ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের শ্রী গোপাল কুমার ঘোষ যে নাম শুনলেই এলাকার মানুষ মনে করেন ঘোলের স্বাদ, ঐতিহ্য আর সততার গল্প। বাপ দাদার আমল থেকে ঘোলের যে ব্যবসা চলছিল, তার বাবা শান্তি ঘোষ অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে যাওয়ার পর সেই পুরো দায়িত্ব একাই কাঁধে তুলে নেন গোপাল। তখন থেকেই সংসারের হাল ধরতে তিনি নিজের জীবনকে জড়িয়ে ফেলেন এই পেশার সঙ্গে। আজ ৩২ বছর ধরে তিনি শুধু ঘোল বিক্রি করছেন না বরং ধরে রেখেছেন পরিবারের সম্মান, গ্রামের সংস্কৃতি আর পুরনো দিনের স্বাদ।
গরু বাছুর পালন থেকে শুরু করে চাষাবাদ সবই নিজের হাতে সামলে প্রতিদিন ভোরে দই-ঘোল তৈরির কাজে নেমে পড়েন তিনি। মহেশপুর উপজেলার শহর ও গ্রামের বিভিন্ন বাজারে তার ঘোলের সুনাম ছড়িয়ে আছে বহুদিন। যে বাজারেই যান, মানুষ চিনে ফেলেন এটাই গোপালের ঘোল, আগের মতোই খাঁটি।
স্থানীয় ক্রেতাদের মধ্যেও তার ঘোল নিয়ে রয়েছে অগাধ ভালোবাসা। ফতেপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গোপাল দাদার ঘোল খাই। এমন স্বাদ আর পাই না। এটা আমাদের গ্রামের নিজের জিনিস মন ভরে যায়।রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোহাম্মদ বকুল হোসেন জানান, ২৫ বছর ধরে তার ঘোল খাই। এটা শুধু খাবার না স্মৃতি, অনুভব আর গ্রামের গন্ধ।গ্রামের বয়স্ক নারীরাও বলেন, গোপালের ঘোল খাইলে গা মন ঠাণ্ডা হয়। বাপ দাদার সোনালি দিনের সেই স্বাদ আজও ধরে রাইখছে।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী হিসেবে অসুস্থ বাবাকে দেখাশোনা, সংসার চালানো এবং ঐতিহ্য বজায় সব দায়িত্ব একাই পালন করে চলেছেন গোপাল কুমার ঘোষ। তার ঘোল শুধু খাবার নয়, গ্রামের গর্ব এক রাক্ষনীয় সংস্কৃতি, যা সময়ের সঙ্গে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের শ্রী গোপাল কুমার ঘোষ যে নাম শুনলেই এলাকার মানুষ মনে করেন ঘোলের স্বাদ, ঐতিহ্য আর সততার গল্প। বাপ দাদার আমল থেকে ঘোলের যে ব্যবসা চলছিল, তার বাবা শান্তি ঘোষ অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে যাওয়ার পর সেই পুরো দায়িত্ব একাই কাঁধে তুলে নেন গোপাল। তখন থেকেই সংসারের হাল ধরতে তিনি নিজের জীবনকে জড়িয়ে ফেলেন এই পেশার সঙ্গে। আজ ৩২ বছর ধরে তিনি শুধু ঘোল বিক্রি করছেন না বরং ধরে রেখেছেন পরিবারের সম্মান, গ্রামের সংস্কৃতি আর পুরনো দিনের স্বাদ।
গরু বাছুর পালন থেকে শুরু করে চাষাবাদ সবই নিজের হাতে সামলে প্রতিদিন ভোরে দই-ঘোল তৈরির কাজে নেমে পড়েন তিনি। মহেশপুর উপজেলার শহর ও গ্রামের বিভিন্ন বাজারে তার ঘোলের সুনাম ছড়িয়ে আছে বহুদিন। যে বাজারেই যান, মানুষ চিনে ফেলেন এটাই গোপালের ঘোল, আগের মতোই খাঁটি।
স্থানীয় ক্রেতাদের মধ্যেও তার ঘোল নিয়ে রয়েছে অগাধ ভালোবাসা। ফতেপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গোপাল দাদার ঘোল খাই। এমন স্বাদ আর পাই না। এটা আমাদের গ্রামের নিজের জিনিস মন ভরে যায়।রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোহাম্মদ বকুল হোসেন জানান, ২৫ বছর ধরে তার ঘোল খাই। এটা শুধু খাবার না স্মৃতি, অনুভব আর গ্রামের গন্ধ।গ্রামের বয়স্ক নারীরাও বলেন, গোপালের ঘোল খাইলে গা মন ঠাণ্ডা হয়। বাপ দাদার সোনালি দিনের সেই স্বাদ আজও ধরে রাইখছে।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী হিসেবে অসুস্থ বাবাকে দেখাশোনা, সংসার চালানো এবং ঐতিহ্য বজায় সব দায়িত্ব একাই পালন করে চলেছেন গোপাল কুমার ঘোষ। তার ঘোল শুধু খাবার নয়, গ্রামের গর্ব এক রাক্ষনীয় সংস্কৃতি, যা সময়ের সঙ্গে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।