শতবর্ষ পর জেগে উঠেছে নলুয়া খাল। বিস্তীর্ণ খালে এখন টলমল স্বচ্ছ পানি। পানি ধারণ ক্ষমতার জন্য প্রস্তুত নলুয়া। ফুলপুর উপজেলার ঐতিহাসিক খাল। গালাগাঁওয়ের দুঃখ গলা সুখ। খালপাড়ের গ্রামীণ জনপদের মানুষের মুখে হাসি। চোখে স্বপ্ন। বৃহত্তর ফুলপুরের নতুন উপজেলা তারাকান্দা সদর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরের নিভৃত পল্লী। চারদিকে ফসল মাঠ, সবুজ গ্রাম। সেই গ্রামীন জনপদের পাশাপাশি দু’ ইউনিয়ন। গালাগাঁও ও কামারগাঁও। দু’ ইউনিয়নের মাঝে একটি অভিন্ন খাল। দৈর্ঘ্য আড়াই কিলোমিটার । ১০-১৫ ফুট প্রস্থ খালটি ইদানিং গভীরতর হয়েছে। সম্পন্ন হয়েছে খালখনন। ফলশ্রুতিতে যুগ যুগ ধরে মৃত নলুয়া খাল এখন পুনরুজ্জীবিত।
গালাগাঁওয়ের গড়পাড়া থেকে কামারগাঁওয়ের রায়জান পর্যন্ত প্রলম্বিত খালটি যুগ যুগ ধরে ছিল কৃষকের জন্য অভিশাপ। খালটির পাশে রয়েছে ২ ইউনিয়নের দশ গ্রাম। গালাগাঁও, গাবরগাতি, গড়পাড়া, চরপাড়া, বন্ধকোনা, কালনিকান্দা এবং রায়জান, বাহেরাকান্দা। প্রায় ৩০ হাজার জনস্যংা অধ্যুষিত নলুয়া খালপাড়ের গ্রামগুলোর সমাজ ব্যবস্থা কৃষি সংস্কৃতির আবহে পরিপূর্ণ। হাজার হাজার কৃষক পরিবার প্রায় ৫ হাজার একর জমিতে ইরিবোরো চাষাবাদের উপর নির্ভরশীল। এলাকাটি নি¤œাঞ্চলীয় প্লাবনভূমি। দূর অতীতে এখানের জমিতে আমন আবাদ হতো। শতাধিক বছর আগে এলাকাটিতে দুটি ফসল হতো। জনশ্রুতি রয়েছে ১৯০৫ সনে কৃষি আবাদের স্বার্থে গ্রামবাসী এখানে খাল খনন করেন। সে সময়ে খালের পরিসর ছিল বিস্তৃত। স্থানীয় মানচিত্রে খালটির অস্তিত্ব দেখা যায়। কিন্তু কালক্রমে খালটির গবীরতা হ্রাস পায়। একসময় এটি হয়ে যায় জনশূন্য বিরানভূমি। মুছে যায় খালের অস্তিত্ব। বছরের পর বছর ধরে স্থানীয় কৃষক জলাবদ্ধতা ও নিষ্কাশনের অভাবে আমন চাষ করতে পারেননি। নলুয়া খাল হয়ে যায় তারাকান্দা উত্তরপূর্ব দল গ্রামীণ জনপদের দুঃখ।
সাম্প্রতিক বছর গুলোতে খালটি খননের উপর এলাকাবাসী গুরুত্বারোপ করছিলেন। গালাগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান তালুকদার নলুয়া খাল খননে কর্মসৃজন প্রকল্প গ্রহন করেন। হতদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় নলুয়া খাল খনন হয় সম্প্রতি। শতশত শ্রমিক এই খাল খননে অংশগ্রহণ করেন।
গালাগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান তালুকদার জানান, খালটির স্থায়িত্বের জন্য দু’পাড়ে বৃক্ষরোপন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সরেজমিনে খাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দু’পাড়ে ধানক্ষেতের মাঝে জেগে উঠেছে খাল। বর্ষার পানি এখানে সারাবচর জমে থাকবে। সেই পানিতে গ্রাম মানুষের ঘর গৃহস্থালির কাজ চলবে। সেই সাথে আমন জমি থেকে পানি নিষ্কাশন, সেচ ব্যবস্থা চালু হবে। যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত ৫ হাজার একর জমির আমন ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন এখন শতশত কৃষকের চোখে মুখে। ফসল হবে রবি শস্যের। খালে থাকবে মাছ। পূণ খননকৃত নলুয়া খাল গ্রামবাসীর চোখে এনে দিয়েছে সুন্দর আগামীর সোনালী স্বপ্ন।
বুধবার, ০৩ মে ২০২৩
শতবর্ষ পর জেগে উঠেছে নলুয়া খাল। বিস্তীর্ণ খালে এখন টলমল স্বচ্ছ পানি। পানি ধারণ ক্ষমতার জন্য প্রস্তুত নলুয়া। ফুলপুর উপজেলার ঐতিহাসিক খাল। গালাগাঁওয়ের দুঃখ গলা সুখ। খালপাড়ের গ্রামীণ জনপদের মানুষের মুখে হাসি। চোখে স্বপ্ন। বৃহত্তর ফুলপুরের নতুন উপজেলা তারাকান্দা সদর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরের নিভৃত পল্লী। চারদিকে ফসল মাঠ, সবুজ গ্রাম। সেই গ্রামীন জনপদের পাশাপাশি দু’ ইউনিয়ন। গালাগাঁও ও কামারগাঁও। দু’ ইউনিয়নের মাঝে একটি অভিন্ন খাল। দৈর্ঘ্য আড়াই কিলোমিটার । ১০-১৫ ফুট প্রস্থ খালটি ইদানিং গভীরতর হয়েছে। সম্পন্ন হয়েছে খালখনন। ফলশ্রুতিতে যুগ যুগ ধরে মৃত নলুয়া খাল এখন পুনরুজ্জীবিত।
গালাগাঁওয়ের গড়পাড়া থেকে কামারগাঁওয়ের রায়জান পর্যন্ত প্রলম্বিত খালটি যুগ যুগ ধরে ছিল কৃষকের জন্য অভিশাপ। খালটির পাশে রয়েছে ২ ইউনিয়নের দশ গ্রাম। গালাগাঁও, গাবরগাতি, গড়পাড়া, চরপাড়া, বন্ধকোনা, কালনিকান্দা এবং রায়জান, বাহেরাকান্দা। প্রায় ৩০ হাজার জনস্যংা অধ্যুষিত নলুয়া খালপাড়ের গ্রামগুলোর সমাজ ব্যবস্থা কৃষি সংস্কৃতির আবহে পরিপূর্ণ। হাজার হাজার কৃষক পরিবার প্রায় ৫ হাজার একর জমিতে ইরিবোরো চাষাবাদের উপর নির্ভরশীল। এলাকাটি নি¤œাঞ্চলীয় প্লাবনভূমি। দূর অতীতে এখানের জমিতে আমন আবাদ হতো। শতাধিক বছর আগে এলাকাটিতে দুটি ফসল হতো। জনশ্রুতি রয়েছে ১৯০৫ সনে কৃষি আবাদের স্বার্থে গ্রামবাসী এখানে খাল খনন করেন। সে সময়ে খালের পরিসর ছিল বিস্তৃত। স্থানীয় মানচিত্রে খালটির অস্তিত্ব দেখা যায়। কিন্তু কালক্রমে খালটির গবীরতা হ্রাস পায়। একসময় এটি হয়ে যায় জনশূন্য বিরানভূমি। মুছে যায় খালের অস্তিত্ব। বছরের পর বছর ধরে স্থানীয় কৃষক জলাবদ্ধতা ও নিষ্কাশনের অভাবে আমন চাষ করতে পারেননি। নলুয়া খাল হয়ে যায় তারাকান্দা উত্তরপূর্ব দল গ্রামীণ জনপদের দুঃখ।
সাম্প্রতিক বছর গুলোতে খালটি খননের উপর এলাকাবাসী গুরুত্বারোপ করছিলেন। গালাগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান তালুকদার নলুয়া খাল খননে কর্মসৃজন প্রকল্প গ্রহন করেন। হতদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় নলুয়া খাল খনন হয় সম্প্রতি। শতশত শ্রমিক এই খাল খননে অংশগ্রহণ করেন।
গালাগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান তালুকদার জানান, খালটির স্থায়িত্বের জন্য দু’পাড়ে বৃক্ষরোপন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সরেজমিনে খাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দু’পাড়ে ধানক্ষেতের মাঝে জেগে উঠেছে খাল। বর্ষার পানি এখানে সারাবচর জমে থাকবে। সেই পানিতে গ্রাম মানুষের ঘর গৃহস্থালির কাজ চলবে। সেই সাথে আমন জমি থেকে পানি নিষ্কাশন, সেচ ব্যবস্থা চালু হবে। যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত ৫ হাজার একর জমির আমন ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন এখন শতশত কৃষকের চোখে মুখে। ফসল হবে রবি শস্যের। খালে থাকবে মাছ। পূণ খননকৃত নলুয়া খাল গ্রামবাসীর চোখে এনে দিয়েছে সুন্দর আগামীর সোনালী স্বপ্ন।