ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মুন্সীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হওয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনার অন্যতম আসামি জিয়া সরদার (৫৩) কে গ্রেপ্তার করেছে (র্যাব-১১)। গতকাল বুধবার বিকেল চারটার দিকে সদর উপজেলার নৈর পুকুরপাড় ঈদগাঁ সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
র্যাব জানায়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই “বাংলাদেশ আমার অহংকার” স্লোগানকে ধারণ করে সন্ত্রাসী দমন, চাঁদাবাজি, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদকবিরোধী অভিযানসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদ্?ঘাটনে কাজ করে আসছে র্যাব। বিভিন্ন গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান পরিচালনার ধারাবাহিকতায় দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে সংস্থাটি সক্ষম হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর সকাল ছয়টার দিকে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চরডুমুরিয়া এলাকায় ১০০ থেকে ১২০ জন অস্ত্রধারী ব্যক্তি হামলা চালায়। গ্রেপ্তার করা জিয়া সরদারসহ অভিযুক্তরা ধারালো অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র, চাইনিজ কুড়াল, রামদা, ককটেল, হকি স্টিক ও লোহার রড নিয়ে আরিফ মীরের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় সকালে ঘর থেকে বের হলে আসামিরা আরিফ মীরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে ঘটাতে রায়হান খাঁর বাড়িতে যায়। ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রায়হান খাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হলে তিনি গুরুতর আহত হন। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে পরদিন দুপুরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
একই ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হলে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। র্যাব আরোও জানায়, ঘটনার পর তারা গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে দেয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ৫৫ নম্বর আসামি জিয়া সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার নোয়াদ্দা গ্রামের মৃত জেদ্দাল সরদারের ছেলে। গ্রেপ্তারের পর জিয়াকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে র্যাব জানায়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
মুন্সীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হওয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনার অন্যতম আসামি জিয়া সরদার (৫৩) কে গ্রেপ্তার করেছে (র্যাব-১১)। গতকাল বুধবার বিকেল চারটার দিকে সদর উপজেলার নৈর পুকুরপাড় ঈদগাঁ সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
র্যাব জানায়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই “বাংলাদেশ আমার অহংকার” স্লোগানকে ধারণ করে সন্ত্রাসী দমন, চাঁদাবাজি, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদকবিরোধী অভিযানসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদ্?ঘাটনে কাজ করে আসছে র্যাব। বিভিন্ন গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান পরিচালনার ধারাবাহিকতায় দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে সংস্থাটি সক্ষম হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর সকাল ছয়টার দিকে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চরডুমুরিয়া এলাকায় ১০০ থেকে ১২০ জন অস্ত্রধারী ব্যক্তি হামলা চালায়। গ্রেপ্তার করা জিয়া সরদারসহ অভিযুক্তরা ধারালো অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র, চাইনিজ কুড়াল, রামদা, ককটেল, হকি স্টিক ও লোহার রড নিয়ে আরিফ মীরের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় সকালে ঘর থেকে বের হলে আসামিরা আরিফ মীরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে ঘটাতে রায়হান খাঁর বাড়িতে যায়। ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রায়হান খাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হলে তিনি গুরুতর আহত হন। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে পরদিন দুপুরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
একই ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হলে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। র্যাব আরোও জানায়, ঘটনার পর তারা গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে দেয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ৫৫ নম্বর আসামি জিয়া সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার নোয়াদ্দা গ্রামের মৃত জেদ্দাল সরদারের ছেলে। গ্রেপ্তারের পর জিয়াকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে র্যাব জানায়।