alt

নেত্রকোণায় প্রতিদিন অর্ধ কোটি টাকার মাছের বেচাকেনা

প্রতিনিধি, নেত্রকোণা : বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

নেত্রকোণা : বাজারে ব্যবসায়ীরা দেশীয় নানা ধরনের ছোট-বড় মাছ নিয়ে বসা -সংবাদ

রাত ভর নেত্রকোণার বিভিন্ন নদী, হাওর, বিল ও জলাশয় থেকে ধরা মাছ নিয়ে জয়ের বাজার ও মেছুয়া বাজারে আসেন জেলেরা। সকাল হতেই শুরু হয় পাইকারি বেচাকেনা। জেলা ছাড়াও পাশের অঞ্চল থেকেও মাছ আসে এই দুই আরতে। দেশীয় প্রজাতির নানা ধরনের ছোট-বড় মাছ। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই জমে ওঠে নেত্রকোণার মাছের হাটগুলো। এরমাঝে সবচেয়ে বেশি মাছ কেনাবেচা হয় ঐতিহ্যবাহী জয়ের বাজার ও মেছুয়া বাজারে। যেখানে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশীয় প্রজাতিন নানা জাতের মাছ নিয়ে আসেন জেলে ও মৎস ব্যবসায়ীরা। মাত্র কয়েক ঘন্টায় অর্ধ কোটি টাকার মাছ বেচাকেনায় আড়ত গুলোতে চলে ব্যপক কর্ম ব্যস্ততা।

রুই, কাতলা, মৃগেল, টেংরা, শিং, কৈ, পুটি, বোয়াল, আইড়, টাকি সহ নানা প্রজাতির মাছ বিক্রি হয় এখানে। পাইকাররা দল বেঁধে অংশ নেন ডাক প্রতিযোগিতায়। ক্রেতা-বিক্রেতার কণ্ঠে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো বাজার। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এই বেচাকেনা।

পরে এসব মাছ পাইকারি ক্রেতারা সরবরাহ করেন জেলার বিভিন্ন খুচরা বাজারে। এতে শুধু জেলার শহরাঞ্চল নয়, গ্রামগঞ্জেও পৌঁছে যায় দেশীয় মাছ। যদিও আগের তুলনায় মাছের সরবরাহ কমেছে বলছেন সংস্লিষ্টরা।

মানিক মিয়ার, রফিকুল ইসলামসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন দুই বাজার মিলে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মাছের লেনদেন হয়। এই বিশাল বাজার ব্যবস্থায় জড়িত অন্তত সহস্রাধিক ব্যবসায়ী, জেলে ও শ্রমিক। কেউ জাল টানেন, কেউ মাছ বহন করেন, কেউ বিক্রি ও পরিবহনে যুক্ত সব মিলিয়ে গড়ে উঠে এক কর্মচঞ্চল অর্থনৈতিক পরিবেশ।

ব্যবসায়ীরা জানান, এক সময় জেলার নদী ও হাওরে প্রচুর দেশীয় মাছ পাওয়া গেলেও চায়না দুয়ারি জাল, বিষক্রিয়াসহ নানা কারণে এখন মাছের সরবরাহ কমেছে। তাই চায়না জাল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি সচেতন নাগরিকদের।

তবে উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে মৎস বিভাগ। জেলা মৎস কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল জানান, নেত্রকোণায় মাছের চাহিদা রয়েছে ৫২ হাজার ৯শ ৭৫ মে. টন। উৎপাদন হচ্ছে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৩৮ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ব মাছ রপ্তনি হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। তবে মাছ উৎপাদন বাড়াতে হাওরাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকায় চায়না দুয়ারি জাল ও বিষক্রিয়া বন্ধ করণে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এই বাজারগুলো শুধু স্থানীয় অর্থনীতি নয়, হাজারো মানুষের জীবিকার অন্যতম ভরসাস্থল। শুধু আশ্বাস নয়, মাছে উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগ নিবে সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষ। এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

ছবি

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত

ছবি

শীতের শুরুতে আগাম আলুচাষে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা ঘিওরের কৃষকদের

ছবি

অন্তর্বর্তী সময়ে অতি ডানপন্থিদের আস্ফালন যেমন বেড়েছে, সরকারের দিক থেকে আস্কারাও পেয়েছে: শিক্ষক নেটওয়ার্ক

ছবি

কক্সবাজার জেল গেইট এলাকায় পাহাড় ধ্বংস: প্রকৃতির সামনে নতুন ঝুঁকি

ছবি

কালিহাতীতে পরিত্যক্ত মেশিন ঘরে কিশোরী ধর্ষণ

দুমকিতে জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রিকরণ বিষয়ক কর্মশালা

ছবি

মোহনগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল

ছবি

আদমদীঘিতে নিখোঁজের ৩ দিন পর বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

গজারিয়ায় বালু ভরাটে কমছে আমাদি জমি ও মাটির উর্বরতা

ছবি

শীতের আমেজে কদর বেড়েছে গরম কাপড়, লেপ, তোষকের

ছবি

সিলেটে এতিম শিশুদের জন্য তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের স্কুল

ছবি

রাঙ্গাবালীতে সংরক্ষিত বন ধ্বংস তরমুজ খেতের প্রস্তুতি

ছবি

ভেজাল কীটনাশক কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কারাদণ্ড, জরিমানা

ছবি

মৌলভীবাজারে পাহাড়ি বনভূমিতে চলছে বাঁশ লুটের উৎসব

ছবি

অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে সান্তাহারে চার আবাসিক হোটেলে তালা দিল জনতা

ছবি

নবীনগরের বগাহানী সেতুটি বেহাল অবস্থা

ছবি

নবীগঞ্জে অমনের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে আনন্দের ঝিলিক

ছবি

শাহজাদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে ডুবে থাকে ৬ মাস

ছবি

কালকিনিতে পরিবহনের ধাক্কায় যুবক নিহত

ছবি

পোরশায় একযোগে ১১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষ রোপণ

ছবি

চমেক হাসপাতালে কয়েদির মৃত্যু

ছবি

জয়পুরহাটে সার সংকটে বিপাকে চাষিরা

ছবি

বিরামপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে ছাগল ও উপকরণ বিতরণ

ছবি

যশোরে ডিবি পরিচয়ে ফিল্মি স্টাইলে প্রাইভেটকার ছিনতাই

ছবি

দুমকিতে গাঁজাসহ আটক ১

ছবি

রাজিবপুরে সেলাই বিষয়ক প্রশিক্ষণ

গোয়ালন্দে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

স্ত্রীর মামলায় পৌরসভার প্রকৌশলীর কারাদন্ড

ছবি

চরফ্যাসনের ফুটপাতে শীতের উচ্ছ্বাস

ছবি

ডিমলায় মাদ্রাসার জমির ধান লুটসহ জমি জবর দখলের অভিযোগ

ছবি

বাউল আবুল সরকারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সিলেটে বিক্ষুব্ধ বন্ধন

ছবি

ঘিওরে ঢেঁকি ছাটা চাউল ছড়িয়ে যাচ্ছে সারা দেশে

ছবি

উল্লাপাড়ায় আমগাছে ‘রহস্যময় পাখাওয়ালা প্রাণী

ছবি

রাজশাহীতে বিক্রি হচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকির মথ ডাল

কেউ নেতা সাজবেন না সবাই কর্মী হয়ে যান : রিতা

ছবি

মহেশপুরে মাদক সেবনে নারীর তিন মাসের কারাদণ্ড

tab

নেত্রকোণায় প্রতিদিন অর্ধ কোটি টাকার মাছের বেচাকেনা

প্রতিনিধি, নেত্রকোণা

নেত্রকোণা : বাজারে ব্যবসায়ীরা দেশীয় নানা ধরনের ছোট-বড় মাছ নিয়ে বসা -সংবাদ

বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

রাত ভর নেত্রকোণার বিভিন্ন নদী, হাওর, বিল ও জলাশয় থেকে ধরা মাছ নিয়ে জয়ের বাজার ও মেছুয়া বাজারে আসেন জেলেরা। সকাল হতেই শুরু হয় পাইকারি বেচাকেনা। জেলা ছাড়াও পাশের অঞ্চল থেকেও মাছ আসে এই দুই আরতে। দেশীয় প্রজাতির নানা ধরনের ছোট-বড় মাছ। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই জমে ওঠে নেত্রকোণার মাছের হাটগুলো। এরমাঝে সবচেয়ে বেশি মাছ কেনাবেচা হয় ঐতিহ্যবাহী জয়ের বাজার ও মেছুয়া বাজারে। যেখানে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশীয় প্রজাতিন নানা জাতের মাছ নিয়ে আসেন জেলে ও মৎস ব্যবসায়ীরা। মাত্র কয়েক ঘন্টায় অর্ধ কোটি টাকার মাছ বেচাকেনায় আড়ত গুলোতে চলে ব্যপক কর্ম ব্যস্ততা।

রুই, কাতলা, মৃগেল, টেংরা, শিং, কৈ, পুটি, বোয়াল, আইড়, টাকি সহ নানা প্রজাতির মাছ বিক্রি হয় এখানে। পাইকাররা দল বেঁধে অংশ নেন ডাক প্রতিযোগিতায়। ক্রেতা-বিক্রেতার কণ্ঠে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো বাজার। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এই বেচাকেনা।

পরে এসব মাছ পাইকারি ক্রেতারা সরবরাহ করেন জেলার বিভিন্ন খুচরা বাজারে। এতে শুধু জেলার শহরাঞ্চল নয়, গ্রামগঞ্জেও পৌঁছে যায় দেশীয় মাছ। যদিও আগের তুলনায় মাছের সরবরাহ কমেছে বলছেন সংস্লিষ্টরা।

মানিক মিয়ার, রফিকুল ইসলামসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন দুই বাজার মিলে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মাছের লেনদেন হয়। এই বিশাল বাজার ব্যবস্থায় জড়িত অন্তত সহস্রাধিক ব্যবসায়ী, জেলে ও শ্রমিক। কেউ জাল টানেন, কেউ মাছ বহন করেন, কেউ বিক্রি ও পরিবহনে যুক্ত সব মিলিয়ে গড়ে উঠে এক কর্মচঞ্চল অর্থনৈতিক পরিবেশ।

ব্যবসায়ীরা জানান, এক সময় জেলার নদী ও হাওরে প্রচুর দেশীয় মাছ পাওয়া গেলেও চায়না দুয়ারি জাল, বিষক্রিয়াসহ নানা কারণে এখন মাছের সরবরাহ কমেছে। তাই চায়না জাল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি সচেতন নাগরিকদের।

তবে উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে মৎস বিভাগ। জেলা মৎস কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল জানান, নেত্রকোণায় মাছের চাহিদা রয়েছে ৫২ হাজার ৯শ ৭৫ মে. টন। উৎপাদন হচ্ছে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৩৮ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ব মাছ রপ্তনি হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। তবে মাছ উৎপাদন বাড়াতে হাওরাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকায় চায়না দুয়ারি জাল ও বিষক্রিয়া বন্ধ করণে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এই বাজারগুলো শুধু স্থানীয় অর্থনীতি নয়, হাজারো মানুষের জীবিকার অন্যতম ভরসাস্থল। শুধু আশ্বাস নয়, মাছে উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগ নিবে সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষ। এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

back to top