চান্দিনা (কুমিল্লা) : খিরাসার মোহনপুরে সড়কের দুর্বৃত্তদের কাটা গাছ -সংবাদ
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বরকইট ইউনিয়নের খিরাসার মোহনপুর থেকে এতবারপুরগামী সড়কের পাশের সরকারি গাছ কেটে নিয়ে গেছে স্থানীয় দুষ্কৃতকারী। ওই সড়কে খিরাসার মোহনপুর মাস্টার বাড়ী সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ২টি রেইন ট্রি কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপর ২টি রেইন ট্রির ডাল-পালা কেটে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোন সময় ওই ২টি গাছও কেটে নেয়া হতে পারে। অভিযোগ প্রাপ্তির দীর্ঘদিন গত হলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খিরাসার মোহনপুর বড় বাড়ির মৃত আব্বাস আলীর ছেলে খোরশেদ আলম ফকির নামের এক ব্যক্তি গাছগুলো কেটে নিয়েছে। কাটা গাছগুলো অনেক বছর পুরনো। ব্যাস এর দিক থেকেও অনেক মোটা এবং বড়।
এদিকে গত ২১ অক্টোবর ঘটনাটি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়। পরে উপজেলা বন বিভাগের পরিদর্শক মো. শাহজাহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়া চান্দিনা (পূর্ব) ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবু সাঈদও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তবে কেউই কার্যত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। উল্টো ওই দুষ্কৃতকারীকে গাছগুলো তার নিজের জায়গায় দাবি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। ফলে সার্ভেয়ার নিয়োগসহ নানা অজুহাতে দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে কোন পদপেক্ষপ গ্রহণ না করে কালক্ষেপণ করছেন। এতে জনমনে প্রশাসনের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত খোরশেদ আলম ফকির বলেন, এই গাছগুলো আমি লাগিয়েছি। এগুলো আমার জায়গার গাছ।
উপজেলা বন বিভাগের পরিদর্শক মো. শাহজাহান জানান, আমি যেদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি সেদিন ২টি গাছ কাটা অবস্থায় দেখেছি। বাকী ২টি গাছ না কাটার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। রাস্তা এবং খাল এর মাঝখানে গাছগুলো ছিলো। কিন্তু খোরশেদ ফকির এগুলো তাদের জায়গার গাছ বলে দাবি করেছেন। ম্যাপ দেখে পরিমাপ করে সিন্ধান্ত গ্রহণের জন্য আমি ইউএনও স্যারকে অনুরোধ জানিয়েছি।
চান্দিনা (পূর্ব) ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে, ম্যাপ ও খতিয়ান দেখে মাপতে হবে। খোরশেদ ফকির আবেদন করেছেন সার্ভেয়ার এর জন্য।
এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আল নুর বলেন, গাছ কেটে নিয়েছে এমনটা আমার জানা নেই। সার্ভেয়ার যাবে। সরকারি গাছ হলে আইনী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
চান্দিনা (কুমিল্লা) : খিরাসার মোহনপুরে সড়কের দুর্বৃত্তদের কাটা গাছ -সংবাদ
রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বরকইট ইউনিয়নের খিরাসার মোহনপুর থেকে এতবারপুরগামী সড়কের পাশের সরকারি গাছ কেটে নিয়ে গেছে স্থানীয় দুষ্কৃতকারী। ওই সড়কে খিরাসার মোহনপুর মাস্টার বাড়ী সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ২টি রেইন ট্রি কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপর ২টি রেইন ট্রির ডাল-পালা কেটে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোন সময় ওই ২টি গাছও কেটে নেয়া হতে পারে। অভিযোগ প্রাপ্তির দীর্ঘদিন গত হলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খিরাসার মোহনপুর বড় বাড়ির মৃত আব্বাস আলীর ছেলে খোরশেদ আলম ফকির নামের এক ব্যক্তি গাছগুলো কেটে নিয়েছে। কাটা গাছগুলো অনেক বছর পুরনো। ব্যাস এর দিক থেকেও অনেক মোটা এবং বড়।
এদিকে গত ২১ অক্টোবর ঘটনাটি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়। পরে উপজেলা বন বিভাগের পরিদর্শক মো. শাহজাহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়া চান্দিনা (পূর্ব) ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবু সাঈদও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তবে কেউই কার্যত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। উল্টো ওই দুষ্কৃতকারীকে গাছগুলো তার নিজের জায়গায় দাবি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। ফলে সার্ভেয়ার নিয়োগসহ নানা অজুহাতে দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে কোন পদপেক্ষপ গ্রহণ না করে কালক্ষেপণ করছেন। এতে জনমনে প্রশাসনের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত খোরশেদ আলম ফকির বলেন, এই গাছগুলো আমি লাগিয়েছি। এগুলো আমার জায়গার গাছ।
উপজেলা বন বিভাগের পরিদর্শক মো. শাহজাহান জানান, আমি যেদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি সেদিন ২টি গাছ কাটা অবস্থায় দেখেছি। বাকী ২টি গাছ না কাটার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। রাস্তা এবং খাল এর মাঝখানে গাছগুলো ছিলো। কিন্তু খোরশেদ ফকির এগুলো তাদের জায়গার গাছ বলে দাবি করেছেন। ম্যাপ দেখে পরিমাপ করে সিন্ধান্ত গ্রহণের জন্য আমি ইউএনও স্যারকে অনুরোধ জানিয়েছি।
চান্দিনা (পূর্ব) ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে, ম্যাপ ও খতিয়ান দেখে মাপতে হবে। খোরশেদ ফকির আবেদন করেছেন সার্ভেয়ার এর জন্য।
এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আল নুর বলেন, গাছ কেটে নিয়েছে এমনটা আমার জানা নেই। সার্ভেয়ার যাবে। সরকারি গাছ হলে আইনী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।