আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় এমপিদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন অবৈধভাবে চলা ক্রাশার মেশিন এখনো চালু রেখেছেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী আওয়ামী লীগের “ডোনার” খ্যাত আনিসুল হক। ৫ আগস্টের পর আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে তার ক্রাশার মেশিনগুলো। এতে একদিকে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। মেশিনগুলো নদীর তীরে থাকায় ভাঙ্গনও দেখা দিয়েছে। রাতদিন লোকালয়ে অবৈধ ক্রাশার মেশিন চালু রাখায় শব্দদূষণসহ নানা রোগেও ভোগছেন স্থানীয় মানুষজন।
জানা গেছে, জামালগঞ্জ উপজেলার চানপুরে সুরমা নদীর তীরে মেসার্স আনিসুল হক এন্টারপ্রাইজ নামে আনিসুল হকের তিনটি অবৈধ ক্রাশার মেশিন রয়েছে। রাতদিন পরিবেশ ধ্বংস করে ক্রাশার মেশিনে এলসির পাথর ভাঙ্গানো হচ্ছে। জানা গেছে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার লোকজনদের ম্যানেজ করে আনিসুল লোকালয়ে পাথরের ক্রাশান মেশিন স্থাপন করেন। স্থানীয়রা পরিবেশ বিপর্যয় ও নদী ভাঙ্গনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে আওয়ামী লীগের তৎকালীন এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের লোকদের মাধ্যমে তাদেরকে হুমকি ধমকি দেন আনিসুল। সুনামগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জামালগঞ্জের লালপুরে অবৈধ ক্রাশার মেশিনের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। এসসময় আনিসুল হকের তিনটি অবৈধ ক্রাশার মেশিন জব্দ ও বন্ধ করতে চাইলে তিনি প্রভাব খাটিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের লোকদের হুমকি ধমকি দিয়ে বিদায় করেন। যার ফলে তার বিরুদ্ধে জরিমানা করতে পারেনি পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় আনিসুল হকের ম্যানেজার তার বোন জামাই শফিকুল হকও হুমকি ধমকি দেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, আনিসুল হকসহ ওখানকার কারো ক্রাশার মেশিনের অনুমোদন নেই। নির্দিষ্ট জায়গায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে মেশিন স্থাপন করার নির্দেশনা থাকলেও আনিসুল সেটা মানেননি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জামালগঞ্জের বিএনপির এক নেতা বলেন, আনিসুল আওয়ামী লীগ আমলে সবাইকে ম্যানেজ করে বৈধ ও অবৈধভাবে ব্যবসা করেছেন। তবে পাথর ক্রাশার মেশিন অনুমোদন ছাড়াই তিনি চালাচ্ছেন। চানপুর গ্রামে তার একাধিক মেশিন রাতদিন চলে। এতে এলাকার পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোহাইমিনুল হক বলেন, পাথর ভাঙ্গার ক্রাশার মেশিনের অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়া মেশিন চালানোয় আমরা সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে কিছু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছি। অন্যদের সতর্ক করেছি।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী আনিসুল হকের সেল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় এমপিদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন অবৈধভাবে চলা ক্রাশার মেশিন এখনো চালু রেখেছেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী আওয়ামী লীগের “ডোনার” খ্যাত আনিসুল হক। ৫ আগস্টের পর আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে তার ক্রাশার মেশিনগুলো। এতে একদিকে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। মেশিনগুলো নদীর তীরে থাকায় ভাঙ্গনও দেখা দিয়েছে। রাতদিন লোকালয়ে অবৈধ ক্রাশার মেশিন চালু রাখায় শব্দদূষণসহ নানা রোগেও ভোগছেন স্থানীয় মানুষজন।
জানা গেছে, জামালগঞ্জ উপজেলার চানপুরে সুরমা নদীর তীরে মেসার্স আনিসুল হক এন্টারপ্রাইজ নামে আনিসুল হকের তিনটি অবৈধ ক্রাশার মেশিন রয়েছে। রাতদিন পরিবেশ ধ্বংস করে ক্রাশার মেশিনে এলসির পাথর ভাঙ্গানো হচ্ছে। জানা গেছে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার লোকজনদের ম্যানেজ করে আনিসুল লোকালয়ে পাথরের ক্রাশান মেশিন স্থাপন করেন। স্থানীয়রা পরিবেশ বিপর্যয় ও নদী ভাঙ্গনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে আওয়ামী লীগের তৎকালীন এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের লোকদের মাধ্যমে তাদেরকে হুমকি ধমকি দেন আনিসুল। সুনামগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জামালগঞ্জের লালপুরে অবৈধ ক্রাশার মেশিনের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। এসসময় আনিসুল হকের তিনটি অবৈধ ক্রাশার মেশিন জব্দ ও বন্ধ করতে চাইলে তিনি প্রভাব খাটিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের লোকদের হুমকি ধমকি দিয়ে বিদায় করেন। যার ফলে তার বিরুদ্ধে জরিমানা করতে পারেনি পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় আনিসুল হকের ম্যানেজার তার বোন জামাই শফিকুল হকও হুমকি ধমকি দেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, আনিসুল হকসহ ওখানকার কারো ক্রাশার মেশিনের অনুমোদন নেই। নির্দিষ্ট জায়গায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে মেশিন স্থাপন করার নির্দেশনা থাকলেও আনিসুল সেটা মানেননি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জামালগঞ্জের বিএনপির এক নেতা বলেন, আনিসুল আওয়ামী লীগ আমলে সবাইকে ম্যানেজ করে বৈধ ও অবৈধভাবে ব্যবসা করেছেন। তবে পাথর ক্রাশার মেশিন অনুমোদন ছাড়াই তিনি চালাচ্ছেন। চানপুর গ্রামে তার একাধিক মেশিন রাতদিন চলে। এতে এলাকার পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোহাইমিনুল হক বলেন, পাথর ভাঙ্গার ক্রাশার মেশিনের অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়া মেশিন চালানোয় আমরা সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে কিছু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছি। অন্যদের সতর্ক করেছি।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী আনিসুল হকের সেল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তা রিসিভ করেননি।