হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ইটভাটার চিমনি -সংবাদ
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযানে ৮টি ইটভাটার মালিককে ১৬ লাখ টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ৭টি ইটভাটার চিমনিসহ কিলন ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার চারিয়া ও কাটিরহাট এলাকায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) লঙ্ঘনের অভিযোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ান-উল-ইসলাম।
অভিযানে কাটিরহাটের ধলই এলাকায় মেসার্স কর্ণফুলী ব্রিকস (কে.আর.এম)-কে ১ লাখ টাকা এবং চারিয়ার মেসার্স চারিয়া মেঘনা ব্রিকস (এনবিএম), মেসার্স কাদেরিয়া ব্রিকস (কেবিসি), মেসার্স কাজী ব্রিকস ম্যানুঃ (কেবিএম), মেসার্স শাহেন শাহ ব্রিকস ফিল্ড (এস.এন.এফ), মেসার্স চট্টলা ব্রিকস (সিবিএম) ও মেসার্স সেঞ্চুরি ব্রিকস (সিবিএম-১)-কে ২ লাখ টাকা করে জরিমানার পাশাপাশি উল্লেখিত ৭টি ভাটার কিলন ও চিমনি ভেঙে ফেলা হয়।
এ ছাড়া একই এলাকার মেসার্স হিমালয় ব্রিকস-এর মালিক মো. রাশেদুল ইসলামকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মোজাহিদুর রহমান, রিসার্চ অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন, সিনিয়র কেমিস্ট জান্নাতুল ফেরদৌসসহ র?্যাব-৭, চট্টগ্রাম আনসার এবং হাটহাজারী থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক সহযোগিতা করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের হাটহাজারী স্টেশনের সদস্যরা।
পরিবেশ অধিদপ্তর প্রেরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনস্বার্থে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ইটভাটা মালিক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ব্যাংক ঋণ আর ধারদেনা করে এবার ভাটা চালু করেছি। কিন্তু কোনো সময় না দিয়ে মুহূর্তে সব ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে আমাদের পাশাপাশি হাজার হাজার শ্রমিক এক মুহূর্তে বেকার হয়ে গেল। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বনের ভেতর ও লোকালয়ে থাকা অনেক ভাটায় কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি করা হলেও অভিযানের টার্গেট হয় নির্দিষ্ট কয়েকটি ভাটা।
তবে অভিযানে এসব অভিযোগ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ইটভাটার চিমনি -সংবাদ
বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযানে ৮টি ইটভাটার মালিককে ১৬ লাখ টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ৭টি ইটভাটার চিমনিসহ কিলন ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার চারিয়া ও কাটিরহাট এলাকায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) লঙ্ঘনের অভিযোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ান-উল-ইসলাম।
অভিযানে কাটিরহাটের ধলই এলাকায় মেসার্স কর্ণফুলী ব্রিকস (কে.আর.এম)-কে ১ লাখ টাকা এবং চারিয়ার মেসার্স চারিয়া মেঘনা ব্রিকস (এনবিএম), মেসার্স কাদেরিয়া ব্রিকস (কেবিসি), মেসার্স কাজী ব্রিকস ম্যানুঃ (কেবিএম), মেসার্স শাহেন শাহ ব্রিকস ফিল্ড (এস.এন.এফ), মেসার্স চট্টলা ব্রিকস (সিবিএম) ও মেসার্স সেঞ্চুরি ব্রিকস (সিবিএম-১)-কে ২ লাখ টাকা করে জরিমানার পাশাপাশি উল্লেখিত ৭টি ভাটার কিলন ও চিমনি ভেঙে ফেলা হয়।
এ ছাড়া একই এলাকার মেসার্স হিমালয় ব্রিকস-এর মালিক মো. রাশেদুল ইসলামকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মোজাহিদুর রহমান, রিসার্চ অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন, সিনিয়র কেমিস্ট জান্নাতুল ফেরদৌসসহ র?্যাব-৭, চট্টগ্রাম আনসার এবং হাটহাজারী থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক সহযোগিতা করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের হাটহাজারী স্টেশনের সদস্যরা।
পরিবেশ অধিদপ্তর প্রেরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনস্বার্থে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ইটভাটা মালিক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ব্যাংক ঋণ আর ধারদেনা করে এবার ভাটা চালু করেছি। কিন্তু কোনো সময় না দিয়ে মুহূর্তে সব ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে আমাদের পাশাপাশি হাজার হাজার শ্রমিক এক মুহূর্তে বেকার হয়ে গেল। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বনের ভেতর ও লোকালয়ে থাকা অনেক ভাটায় কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি করা হলেও অভিযানের টার্গেট হয় নির্দিষ্ট কয়েকটি ভাটা।
তবে অভিযানে এসব অভিযোগ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।