ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীতকরণসহ তিন দফা দাবিতে সারাদেশের মতো নেত্রকোনার পূর্বধলাতেও কঠোর অবস্থানে রয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। টানা কর্মবিরতির কারণে গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল বার্ষিক পরীক্ষা; তবে উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়ে তা অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে হাজারো শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক চরম অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যে পড়েছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, পূর্বধলায় মোট ১৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও সরেজমিনে দেখা যায়-হাতে গোনা কয়েকটি বিদ্যালয় ছাড়া অধিকাংশ স্কুলেই পরীক্ষা হয়নি।
শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে শুধু পরীক্ষা নয়, নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রমও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছে। সকালে উৎসাহ নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসা শিক্ষার্থীদের অনেককেই হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের বৈষম্য দূর করতে তিন দফা দাবি আদায় অপরিহার্য।
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন এবং কোনো ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশ নেবেন না। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মফিজুল হক বলেন, বেশিরভাগ স্কুলেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমার জানা অনুযায়ী উপজেলায় মাত্র কয়েকটি স্কুল পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
অপরদিকে, পূর্বধলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রাজিব হোসেন জানান, কেন্দ্রীয় শিক্ষক সমিতির নির্দেশনা অনুযায়ী আপাতত সব বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার সব কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। তার দাবি উপজেলার ১৭৫টির মধ্যে ১৫০টির বেশি বিদ্যালয়ে পরীক্ষাবর্জন করা হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীতকরণসহ তিন দফা দাবিতে সারাদেশের মতো নেত্রকোনার পূর্বধলাতেও কঠোর অবস্থানে রয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। টানা কর্মবিরতির কারণে গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল বার্ষিক পরীক্ষা; তবে উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়ে তা অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে হাজারো শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক চরম অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যে পড়েছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, পূর্বধলায় মোট ১৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও সরেজমিনে দেখা যায়-হাতে গোনা কয়েকটি বিদ্যালয় ছাড়া অধিকাংশ স্কুলেই পরীক্ষা হয়নি।
শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে শুধু পরীক্ষা নয়, নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রমও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছে। সকালে উৎসাহ নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসা শিক্ষার্থীদের অনেককেই হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের বৈষম্য দূর করতে তিন দফা দাবি আদায় অপরিহার্য।
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন এবং কোনো ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশ নেবেন না। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মফিজুল হক বলেন, বেশিরভাগ স্কুলেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমার জানা অনুযায়ী উপজেলায় মাত্র কয়েকটি স্কুল পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
অপরদিকে, পূর্বধলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রাজিব হোসেন জানান, কেন্দ্রীয় শিক্ষক সমিতির নির্দেশনা অনুযায়ী আপাতত সব বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার সব কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। তার দাবি উপজেলার ১৭৫টির মধ্যে ১৫০টির বেশি বিদ্যালয়ে পরীক্ষাবর্জন করা হয়েছে।