নীলফামারীর ডিমলায় নাউতারা সাতজানের বুড়ি তিস্তার ভয়াবহ ভাঙন রোধে চলতি শুকনো মৌসুমী স্থায়ী বাধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলকাবাসী। গেল বর্ষা মৌসুৃমে জরুরি ভাঙ্গন রোধে পাইলিং নির্মাণের উদ্বোধন কালূন সময়ে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান ও ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনকালে রংপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান স্থায়ীবাধ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল হক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বুড়ি তিস্তা নদীর ভাঙ্গন রোধে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণে এলকাবাসীর দাবীর মুখে এ ঘোষনা দেন কর্মকর্তা দ্বয়।
প্রতি বছর নাউতারা বুড়ি তিস্তার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সাতজান এলাকার সহস্রাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে । ভাঙনের কবলে পড়ে বসতভিটা, ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনা ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেলে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় গত ১৯ আগস্ট সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের । পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান, দ্রুত বুড়ি তিস্তার ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে তিনিও স্থায়ীবাধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেন। এ ছাড়াও তারা নদী খনন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে সরকারের একাধিক দপ্তরে অনেক আবেদন করেও ভাঙ্গন রোধে পাউবো কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া পাননি। নীলফামারী পাউবো নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দীর্ঘদিন থেকে হতাশায় ভুগছেন সর্বস্বহারা পরিবারগুলো।
ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় পর্যায়ে লিখিতভাবে আবেদনে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নদী খনন, সড়ক ও বাঁধ নির্মাণ, এবং পানি নিষ্কাশন স্ট্রাকচার তৈরির দাবী জানানো হলেও ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে পাইলিং এর ব্যবস্থা করা হলেও স্থায়ীবাদ নির্মাণের তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন সংশ্লিষ্ট ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে ।
সাতজান মৌজার নদী খনন ও ভাঙনপ্রবণ এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ পানি নিষ্কাশন স্ট্রাকচার নির্মাণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এলাকার সেচ ও কৃষিকাজে সহায়ক অবকাঠামো তৈরি নদীসংলগ্ন এলাকায় গাইড ওয়াল প্রোটেকশন বাঁধ নির্মাণের দাবী করছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় স্থায়ী বাধ নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সাতজানের নদী ভাঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে । এ ব্যাপারে নীলফামারী পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, গেল বর্ষা মৌসুমে ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান ভাঙ্গন কবলীত এলাকা পরিদর্শন করে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গড় রোধে পাইলিং দেয়া হয়ছিল । ওই এলাকায় স্থায়ী বাধের প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব দেখিয়ে দ্রুত ব্যবস্থার নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করে আবেদন করা হয়েছে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুজ্জামান জানান, উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান এলাকার নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছিলাম। নীলফামারী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলায় তারা জরুরী ভিত্তিতে পাইলিং এর মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন রোধ করেছে । আশা করি, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই চলতি শুকনা মৌসুমে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সমন্বয়ে ভাঙ্গন রোধে স্থায়ীবাধ নির্মাণ সহ স্থায়ী সমাধান করবে । এ বিষয়ে আমিও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলব। যাহাতে ওই সকল ভাঙ্গন কবলিত এলাকা রক্ষার্থে স্থায়ীবাধ নির্মাণ করা সম্ভব হয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলায় নাউতারা সাতজানের বুড়ি তিস্তার ভয়াবহ ভাঙন রোধে চলতি শুকনো মৌসুমী স্থায়ী বাধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলকাবাসী। গেল বর্ষা মৌসুৃমে জরুরি ভাঙ্গন রোধে পাইলিং নির্মাণের উদ্বোধন কালূন সময়ে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান ও ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনকালে রংপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান স্থায়ীবাধ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল হক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বুড়ি তিস্তা নদীর ভাঙ্গন রোধে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণে এলকাবাসীর দাবীর মুখে এ ঘোষনা দেন কর্মকর্তা দ্বয়।
প্রতি বছর নাউতারা বুড়ি তিস্তার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সাতজান এলাকার সহস্রাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে । ভাঙনের কবলে পড়ে বসতভিটা, ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনা ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেলে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় গত ১৯ আগস্ট সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের । পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান, দ্রুত বুড়ি তিস্তার ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে তিনিও স্থায়ীবাধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেন। এ ছাড়াও তারা নদী খনন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে সরকারের একাধিক দপ্তরে অনেক আবেদন করেও ভাঙ্গন রোধে পাউবো কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া পাননি। নীলফামারী পাউবো নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দীর্ঘদিন থেকে হতাশায় ভুগছেন সর্বস্বহারা পরিবারগুলো।
ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় পর্যায়ে লিখিতভাবে আবেদনে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নদী খনন, সড়ক ও বাঁধ নির্মাণ, এবং পানি নিষ্কাশন স্ট্রাকচার তৈরির দাবী জানানো হলেও ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে পাইলিং এর ব্যবস্থা করা হলেও স্থায়ীবাদ নির্মাণের তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন সংশ্লিষ্ট ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে ।
সাতজান মৌজার নদী খনন ও ভাঙনপ্রবণ এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ পানি নিষ্কাশন স্ট্রাকচার নির্মাণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এলাকার সেচ ও কৃষিকাজে সহায়ক অবকাঠামো তৈরি নদীসংলগ্ন এলাকায় গাইড ওয়াল প্রোটেকশন বাঁধ নির্মাণের দাবী করছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় স্থায়ী বাধ নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সাতজানের নদী ভাঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে । এ ব্যাপারে নীলফামারী পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, গেল বর্ষা মৌসুমে ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান ভাঙ্গন কবলীত এলাকা পরিদর্শন করে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গড় রোধে পাইলিং দেয়া হয়ছিল । ওই এলাকায় স্থায়ী বাধের প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব দেখিয়ে দ্রুত ব্যবস্থার নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করে আবেদন করা হয়েছে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুজ্জামান জানান, উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান এলাকার নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছিলাম। নীলফামারী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলায় তারা জরুরী ভিত্তিতে পাইলিং এর মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন রোধ করেছে । আশা করি, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই চলতি শুকনা মৌসুমে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সমন্বয়ে ভাঙ্গন রোধে স্থায়ীবাধ নির্মাণ সহ স্থায়ী সমাধান করবে । এ বিষয়ে আমিও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলব। যাহাতে ওই সকল ভাঙ্গন কবলিত এলাকা রক্ষার্থে স্থায়ীবাধ নির্মাণ করা সম্ভব হয়।