alt

ছয় মাসে নতুন দরিদ্র আরও ৭৯ লাখ

শহরে ৫৪ শতাংশ, গ্রামে ৪৫ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১

করোনাকালীন গত ছয় মাসে আরও ৭৯ লাখ মানুষ দরিদ্রের খাতায় নাম লিখিয়েছে। এই নতুন দরিদ্র্রের সংখ্যা যোগ করে মোট দরিদ্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৪ লাখ। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত নতুন দরিদ্রের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৪৫ লাখ। এ বছর এপ্রিল মাস থেকে দেয়া করোনা বিধিনিষেধের পর দরিদ্রের এই সংখ্যা বেড়েছে।

ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) যৌথ জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ‘জীবিকা, খাপ খাইয়ে নেয়া ও উত্তরণে কোভিড-১৯-এর প্রভাব’ শীর্ষক জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

বিআইজিডি ও পিপিআরসি করোনাকালে মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর প্রভাব নিয়ে চার দফায় জরিপ করে। প্রথম দফায় জরিপ হয় গত বছরের এপ্রিল মাসে।

এরপর সেই বছরের জুন মাসে দ্বিতীয় দফায়, তৃতীয় দফায় চলতি বছরের জুন মাসে এবং সর্বশেষ জরিপ হয় ২১ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্ববর পর্যন্ত।

এ জরিপে অংশ নেয় ৪ হাজার ৮৭২টি পরিবার। এর মধ্যে শহরের ৫৪ শতাংশ, গ্রামের ৪৫ শতাংশ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় এক শতাংশ পরিবার ছিল।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাকালে দারিদ্র্যের কারণে দেশের ২৮ শতাংশ মানুষ শহর থেকে গ্রামে চলে যায়।

সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে ১৮ শতাংশ মানুষ শহরে আবার ফিরে এসেছে। অর্থাৎ ১০ শতাংশ মানুষ এখনও শহরে ফিরতে পারেনি।

দেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্তের খবর জানায় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় ১৮ মার্চ। ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে শুরু হয় সাধারণ ছুটি।

অবশ্য এর আগেই বিপুলসংখ্যক মানুষ রাজধানী ছেড়ে যায়। সাধারণ ছুটির আদলে করোনা বিধিনিষেধ চলেছে গত বছরের মে মাস পর্যন্ত। চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করলে নানা নামে লকডাউন শুরু হয় এপ্রিল মাস থেকে। এটি চলে আগস্ট মাস পর্যন্ত। এ প্রসঙ্গে পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এ বছর করোনার কারণে দ্বিতীয় দফার করোনা বিধিনিষেধ দারিদ্র্য পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলেছে। নতুন দরিদ্র মানুষদের মধ্যে এই শহর থেকে গ্রামে চলে যাওয়া মানুষই বেশি। এসব মানুষের জন্য প্রচলিত ধারার দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি নেয়া যাবে না। নতুন দরিদ্র এসব মানুষ হয়তো কারও কাছে সহায়তাও চাইতে পারবে না। নতুন কাজের সন্ধান চাইবে। নীতিনির্ধারণী স্তরে এসব মানুষের বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে।’

বৃহস্পতিবার জরিপ প্রতিবেদনটির বড় অংশ তুলে ধরেন বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন। তিনি বলেন, ‘আয়, বেকারত্ব, খাদ্য গ্রহণ ইত্যাদি নানা খাতে গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, শহর অঞ্চলের মানুষের আয় কোভিড-পূর্ব সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে। গ্রামাঞ্চলে এ আয় কমেছে ১২ শতাংশ। কোভিডের আগে শহরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ৭ শতাংশ, এটি সর্বশেষ জরিপে বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ শতাংশে। গ্রামে বেকারত্ব কোভিডকালে বেড়ে গেছে ৪ শতাংশ।’

জরিপে দেখা যায়, মানুষের খাদ্যের ক্ষেত্রে ব্যয় কোভিডকালের তুলনায় কমে গেছে। শহরে দরিদ্র মানুষের মাথাপিছু ব্যয় ছিল ৬৫ টাকা। এখন তা ৫৪ টাকা। গ্রামে ব্যয় ছিল ৬০ টাকা, এখন ৫৩ টাকা। শুধু খাদ্য নয়, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ব্যয়, শিক্ষা ও যোগাযোগ খাতে দরিদ্র মানুষের ব্যয়ও বেড়েছে। এ বছরের মার্চ মাসে শহরের বস্তিতে এ ব্যয় ছিল ৯৩৬ টাকা। গ্রামে এ সংক্রান্ত ব্যয় ৬৪৭ টাকা থেকে বেড়ে হয় ৭৭৭ টাকা।

বাড়তি এসব ব্যয় মেটাতে শহরের দরিদ্র এবং গ্রামের মানুষদের ধার করতে হয়েছে। গ্রাম ও শহর দুই জায়গার দরিদ্র মানুষ সবচেয়ে বেশি ধার করেছে দোকানিদের কাছ থেকে। গ্রামে এই হার ৬২ শতাংশ, শহরে ৬০ শতাংশ। দৈনন্দিন চলার জন্যই সবচেয়ে বেশি ঋণ নেয়া হয়েছে।

জরিপে দেখা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে দারিদ্র্য পরিস্থিতিও খুব নাজুক। সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী এই এলাকায় ৩৬ শতাংশ মানুষ নতুন করে বেকার হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরের তুলনায় এটি অনেক বেশি।

জরিপে গ্রাম-শহর-পার্বত্য এলাকার দরিদ্র মানুষের নানা বিষয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে আছে ঋণ ফেরত দেয়া, চাকরির অনিশ্চয়তা, খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, চিকিৎসাসেবা, শিক্ষার খরচ ইত্যাদি।

ছবি

দুর্গাপুর সোমেশ্বরী নদীর ঐতিহ্যবাহী ‘মহাশোল মাছ’ বিলুপ্তির পথে

‘চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে’

ছবি

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিগারেট-বিউটি ক্রিম জব্দ

ঝিকরগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী নিহত, স্ত্রী আহত

ছবি

হবিগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর পুড়ে ছাই

ছবি

মোহনগঞ্জে প্রকৃতিতে শোভা ছড়াচ্ছে কচুরিপানা ফুল

ছবি

পদ্মার চরে বিশেষ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ২০ জন গ্রেপ্তার

আইডিইবি’র নবগঠিত গাইবান্ধা জেলা কমিটির শপথ

ছবি

চট্টগ্রামে বন্দরে চার দিনের সফরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

ছবি

হবিগঞ্জে মসজিদে হত্যার ঘটনায় যুবক আটক

ছবি

দশমিনায় আমনের সোনালী ঝিলিক খুশির জোয়ারে ভাসছে কৃষক

ছবি

চুয়াডাঙ্গা জুড়ে চলছে খেজুর রস সংগ্রহের প্রস্তুতি

ছবি

ঘোড়াঘাটে দাবিহীন ১৫’শ দলিল পুড়িয়ে বিনষ্ট

ছবি

লাইসেন্স নবায়ন ছাড়া চলছে শতাধিক প্রতিষ্ঠান

রাজশাহীর চারঘাট সীমান্ত থেকে মাদকদ্রব্য জব্দ

ছবি

কেশবপুরে রেকর্ড ৩১ হাজার মেট্রিকটন মাছ উৎপাদন

ছবি

পূর্বধলায় গর্ভপাত ঘটিয়ে নবজাতক হত্যার অভিযোগ

কেশবপুরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু

ছবি

ডেঙ্গু আতঙ্কে বরগুনা, ৮ মাসে আক্রান্ত ছাড়াল ৯ হাজার

ছবি

পদ্মার চরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’: কাকন বাহিনীর ২১ সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

বিরামপুরে নদীতীরে হাঁসের খামারে স্বপ্ন গড়া এক তরুণের পথচলা

ছবি

গলাচিপার জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

ছবি

চকরিয়ায় নলবিলা খাল ভরাটে কপাল পুড়ছে কৃষকদের

বাগেরহাটের ফকিরহাটে বাসচাপায় প্রাণ গেল শিশু শ্রমিকের

ছবি

গজারিয়ায় বাজারে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত নগদ টাকা ও চাল সহায়তা

ছবি

বাগেরহাটের মোংলায় পশুর নদে ছোট বোট উল্টে নিখোঁজ নারী পাইলট

ছবি

সিলেটে ঘরে ঢুকে গৃহকর্তাকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয় সৈয়দপুরে মাদক বিরোধী সভা

আড়াইহাজারে ২ ডাকাত আটক

চাটখিলে গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

চাটখিলে সড়ক দুর্ঘটনায় মসজিদের খতিব নিহত

ছবি

সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগ অভাবে সেচ পাম্প বন্ধ-কৃষকরা হতাশ

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় ৪০০ বস্তা সার জব্দ, ব্যবসায়ীর জেল ও জরিমানা

ছবি

নয়া কৌশলে জমজমাট অবৈধ বালুমহাল

ছবি

কলমাকান্দায় হাসপাতালের ৬৭ শতক নিজস্ব ভূমির সুরক্ষা নেই, ৫৪ বছর ধরে পরিত্যক্ত

ছবি

সুন্দরগঞ্জের জলাশয়গুলোতে কচুরিপানা ফুলের অপরূপ দৃশ্য

tab

ছয় মাসে নতুন দরিদ্র আরও ৭৯ লাখ

শহরে ৫৪ শতাংশ, গ্রামে ৪৫ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১

করোনাকালীন গত ছয় মাসে আরও ৭৯ লাখ মানুষ দরিদ্রের খাতায় নাম লিখিয়েছে। এই নতুন দরিদ্র্রের সংখ্যা যোগ করে মোট দরিদ্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৪ লাখ। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত নতুন দরিদ্রের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৪৫ লাখ। এ বছর এপ্রিল মাস থেকে দেয়া করোনা বিধিনিষেধের পর দরিদ্রের এই সংখ্যা বেড়েছে।

ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) যৌথ জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ‘জীবিকা, খাপ খাইয়ে নেয়া ও উত্তরণে কোভিড-১৯-এর প্রভাব’ শীর্ষক জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

বিআইজিডি ও পিপিআরসি করোনাকালে মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর প্রভাব নিয়ে চার দফায় জরিপ করে। প্রথম দফায় জরিপ হয় গত বছরের এপ্রিল মাসে।

এরপর সেই বছরের জুন মাসে দ্বিতীয় দফায়, তৃতীয় দফায় চলতি বছরের জুন মাসে এবং সর্বশেষ জরিপ হয় ২১ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্ববর পর্যন্ত।

এ জরিপে অংশ নেয় ৪ হাজার ৮৭২টি পরিবার। এর মধ্যে শহরের ৫৪ শতাংশ, গ্রামের ৪৫ শতাংশ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় এক শতাংশ পরিবার ছিল।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাকালে দারিদ্র্যের কারণে দেশের ২৮ শতাংশ মানুষ শহর থেকে গ্রামে চলে যায়।

সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে ১৮ শতাংশ মানুষ শহরে আবার ফিরে এসেছে। অর্থাৎ ১০ শতাংশ মানুষ এখনও শহরে ফিরতে পারেনি।

দেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্তের খবর জানায় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় ১৮ মার্চ। ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে শুরু হয় সাধারণ ছুটি।

অবশ্য এর আগেই বিপুলসংখ্যক মানুষ রাজধানী ছেড়ে যায়। সাধারণ ছুটির আদলে করোনা বিধিনিষেধ চলেছে গত বছরের মে মাস পর্যন্ত। চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করলে নানা নামে লকডাউন শুরু হয় এপ্রিল মাস থেকে। এটি চলে আগস্ট মাস পর্যন্ত। এ প্রসঙ্গে পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এ বছর করোনার কারণে দ্বিতীয় দফার করোনা বিধিনিষেধ দারিদ্র্য পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলেছে। নতুন দরিদ্র মানুষদের মধ্যে এই শহর থেকে গ্রামে চলে যাওয়া মানুষই বেশি। এসব মানুষের জন্য প্রচলিত ধারার দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি নেয়া যাবে না। নতুন দরিদ্র এসব মানুষ হয়তো কারও কাছে সহায়তাও চাইতে পারবে না। নতুন কাজের সন্ধান চাইবে। নীতিনির্ধারণী স্তরে এসব মানুষের বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে।’

বৃহস্পতিবার জরিপ প্রতিবেদনটির বড় অংশ তুলে ধরেন বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন। তিনি বলেন, ‘আয়, বেকারত্ব, খাদ্য গ্রহণ ইত্যাদি নানা খাতে গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, শহর অঞ্চলের মানুষের আয় কোভিড-পূর্ব সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে। গ্রামাঞ্চলে এ আয় কমেছে ১২ শতাংশ। কোভিডের আগে শহরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ৭ শতাংশ, এটি সর্বশেষ জরিপে বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ শতাংশে। গ্রামে বেকারত্ব কোভিডকালে বেড়ে গেছে ৪ শতাংশ।’

জরিপে দেখা যায়, মানুষের খাদ্যের ক্ষেত্রে ব্যয় কোভিডকালের তুলনায় কমে গেছে। শহরে দরিদ্র মানুষের মাথাপিছু ব্যয় ছিল ৬৫ টাকা। এখন তা ৫৪ টাকা। গ্রামে ব্যয় ছিল ৬০ টাকা, এখন ৫৩ টাকা। শুধু খাদ্য নয়, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ব্যয়, শিক্ষা ও যোগাযোগ খাতে দরিদ্র মানুষের ব্যয়ও বেড়েছে। এ বছরের মার্চ মাসে শহরের বস্তিতে এ ব্যয় ছিল ৯৩৬ টাকা। গ্রামে এ সংক্রান্ত ব্যয় ৬৪৭ টাকা থেকে বেড়ে হয় ৭৭৭ টাকা।

বাড়তি এসব ব্যয় মেটাতে শহরের দরিদ্র এবং গ্রামের মানুষদের ধার করতে হয়েছে। গ্রাম ও শহর দুই জায়গার দরিদ্র মানুষ সবচেয়ে বেশি ধার করেছে দোকানিদের কাছ থেকে। গ্রামে এই হার ৬২ শতাংশ, শহরে ৬০ শতাংশ। দৈনন্দিন চলার জন্যই সবচেয়ে বেশি ঋণ নেয়া হয়েছে।

জরিপে দেখা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে দারিদ্র্য পরিস্থিতিও খুব নাজুক। সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী এই এলাকায় ৩৬ শতাংশ মানুষ নতুন করে বেকার হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরের তুলনায় এটি অনেক বেশি।

জরিপে গ্রাম-শহর-পার্বত্য এলাকার দরিদ্র মানুষের নানা বিষয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে আছে ঋণ ফেরত দেয়া, চাকরির অনিশ্চয়তা, খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, চিকিৎসাসেবা, শিক্ষার খরচ ইত্যাদি।

back to top