি তাদের আর মন বসছে না। মানছে না শিক্ষকদের নির্দেশনা। বিদ্যালয়ে ছাত্রদের উপস্থিতির সংখ্যা কমে গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে চার দোকান, চিপসের দোকান, খেলার মাঠে, পরিত্যক্ত ঘরে, বিদ্যালয়ের মাঠে, বারান্দায় দলবেধে স্মার্ট ফোন দিয়ে অনলাইনে এই খেলায় আশক্ত হয়ে পড়েছে। এইগুলি দেখার যেন কেউ নেই। মাঝে মধ্যে হই হুল্লার করে চিৎকার দিয়ে ওঠে। এমন চিত্র বিভিন্ন এলাকায় গেলে দেখা যাবে। এতে বিদ্যালয় বিমুখ হয়ে পরেছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। কয়েক জন শিক্ষক মাসুদ মিয়া, মো. সেলিম, সঞ্জয় সরকার, আ: মজিদ সহ অনেকেই জানান শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থানে অনলাইনে গেমস্ খেলছে বলে তাদের নজরে আসে। আমরা তাৎক্ষনিক তাদের অভিভাবকদের খবর দিয়ে বিষয়টি অবগত করেন। তবু বিছু করা করা যাচ্ছে না। এ ব্যপারে স্থানীয় পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন অভিভাবকদের নিয়ে যদি সচেতনতামূলক সমাবেশ করা যায় তবে অবশ্যই শিশুদের মোবাইলে গেমস্ খেলা বন্ধ হবে। তারা আরো বলেন বিদ্যালয়গুলিতে খেলা-ধূলার তেমন কোন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা নেই। ত্রিশ দশকের পূর্বে প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে মৌসুমী খেলার প্রতিযোগিতা ব্যবস্থা হত। যেমন প্রথমে উপজেলায়, পরে জেলায় তারপর বিভাগে এরপর ঢাকায় চূড়ান্ত খেলার পুরস্কার বিতরণ করা হত। যে বয়সে শিশুরা খেলধূলায় মেতে থাকতো সেই বয়সে এখন শিক্ষার্থীদের হাতে চলে এসেছে দামী স্মার্ট ফোন। অভিভাবকরাই তুলে দিচ্ছে তাদের হাতে মোবাইল। এতে অল্প বয়সেই ছেলে-মেয়েরা বিভিীন্ন অপকর্মের কলাকৌশল শিখে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পরছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
নেত্রকোনার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা ও পাশ্বর্তী ধোবাউড়া উপজেলায় সবত্র ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইনে ‘ফ্রি ফায়ার গেম’ খেলার প্রবণতা। গ্রামে-গঞ্জে, পর্যটন এলাকার চিপায়-চাপায়, রাস্তার ধারে, ঘরে, গাছতলায় হরহামেশায় দেখা যাচ্ছে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়ে এবং বড়রাও বসে বসে হৈ-হুল্লা, ধর-মার কথার স্বরে ফ্রি ফায়ার গেমটি খেলে যাচ্ছে। পাশাপাশি গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের প্রবণতা বেড়ে গেছে। এ গেমে আশক্ত হয়ে পড়েছে স্কুল পড়ুয়া শিশু কিশোর ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিশুরা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। খেলাটি শিশুদের এতই মধুর যা অভিবাবকদের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে গেছে। লেখাপড়ার প্রতি তাদের আর মন বসছে না। মানছে না শিক্ষকদের নির্দেশনা। বিদ্যালয়ে ছাত্রদের উপস্থিতির সংখ্যা কমে গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে চার দোকান, চিপসের দোকান, খেলার মাঠে, পরিত্যক্ত ঘরে, বিদ্যালয়ের মাঠে, বারান্দায় দলবেধে স্মার্ট ফোন দিয়ে অনলাইনে এই খেলায় আশক্ত হয়ে পড়েছে। এইগুলি দেখার যেন কেউ নেই। মাঝে মধ্যে হই হুল্লার করে চিৎকার দিয়ে ওঠে। এমন চিত্র বিভিন্ন এলাকায় গেলে দেখা যাবে। এতে বিদ্যালয় বিমুখ হয়ে পরেছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। কয়েক জন শিক্ষক মাসুদ মিয়া, মো. সেলিম, সঞ্জয় সরকার, আ: মজিদ সহ অনেকেই জানান শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থানে অনলাইনে গেমস্ খেলছে বলে তাদের নজরে আসে। আমরা তাৎক্ষনিক তাদের অভিভাবকদের খবর দিয়ে বিষয়টি অবগত করেন। তবু বিছু করা করা যাচ্ছে না। এ ব্যপারে স্থানীয় পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন অভিভাবকদের নিয়ে যদি সচেতনতামূলক সমাবেশ করা যায় তবে অবশ্যই শিশুদের মোবাইলে গেমস্ খেলা বন্ধ হবে। তারা আরো বলেন বিদ্যালয়গুলিতে খেলা-ধূলার তেমন কোন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা নেই। ত্রিশ দশকের পূর্বে প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে মৌসুমী খেলার প্রতিযোগিতা ব্যবস্থা হত। যেমন প্রথমে উপজেলায়, পরে জেলায় তারপর বিভাগে এরপর ঢাকায় চূড়ান্ত খেলার পুরস্কার বিতরণ করা হত। যে বয়সে শিশুরা খেলধূলায় মেতে থাকতো সেই বয়সে এখন শিক্ষার্থীদের হাতে চলে এসেছে দামী স্মার্ট ফোন। অভিভাবকরাই তুলে দিচ্ছে তাদের হাতে মোবাইল। এতে অল্প বয়সেই ছেলে-মেয়েরা বিভিীন্ন অপকর্মের কলাকৌশল শিখে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পরছে।