গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : আমন ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক খুশি -সংবাদ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ধানের সন্তোষজনক ফলন হয়েছে। প্রতিকূলতা পেরিয়ে এমন ফলনে কৃষক-কৃষাণীদের মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি। সোনালি ধান কেটে ঘরে তোলা শুরু করেছেন কৃষক পরিবারের সদস্যরা। সলশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কৃষিজীবী মানুষেরা শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ের যে সকল আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব পালন করে আসছেন, নবান্ন উৎসব তার মধ্যে অন্যতম। ঋতু চক্রের পথ পরিক্রমায় হেমন্তর শুরু অগ্রহায়ণ মাসকে ঘিরে নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠছে কৃষকের আঙ্গিনা। আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষকের আঙ্গিনা ভরে উঠেছে সোনালী ফসলে। গ্রামীণ জীবন থেকে নবান্ন উৎসব হারিয়ে যেতে বসলেও অনেকে ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। বছর ঘুরে অগ্রহায়ণ এলেই কৃষককেরা ধানকাটা মাড়াই উৎসবে মেতে উঠেন।
ধান কাটা - মাড়াই মৌসুমে ব্যস্ত সময় করেন কৃষক-কৃষাণীরা। কৃষকের আঙ্গিনা ভরে সোনালী ধানে।
আমন ধানের নতুন চালের ভাতে ভিন্ন এক আমেজ এনে দেয় কৃষক পরিবারে।
অধিকাংশ কৃষক পরিবারে তৈরি হয় নতুন চালের পিঠা, ক্ষীর, পায়েসসহ নানা উপাদেয় খাদ্য।
সরজমিনে উপজেলার গুয়াগাছিয়া,বাউশিয়া ও টেংগারচরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, বাতাসে দুলছে পাকা ও আধাপাকা ধানের সোনালী শীষ। পাকা ধানের গন্ধে ভরে উঠেছে গ্রামের মাঠোপথ। এলাকা জুড়ে চলছে ধান কাটার উৎসব।
কৃষকের আঙ্গিগা আর দাওয়া জুড়ে স্তুপাকারে রয়েছ নতুন ধান।
ব্যস্ত সময়ের মাঝে কৃষাণীরাও দম ফেলার ফুসরত পাচ্ছেন না। ধান কাটার পর দ্রুত জমি প্রস্তুত করে অন্য জাতের ফসল বোনতে চলছে প্রস্তুতি।
স্থানীয় কৃষক বাচ্চু মিয়া বলেন, দেড় বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো খড়ের চাহিদাও বেশ।
গজারিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল আরাফাত বিন সিদ্দিক বলেন, চলতি বছর রোপা ও বোনা আমন মিলে চাষ হয়েছে ১৬ শ’ হেক্টর জমিতে।
কৃষকদের পর্যাপ্ত সহযোগিতা করা হয়েছে। আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, তাই কৃষকের মুখে হাসি। এবারের আমন মৌসুমে এমন প্রত্যাশিত ফলনে কৃষকদের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে, মাঠের পর মাঠ সোনালি শস্যে ভরে উঠেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : আমন ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক খুশি -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ধানের সন্তোষজনক ফলন হয়েছে। প্রতিকূলতা পেরিয়ে এমন ফলনে কৃষক-কৃষাণীদের মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি। সোনালি ধান কেটে ঘরে তোলা শুরু করেছেন কৃষক পরিবারের সদস্যরা। সলশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কৃষিজীবী মানুষেরা শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ের যে সকল আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব পালন করে আসছেন, নবান্ন উৎসব তার মধ্যে অন্যতম। ঋতু চক্রের পথ পরিক্রমায় হেমন্তর শুরু অগ্রহায়ণ মাসকে ঘিরে নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠছে কৃষকের আঙ্গিনা। আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষকের আঙ্গিনা ভরে উঠেছে সোনালী ফসলে। গ্রামীণ জীবন থেকে নবান্ন উৎসব হারিয়ে যেতে বসলেও অনেকে ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। বছর ঘুরে অগ্রহায়ণ এলেই কৃষককেরা ধানকাটা মাড়াই উৎসবে মেতে উঠেন।
ধান কাটা - মাড়াই মৌসুমে ব্যস্ত সময় করেন কৃষক-কৃষাণীরা। কৃষকের আঙ্গিনা ভরে সোনালী ধানে।
আমন ধানের নতুন চালের ভাতে ভিন্ন এক আমেজ এনে দেয় কৃষক পরিবারে।
অধিকাংশ কৃষক পরিবারে তৈরি হয় নতুন চালের পিঠা, ক্ষীর, পায়েসসহ নানা উপাদেয় খাদ্য।
সরজমিনে উপজেলার গুয়াগাছিয়া,বাউশিয়া ও টেংগারচরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, বাতাসে দুলছে পাকা ও আধাপাকা ধানের সোনালী শীষ। পাকা ধানের গন্ধে ভরে উঠেছে গ্রামের মাঠোপথ। এলাকা জুড়ে চলছে ধান কাটার উৎসব।
কৃষকের আঙ্গিগা আর দাওয়া জুড়ে স্তুপাকারে রয়েছ নতুন ধান।
ব্যস্ত সময়ের মাঝে কৃষাণীরাও দম ফেলার ফুসরত পাচ্ছেন না। ধান কাটার পর দ্রুত জমি প্রস্তুত করে অন্য জাতের ফসল বোনতে চলছে প্রস্তুতি।
স্থানীয় কৃষক বাচ্চু মিয়া বলেন, দেড় বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো খড়ের চাহিদাও বেশ।
গজারিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল আরাফাত বিন সিদ্দিক বলেন, চলতি বছর রোপা ও বোনা আমন মিলে চাষ হয়েছে ১৬ শ’ হেক্টর জমিতে।
কৃষকদের পর্যাপ্ত সহযোগিতা করা হয়েছে। আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, তাই কৃষকের মুখে হাসি। এবারের আমন মৌসুমে এমন প্রত্যাশিত ফলনে কৃষকদের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে, মাঠের পর মাঠ সোনালি শস্যে ভরে উঠেছে।