alt

টিকে আছে সৈয়দপুরের ঝুট শিল্প, স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় চাপে রপ্তানি

জেলা বার্তা পরিবেশক, নীলফামারী : শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

উত্তরাঞ্চলের শিল্পনগরী সৈয়দপুর। যার পরিচিতি আজ শুধু রেলওয়ের শহর নয়, বরং ঝুটভিত্তিক শীতবস্ত্র শিল্পের এক সম্ভাবনাময় কেন্দ্র হিসেবেও দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠিত। প্রায় চার শতাধিক ছোট-বড় কারখানায় প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে সোয়েটার, হুডি, জ্যাকেট, টুপি, গ্লাভসসহ নানান শীতকালীন পোশাক। গার্মেন্টসের ঝুট থেকেই তৈরি এ সব পণ্য দেশের বাজারে যেমন জনপ্রিয়, পাশাপাশি রপ্তানি হচ্ছে নেপাল, ভুটান ও ভারতসহ অন্যান্য দেশে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে মাসে প্রায় দুই লাখ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে এ শিল্প। তবে দীর্ঘদিন ধরে স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় রপ্তানিতে নেমে এসেছে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা। বাধ্য হয়ে সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করায় পরিবহন ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়ায় উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে, ধীর হচ্ছে পণ্য সরবরাহও।

ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, আগে স্থলবন্দর দিয়ে কম খরচে দ্রুত পণ্য পাঠানো যেত। এখন সমুদ্রপথে সময় বেশি লাগে, খরচও বাড়ছে। উৎপাদনেও তার প্রভাব পড়ছে। প্রতিকূলতার মাঝেও কারখানার চাকাগুলো পুরোপুরি থেমে নেই। উদ্যোক্তাদের ভাষ্য, হাজারো শ্রমিকের কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে উৎপাদন কম গতিতে হলেও চালিয়ে যেতে হচ্ছে।

কারখানার শ্রমিক বিউটি বেগম বলেন, কাজ কমে গেছে ঠিকই, কিন্তু কাজ তো চলছে। এই কাজ বন্ধ হলে আমাদের সংসারই চলবে না।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা জানান, স্থলবন্দর সচল হলে রপ্তানির খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে এবং কারখানাগুলো ফের পূর্ণ সক্ষমতায় ফিরে আসবে। তাদের বিশ্বাস, সক্ষমতা পাওয়া গেলে এই শিল্প থেকে মাসে পাঁচ লাখ ডলার পর্যন্ত রপ্তানি আয় সম্ভব। আমদানি ও রফতানিকারক ফাইয়াজ ইসলাম সাজু বলেন, ঝুট শিল্প শুধু স্থানীয় অর্থনীতিই নয়, সমগ্র উত্তরাঞ্চলের কর্মসংস্থান, ব্যবসা ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিরাট ভূমিকা রাখে। রপ্তানি সহজ করা এবং স্থলবন্দর দ্রুত চালুর বিকল্প নেই।

শিল্পসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রতিকূলতার মাঝেও সৈয়দপুরের ঝুট শিল্প এখনও টিকে থাকার লড়াই করে যাচ্ছে। যদি দ্রুত স্থলবন্দর পুনরায় চালু হয়, তবে রপ্তানিতে ফিরবে পুরনো গতি, শক্তিশালী হবে উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও শিল্পোদ্যোগ।

মা-বাবার পাশে কবরে দাফন হলো ইতালি প্রবাসী ডা. ঈসমাইলের

ছবি

বোয়ালখালীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

দেবীদ্বারে ট্রাক চাপায় শিশুর মৃত্যু

ছবি

জামালপুরে কারাগার নির্মাণে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের অভিযোগ

ছবি

পীরগাছায় বিদ্যালয়ে রাতে-দিনে উড়ে জাতীয় পতাকা, কর্তৃপক্ষ নিরব

ছবি

হবিগঞ্জে আখ চাষ চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে লাভবান

ছবি

দশমিনায় পলিনেট পদ্ধতিতে বেগুন চাষে সবুজের সাফল্য

ছবি

ঝিনাইদহে হাঁটা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ছবি

দশমিনা থেকে হারিয়ে গেছে তাল-পিঠার উৎসব

ছবি

বাপ দাদার ঘোলের ঐতিহ্য আঁকড়ে ৩২ বছর ধরে সংগ্রামী গোপাল

ছবি

রায়গঞ্জে প্রতিবন্ধী কৃষকের জমির ধান লুটের অভিযোগ

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিনিবাসে আগুন

ছবি

ডিমলায় বুড়ি তিস্তার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি

ছবি

মোহনগঞ্জে আমন ধান কাটা শুরু

ছবি

শাহজাদপুরে ঋণের দায়ে ব্যবসায়ীরআত্মহত্যা

ছবি

দেবহাটায় নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকান

ছবি

উখিয়ায় ৩৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ১

ছবি

খেজুর রসের ঘ্রাণে শীতের বার্তা

ছবি

আত্রাইয়ে সুতি জালে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রবিশস্যের আবাদ

ছবি

ফকিরহাটের সড়ক দুর্ঘটনায় মটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

ছবি

সিরাজগঞ্জে লাভজনক ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

ছবি

সুনামগঞ্জে শর্টগানের ৯৫০ রাউন্ড কার্তুজসহ দুইজন গ্রেপ্তার

ছবি

আমতলীতে সরকারি ধান ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চাইবে সৌদি আরব, ইসরায়েল ইস্যুতে চাপ দেবেন ট্রাম্প

ছবি

গোপন টেন্ডারে ৭০টি গাছ বিক্রি কুষ্টিয়ায় গাছ কাটা নিয়ে মুখোমুখি সওজ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর

ছবি

দুর্গাপুরে ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইন ফ্রি ফায়ার গেমস্

ছবি

হেফাজতে থাকা আসামির গণমাধ্যমে বক্তব্য: পুলিশ কমিশনারকে তলব করল আদালত

ছবি

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ছবি

চট্টগ্রাম মহানগরীতে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে যুবক খুন

ছবি

তাহিরপুর সীমান্তে বিএসএফের হাতে তিন বাংলাদেশি আটক

ছবি

কাতালগঞ্জে ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে প্রতিপক্ষের হয়রানি

ছবি

হারিয়ে যাচ্ছে শ্রীমঙ্গলের বিলাস নদী

ছবি

নুরাল পাগলার দরবারে হামলার দুই মাস পর আদালতে নতুন মামলা

ছবি

মামলা করায় নারী শিল্পীকে মারধর, মুখে কালি ও চুল কেটে নির্যাতন

ছবি

পাচার হচ্ছে বিরল প্রজাতির লেমুরসহ বণ্যপ্রাণী, সঙ্গে যাচ্ছে কচ্ছপের হাড়ও

ছবি

মালয়েশিয়া কেড়ে নিলো ১৮ বছর, ফিরে দেখেন স্ত্রী অন্য সংসারে, বাবা-মা পরপারে

tab

টিকে আছে সৈয়দপুরের ঝুট শিল্প, স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় চাপে রপ্তানি

জেলা বার্তা পরিবেশক, নীলফামারী

শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

উত্তরাঞ্চলের শিল্পনগরী সৈয়দপুর। যার পরিচিতি আজ শুধু রেলওয়ের শহর নয়, বরং ঝুটভিত্তিক শীতবস্ত্র শিল্পের এক সম্ভাবনাময় কেন্দ্র হিসেবেও দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠিত। প্রায় চার শতাধিক ছোট-বড় কারখানায় প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে সোয়েটার, হুডি, জ্যাকেট, টুপি, গ্লাভসসহ নানান শীতকালীন পোশাক। গার্মেন্টসের ঝুট থেকেই তৈরি এ সব পণ্য দেশের বাজারে যেমন জনপ্রিয়, পাশাপাশি রপ্তানি হচ্ছে নেপাল, ভুটান ও ভারতসহ অন্যান্য দেশে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে মাসে প্রায় দুই লাখ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে এ শিল্প। তবে দীর্ঘদিন ধরে স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় রপ্তানিতে নেমে এসেছে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা। বাধ্য হয়ে সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করায় পরিবহন ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়ায় উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে, ধীর হচ্ছে পণ্য সরবরাহও।

ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, আগে স্থলবন্দর দিয়ে কম খরচে দ্রুত পণ্য পাঠানো যেত। এখন সমুদ্রপথে সময় বেশি লাগে, খরচও বাড়ছে। উৎপাদনেও তার প্রভাব পড়ছে। প্রতিকূলতার মাঝেও কারখানার চাকাগুলো পুরোপুরি থেমে নেই। উদ্যোক্তাদের ভাষ্য, হাজারো শ্রমিকের কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে উৎপাদন কম গতিতে হলেও চালিয়ে যেতে হচ্ছে।

কারখানার শ্রমিক বিউটি বেগম বলেন, কাজ কমে গেছে ঠিকই, কিন্তু কাজ তো চলছে। এই কাজ বন্ধ হলে আমাদের সংসারই চলবে না।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা জানান, স্থলবন্দর সচল হলে রপ্তানির খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে এবং কারখানাগুলো ফের পূর্ণ সক্ষমতায় ফিরে আসবে। তাদের বিশ্বাস, সক্ষমতা পাওয়া গেলে এই শিল্প থেকে মাসে পাঁচ লাখ ডলার পর্যন্ত রপ্তানি আয় সম্ভব। আমদানি ও রফতানিকারক ফাইয়াজ ইসলাম সাজু বলেন, ঝুট শিল্প শুধু স্থানীয় অর্থনীতিই নয়, সমগ্র উত্তরাঞ্চলের কর্মসংস্থান, ব্যবসা ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিরাট ভূমিকা রাখে। রপ্তানি সহজ করা এবং স্থলবন্দর দ্রুত চালুর বিকল্প নেই।

শিল্পসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রতিকূলতার মাঝেও সৈয়দপুরের ঝুট শিল্প এখনও টিকে থাকার লড়াই করে যাচ্ছে। যদি দ্রুত স্থলবন্দর পুনরায় চালু হয়, তবে রপ্তানিতে ফিরবে পুরনো গতি, শক্তিশালী হবে উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও শিল্পোদ্যোগ।

back to top