উত্তরাঞ্চলের শিল্পনগরী সৈয়দপুর। যার পরিচিতি আজ শুধু রেলওয়ের শহর নয়, বরং ঝুটভিত্তিক শীতবস্ত্র শিল্পের এক সম্ভাবনাময় কেন্দ্র হিসেবেও দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠিত। প্রায় চার শতাধিক ছোট-বড় কারখানায় প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে সোয়েটার, হুডি, জ্যাকেট, টুপি, গ্লাভসসহ নানান শীতকালীন পোশাক। গার্মেন্টসের ঝুট থেকেই তৈরি এ সব পণ্য দেশের বাজারে যেমন জনপ্রিয়, পাশাপাশি রপ্তানি হচ্ছে নেপাল, ভুটান ও ভারতসহ অন্যান্য দেশে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে মাসে প্রায় দুই লাখ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে এ শিল্প। তবে দীর্ঘদিন ধরে স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় রপ্তানিতে নেমে এসেছে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা। বাধ্য হয়ে সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করায় পরিবহন ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়ায় উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে, ধীর হচ্ছে পণ্য সরবরাহও।
ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, আগে স্থলবন্দর দিয়ে কম খরচে দ্রুত পণ্য পাঠানো যেত। এখন সমুদ্রপথে সময় বেশি লাগে, খরচও বাড়ছে। উৎপাদনেও তার প্রভাব পড়ছে। প্রতিকূলতার মাঝেও কারখানার চাকাগুলো পুরোপুরি থেমে নেই। উদ্যোক্তাদের ভাষ্য, হাজারো শ্রমিকের কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে উৎপাদন কম গতিতে হলেও চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
কারখানার শ্রমিক বিউটি বেগম বলেন, কাজ কমে গেছে ঠিকই, কিন্তু কাজ তো চলছে। এই কাজ বন্ধ হলে আমাদের সংসারই চলবে না।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা জানান, স্থলবন্দর সচল হলে রপ্তানির খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে এবং কারখানাগুলো ফের পূর্ণ সক্ষমতায় ফিরে আসবে। তাদের বিশ্বাস, সক্ষমতা পাওয়া গেলে এই শিল্প থেকে মাসে পাঁচ লাখ ডলার পর্যন্ত রপ্তানি আয় সম্ভব। আমদানি ও রফতানিকারক ফাইয়াজ ইসলাম সাজু বলেন, ঝুট শিল্প শুধু স্থানীয় অর্থনীতিই নয়, সমগ্র উত্তরাঞ্চলের কর্মসংস্থান, ব্যবসা ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিরাট ভূমিকা রাখে। রপ্তানি সহজ করা এবং স্থলবন্দর দ্রুত চালুর বিকল্প নেই।
শিল্পসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রতিকূলতার মাঝেও সৈয়দপুরের ঝুট শিল্প এখনও টিকে থাকার লড়াই করে যাচ্ছে। যদি দ্রুত স্থলবন্দর পুনরায় চালু হয়, তবে রপ্তানিতে ফিরবে পুরনো গতি, শক্তিশালী হবে উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও শিল্পোদ্যোগ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
উত্তরাঞ্চলের শিল্পনগরী সৈয়দপুর। যার পরিচিতি আজ শুধু রেলওয়ের শহর নয়, বরং ঝুটভিত্তিক শীতবস্ত্র শিল্পের এক সম্ভাবনাময় কেন্দ্র হিসেবেও দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠিত। প্রায় চার শতাধিক ছোট-বড় কারখানায় প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে সোয়েটার, হুডি, জ্যাকেট, টুপি, গ্লাভসসহ নানান শীতকালীন পোশাক। গার্মেন্টসের ঝুট থেকেই তৈরি এ সব পণ্য দেশের বাজারে যেমন জনপ্রিয়, পাশাপাশি রপ্তানি হচ্ছে নেপাল, ভুটান ও ভারতসহ অন্যান্য দেশে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে মাসে প্রায় দুই লাখ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে এ শিল্প। তবে দীর্ঘদিন ধরে স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় রপ্তানিতে নেমে এসেছে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা। বাধ্য হয়ে সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করায় পরিবহন ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়ায় উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে, ধীর হচ্ছে পণ্য সরবরাহও।
ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, আগে স্থলবন্দর দিয়ে কম খরচে দ্রুত পণ্য পাঠানো যেত। এখন সমুদ্রপথে সময় বেশি লাগে, খরচও বাড়ছে। উৎপাদনেও তার প্রভাব পড়ছে। প্রতিকূলতার মাঝেও কারখানার চাকাগুলো পুরোপুরি থেমে নেই। উদ্যোক্তাদের ভাষ্য, হাজারো শ্রমিকের কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে উৎপাদন কম গতিতে হলেও চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
কারখানার শ্রমিক বিউটি বেগম বলেন, কাজ কমে গেছে ঠিকই, কিন্তু কাজ তো চলছে। এই কাজ বন্ধ হলে আমাদের সংসারই চলবে না।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা জানান, স্থলবন্দর সচল হলে রপ্তানির খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে এবং কারখানাগুলো ফের পূর্ণ সক্ষমতায় ফিরে আসবে। তাদের বিশ্বাস, সক্ষমতা পাওয়া গেলে এই শিল্প থেকে মাসে পাঁচ লাখ ডলার পর্যন্ত রপ্তানি আয় সম্ভব। আমদানি ও রফতানিকারক ফাইয়াজ ইসলাম সাজু বলেন, ঝুট শিল্প শুধু স্থানীয় অর্থনীতিই নয়, সমগ্র উত্তরাঞ্চলের কর্মসংস্থান, ব্যবসা ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিরাট ভূমিকা রাখে। রপ্তানি সহজ করা এবং স্থলবন্দর দ্রুত চালুর বিকল্প নেই।
শিল্পসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রতিকূলতার মাঝেও সৈয়দপুরের ঝুট শিল্প এখনও টিকে থাকার লড়াই করে যাচ্ছে। যদি দ্রুত স্থলবন্দর পুনরায় চালু হয়, তবে রপ্তানিতে ফিরবে পুরনো গতি, শক্তিশালী হবে উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও শিল্পোদ্যোগ।