সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ভুট্টা চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা। ইতোমধ্যেই আগাম জাতের প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ শুরু করা হয়েছে। এ লাভজনক চাষাবাদে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রোপা আমন ধান কাটার পর বেশিরভাগ জমিতে এ চাষাবাদ শুরু হয়ে থাকে। গত মাসের প্রথম থেকে কাজিপুর, তাড়াশ, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ, কামারখন্দ, বেলকুচি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ভুট্টা চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এসব ভুট্টার মধ্যে রয়েছে, এম ৯’শ, এনকে ৪০, পাইনিয়া ও আগাম জাতের ভুট্টা। তবে যমুনা নদীর তীরবর্তী ৫টি উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে এ চাষাবাদ বেশি হচ্ছে এবং ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে এ ভুট্টার বীজ রোপণ শেষ হবে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মেছড়া চরের কৃষক হায়াত আলী ও শহিদুল ইসলাম জানান, ধানের তুলনায় ভুট্টা চাষাবাদে খরচ কম ও লাভ বেশি। এজন্য কৃষকেরা এ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। জমিতে সারিবদ্ধভাবে ভুট্টার বীজ রোপণ করা হয়ে থাকে এবং চরাঞ্চলে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো এ চাষাবাদ বেশি হচ্ছে। এ ভুট্টার চারা ইতোমধ্যেই গজিয়ে উঠেছে এবং পরিচর্যাও শুরু হয়েছে। ভুট্টার গড় উৎপাদন প্রতি বিঘায় ২৭ থেকে ২৮ মণ হয়ে থাকে। ভুট্টার দানা ছাড়াও এর পাতা গবাদি পশুর খাদ্য এবং গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। চাষাবাদ খরচ কম হওয়ায় এটি ধানের তুলনায় বেশি লাভজনক।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ কে এম মঞ্জুরে মওলা জানান, এ চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করতে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করছেন। আধুনিক পদ্ধতিতে এ চাষাবাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং ইতোমধ্যেই প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে এ ভুট্টা চাষাবাদ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ভুট্টা চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা। ইতোমধ্যেই আগাম জাতের প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ শুরু করা হয়েছে। এ লাভজনক চাষাবাদে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রোপা আমন ধান কাটার পর বেশিরভাগ জমিতে এ চাষাবাদ শুরু হয়ে থাকে। গত মাসের প্রথম থেকে কাজিপুর, তাড়াশ, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ, কামারখন্দ, বেলকুচি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ভুট্টা চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এসব ভুট্টার মধ্যে রয়েছে, এম ৯’শ, এনকে ৪০, পাইনিয়া ও আগাম জাতের ভুট্টা। তবে যমুনা নদীর তীরবর্তী ৫টি উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে এ চাষাবাদ বেশি হচ্ছে এবং ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে এ ভুট্টার বীজ রোপণ শেষ হবে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মেছড়া চরের কৃষক হায়াত আলী ও শহিদুল ইসলাম জানান, ধানের তুলনায় ভুট্টা চাষাবাদে খরচ কম ও লাভ বেশি। এজন্য কৃষকেরা এ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। জমিতে সারিবদ্ধভাবে ভুট্টার বীজ রোপণ করা হয়ে থাকে এবং চরাঞ্চলে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো এ চাষাবাদ বেশি হচ্ছে। এ ভুট্টার চারা ইতোমধ্যেই গজিয়ে উঠেছে এবং পরিচর্যাও শুরু হয়েছে। ভুট্টার গড় উৎপাদন প্রতি বিঘায় ২৭ থেকে ২৮ মণ হয়ে থাকে। ভুট্টার দানা ছাড়াও এর পাতা গবাদি পশুর খাদ্য এবং গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। চাষাবাদ খরচ কম হওয়ায় এটি ধানের তুলনায় বেশি লাভজনক।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ কে এম মঞ্জুরে মওলা জানান, এ চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করতে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করছেন। আধুনিক পদ্ধতিতে এ চাষাবাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং ইতোমধ্যেই প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে এ ভুট্টা চাষাবাদ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।