নেত্রকোণা : বাজারে ব্যবসায়ীরা দেশীয় নানা ধরনের ছোট-বড় মাছ নিয়ে বসা -সংবাদ
রাত ভর নেত্রকোণার বিভিন্ন নদী, হাওর, বিল ও জলাশয় থেকে ধরা মাছ নিয়ে জয়ের বাজার ও মেছুয়া বাজারে আসেন জেলেরা। সকাল হতেই শুরু হয় পাইকারি বেচাকেনা। জেলা ছাড়াও পাশের অঞ্চল থেকেও মাছ আসে এই দুই আরতে। দেশীয় প্রজাতির নানা ধরনের ছোট-বড় মাছ। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই জমে ওঠে নেত্রকোণার মাছের হাটগুলো। এরমাঝে সবচেয়ে বেশি মাছ কেনাবেচা হয় ঐতিহ্যবাহী জয়ের বাজার ও মেছুয়া বাজারে। যেখানে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশীয় প্রজাতিন নানা জাতের মাছ নিয়ে আসেন জেলে ও মৎস ব্যবসায়ীরা। মাত্র কয়েক ঘন্টায় অর্ধ কোটি টাকার মাছ বেচাকেনায় আড়ত গুলোতে চলে ব্যপক কর্ম ব্যস্ততা।
রুই, কাতলা, মৃগেল, টেংরা, শিং, কৈ, পুটি, বোয়াল, আইড়, টাকি সহ নানা প্রজাতির মাছ বিক্রি হয় এখানে। পাইকাররা দল বেঁধে অংশ নেন ডাক প্রতিযোগিতায়। ক্রেতা-বিক্রেতার কণ্ঠে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো বাজার। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এই বেচাকেনা।
পরে এসব মাছ পাইকারি ক্রেতারা সরবরাহ করেন জেলার বিভিন্ন খুচরা বাজারে। এতে শুধু জেলার শহরাঞ্চল নয়, গ্রামগঞ্জেও পৌঁছে যায় দেশীয় মাছ। যদিও আগের তুলনায় মাছের সরবরাহ কমেছে বলছেন সংস্লিষ্টরা।
মানিক মিয়ার, রফিকুল ইসলামসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন দুই বাজার মিলে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মাছের লেনদেন হয়। এই বিশাল বাজার ব্যবস্থায় জড়িত অন্তত সহস্রাধিক ব্যবসায়ী, জেলে ও শ্রমিক। কেউ জাল টানেন, কেউ মাছ বহন করেন, কেউ বিক্রি ও পরিবহনে যুক্ত সব মিলিয়ে গড়ে উঠে এক কর্মচঞ্চল অর্থনৈতিক পরিবেশ।
ব্যবসায়ীরা জানান, এক সময় জেলার নদী ও হাওরে প্রচুর দেশীয় মাছ পাওয়া গেলেও চায়না দুয়ারি জাল, বিষক্রিয়াসহ নানা কারণে এখন মাছের সরবরাহ কমেছে। তাই চায়না জাল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি সচেতন নাগরিকদের।
তবে উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে মৎস বিভাগ। জেলা মৎস কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল জানান, নেত্রকোণায় মাছের চাহিদা রয়েছে ৫২ হাজার ৯শ ৭৫ মে. টন। উৎপাদন হচ্ছে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৩৮ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ব মাছ রপ্তনি হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। তবে মাছ উৎপাদন বাড়াতে হাওরাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকায় চায়না দুয়ারি জাল ও বিষক্রিয়া বন্ধ করণে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এই বাজারগুলো শুধু স্থানীয় অর্থনীতি নয়, হাজারো মানুষের জীবিকার অন্যতম ভরসাস্থল। শুধু আশ্বাস নয়, মাছে উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগ নিবে সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষ। এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
নেত্রকোণা : বাজারে ব্যবসায়ীরা দেশীয় নানা ধরনের ছোট-বড় মাছ নিয়ে বসা -সংবাদ
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
রাত ভর নেত্রকোণার বিভিন্ন নদী, হাওর, বিল ও জলাশয় থেকে ধরা মাছ নিয়ে জয়ের বাজার ও মেছুয়া বাজারে আসেন জেলেরা। সকাল হতেই শুরু হয় পাইকারি বেচাকেনা। জেলা ছাড়াও পাশের অঞ্চল থেকেও মাছ আসে এই দুই আরতে। দেশীয় প্রজাতির নানা ধরনের ছোট-বড় মাছ। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই জমে ওঠে নেত্রকোণার মাছের হাটগুলো। এরমাঝে সবচেয়ে বেশি মাছ কেনাবেচা হয় ঐতিহ্যবাহী জয়ের বাজার ও মেছুয়া বাজারে। যেখানে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশীয় প্রজাতিন নানা জাতের মাছ নিয়ে আসেন জেলে ও মৎস ব্যবসায়ীরা। মাত্র কয়েক ঘন্টায় অর্ধ কোটি টাকার মাছ বেচাকেনায় আড়ত গুলোতে চলে ব্যপক কর্ম ব্যস্ততা।
রুই, কাতলা, মৃগেল, টেংরা, শিং, কৈ, পুটি, বোয়াল, আইড়, টাকি সহ নানা প্রজাতির মাছ বিক্রি হয় এখানে। পাইকাররা দল বেঁধে অংশ নেন ডাক প্রতিযোগিতায়। ক্রেতা-বিক্রেতার কণ্ঠে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো বাজার। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এই বেচাকেনা।
পরে এসব মাছ পাইকারি ক্রেতারা সরবরাহ করেন জেলার বিভিন্ন খুচরা বাজারে। এতে শুধু জেলার শহরাঞ্চল নয়, গ্রামগঞ্জেও পৌঁছে যায় দেশীয় মাছ। যদিও আগের তুলনায় মাছের সরবরাহ কমেছে বলছেন সংস্লিষ্টরা।
মানিক মিয়ার, রফিকুল ইসলামসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন দুই বাজার মিলে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মাছের লেনদেন হয়। এই বিশাল বাজার ব্যবস্থায় জড়িত অন্তত সহস্রাধিক ব্যবসায়ী, জেলে ও শ্রমিক। কেউ জাল টানেন, কেউ মাছ বহন করেন, কেউ বিক্রি ও পরিবহনে যুক্ত সব মিলিয়ে গড়ে উঠে এক কর্মচঞ্চল অর্থনৈতিক পরিবেশ।
ব্যবসায়ীরা জানান, এক সময় জেলার নদী ও হাওরে প্রচুর দেশীয় মাছ পাওয়া গেলেও চায়না দুয়ারি জাল, বিষক্রিয়াসহ নানা কারণে এখন মাছের সরবরাহ কমেছে। তাই চায়না জাল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি সচেতন নাগরিকদের।
তবে উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে মৎস বিভাগ। জেলা মৎস কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল জানান, নেত্রকোণায় মাছের চাহিদা রয়েছে ৫২ হাজার ৯শ ৭৫ মে. টন। উৎপাদন হচ্ছে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৩৮ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ব মাছ রপ্তনি হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। তবে মাছ উৎপাদন বাড়াতে হাওরাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকায় চায়না দুয়ারি জাল ও বিষক্রিয়া বন্ধ করণে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এই বাজারগুলো শুধু স্থানীয় অর্থনীতি নয়, হাজারো মানুষের জীবিকার অন্যতম ভরসাস্থল। শুধু আশ্বাস নয়, মাছে উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগ নিবে সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষ। এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।