alt

চাল তেল-চিনি ও খেজুরের শুল্ক কমানো হচ্ছে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর-এই চার পণ্যের শুল্ক কমানো সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেছেন, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসবেন, আমরা আশা করছি, তার আগেই চার পণ্যের শুল্ক কমানো সংক্রান্ত অর্ডার (প্রজ্ঞাপন) হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম নিয়ে আমরা বৈঠকে আলোচনা করেছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি চালের বস্তায় মূল্যতালিকা এবং উৎপাদনের তারিখ ও জাত উল্লেখ থাকতে হবে। এজন্য কোনো কোনো এলাকায় কোন কোন জাতের ধান উৎপাদন হয় তার তালিকা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে চাওয়া হয়েছে।

ভোক্তারা কি ২০ ফেব্রুয়ারি পর থেকে স্বস্তি পাবেন? এবং প্রধানমন্ত্রী যে চারটি পণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন সেটার প্রভাব কবে থেকে পড়বে? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি স্বস্তি শুরু হয়ে গেছে। কারণ আজ বা কালকের মধ্যে প্রজ্ঞাপন পেয়ে যাবো। আমি বলতে পারি আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে আসবেন, তার আগেই আমরা ট্যারিফটা পুনর্নির্ধারণ পাবো বলে আশা করছি। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অবহিত আছেন। আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ট্যারিফ কমিশন আমদানি ও উৎপাদনকারীদের সঙ্গে বসে আমরা যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেবো যেটার দ্রুত ইফেক্ট আপনারা পাবেন।

তিনি বলেন, আমাদের ট্যারিফে চারটি পণ্য হলো- ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চাল। খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন চাল যেহেতু আমদানি করতে হয় না, তাই উচ্চ ট্যারিফ না দিয়ে রেখে, যদি কেউ মনে করে কম দামে চাল এনে বাজারে বিপণন করবে। সে ক্ষেত্রে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। বিষয়টা হলো মুক্তবাজার করে ভোক্তাদের নিরাপত্তা দেয়া। যাতে বাজারে কখনো সরবরাহে ঘাটতি না থাকে।

টিটু বলেন, আমরা একটি সিদ্ধান্তে আসছি যে, বাজার ব্যবস্থাপনাটাকে ঢেলে সাজাতে চাচ্ছি। ভোক্তা থেকে উৎপাদক পর্যায়ে কোনো স্থানে যেন কারসাজি না হয়। ভোক্তা অধিকার যখন অভিযানে যান তখন তাদের কাছে কোনো তথ্য থাকে না, কোন চাল কবে উৎপাদন হয়েছে, মেয়াদ কতদিন, দাম কত। এ জন্য আজ যে বড় সিদ্ধান্ত হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয় যদি চালের তিনটি মৌসুম বোরো, আউশ ও আমন; কোন এলাকায় কোন ধান, জাত, সিজনে হয় এই তিনটা উল্লেখ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে দেবে।

তিনি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় মিলারদের নির্দেশনা দেবে যে ধান ভাঙাবে সে ধানের উৎপাদনের বছর ও মিলিংয়ের তারিখ, উৎপাদন মূল্য, পাইকারি মূল্য, খুচরা মূল্য এগুলো বস্তায় উল্লেখ থাকবে। সেই ব্যবস্থা আমরা করবো। তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন আমাদের একটা আইন আছে কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ এর আন্ডারে কৃষি বিপণনের বিধিমালা ২০২১ অনুযায়ী আমাদের সব কৃষি উৎপাদিত পণ্যের এলাকাভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে কৃষিবিভাগ থেকে আমাদের দেয়া হবে। তবে একেক জায়গায় উৎপাদন খরচ ও পরিবহন খরচ একেক রকম হবে। এই তথ্যটা দিলে তখন কারওয়ান বাজারে দাম কত, মানিকগঞ্জে বা চট্টগ্রামে দাম কত সেটা জানতে পারবো। সে জন্য আমরা প্রাইজ ডিসকাভারির ব্যবস্থা করবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজার কিন্তু তার নিজের মূল্য নিজেই নির্ধারণ করবে, চাহিদার ও সরবরাহের ভিত্তিতে। আমরা যেটা করবো সেটা হলো যৌক্তিক মূল্য আমরা দিয়ে দেবো। এখন কে ওই দামের থেকে বেশি বা কমে বিক্রি করছে সেটা মনিটরিং করবো। আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য একটাই- এই বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের যেন উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে পণ্যের সরবরাহটা ঠিক রাখা।

তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা মানে বাজার কন্ট্রোল করা না, বাজার ব্যবস্থাপনা হলো যৌক্তিক মূল্যে বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখা। আর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো খাদ্যের উৎপাদন, সংগ্রহ এবং মজুদ ব্যবস্থাটাকে ঠিক রাখা। তারা সেই অনুযায়ী নির্দেশনা দেবে সেই অনুযায়ী আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করবো।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর একটি বিষয়ে বলতে চাই যাতে ভোক্তা পর্যায়ে স্বস্তি আসে। কৃষি মন্ত্রণালয় নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা যে মাঝে মাঝে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আমদানি-রপ্তানি করতাম, এবার বাজার মনিটরিং করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে দেবো। অফসিজন থেকে পিকসিজনে কী পর্যায়ে আমদানি-রপ্তানি করা যাবে। কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবো। এতে ভোক্তা থেকে উৎপাদক পর্যায়ে সবাই স্বস্তিতে থাকবে।

চালের বস্তায় দাম বাড়িয়ে লেখা হলে কী করা হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখানে দাম বাড়িয়ে লেখার কোনো সুযোগ নাই। এখানে ভ্যারাইটিভিত্তিক দাম নির্ধারণ করে দেবে কৃষি আইন অনুযায়ী। এটা সর্বোচ্চ মূল্য বাস্তবায়ন করবে মিলার পর্যায়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় আর ভোক্তা পর্যায়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তিনটি মন্ত্রণালয় যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করবে সমন্বয় করে। তিনি বলেন, আমরা প্রত্যাশা করছি বাজারে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবো। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় এটাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে। এখানে আমাদের ওপর একটু আস্থা রাখেন, আমরা পজিটিভ কিছু দিতে পারবো। আমরা সবাই যদি একটু দায়িত্বশীল হই তাহলে ভোক্তারা উপকৃত হবে।

ছবি

সবজির দাম সামান্য কমেছে, অন্য নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে

ছবি

দেশে কার্ডভিত্তিক লেনদেন দ্রুত বাড়ছে

ছবি

২০ শ্রমিকের সম্মতিতেও করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন

ছবি

এক বছরে বাংলাদেশের ৩৬ কারখানা পেল আন্তর্জাতিক ‘সবুজ’ সনদ

ছবি

প্রবাসী করদাতাদের জন্য ই-রিটার্ন দাখিল সহজ হল

ছবি

ইসলামি ব্যাংকগুলোর আমানত বেড়েছে ৪৮৫০ কোটি টাকা

ছবি

চালু হলো প্যাসিফিকের সাত কারখানা

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে টেকনো’র নতুন স্মার্টফোন স্পার্ক ৪০ ফাইভজি

ছবি

দেশে ‘চামচা পুঁজিবাদী’ অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: সিলেটে ড. দেবপ্রিয়

ছবি

দেশের বাজারে শাওমি ব্ল্যাকশার্ক ব্র্যান্ডের প্যাড ৭ নিয়ে এলো টেকটাইম

ছবি

জুলাই-সেপ্টেম্বরে শুল্ক-কর আদায়ে ঘাটতি ৯ হাজার কোটি টাকা

ছবি

তিন দেশ থেকে এক লাখ মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার

ছবি

টানা রেকর্ডের পর কমলো স্বর্ণ-রুপার দাম

ছবি

আল-আরাফাহ্ ব্যাংক ও সমাধান সার্ভিসেসের চুক্তি

ছবি

শিশুখাদ্য আমদানিতে শতভাগ মার্জিনের শর্ত শিথিল

ছবি

পুঁজিবাজারে গুজব ছড়াতে দেয়া যাবে না: আনিসুজ্জামান চৌধুরী

ছবি

রিজার্ভ ছাড়ালো ৩২ বিলিয়ন ডলার

ছবি

আইসিসিবিতে বাংলাদেশ-চীন গ্রিন টেক্সটাইল এক্সপো শুরু

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক করতে চায় প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স

ছবি

বেড়েছে ডলারের দাম

ছবি

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি. এর ৪১৮তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

চার মাস পর ফের ৩০০ কোটি টাকার ঘরে শেয়ারবাজারের লেনদেন

ছবি

পুঁজিবাজারে শিবলী-রিয়াজ আজীবন নিষিদ্ধ

ছবি

দরপত্র ছাড়া ২৮ লাখ টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনবে সরকার

ছবি

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ ও জেনারেল হাসপাতালে ব্যবহার হচ্ছে ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার

ছবি

বিনিয়োগ ঝুঁকি ও সহনশীলতা সূচকে ১৯৩ তম অবস্থানে বাংলাদেশ: হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স

ছবি

প্রথম প্রান্তিকে এডিপি বাস্তবায়ন ৫ শতাংশ

ছবি

এলআর গ্লোবালের রিয়াজ ইসলাম শেয়ারবাজারে আজীবন নিষিদ্ধ

ছবি

আমদানি পণ্য ছাড় স্বাভাবিক হয়নি, ব্যবসায়ীরা কষছেন ক্ষতির হিসাব

ছবি

করাচি থেকে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে: খাদ্য উপদেষ্টা

ছবি

ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদন, চাল আমদানির অনুমতি সীমিত রাখার সুপারিশ

ছবি

বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার : বিডা চেয়ারম্যান

ছবি

দেশে একমাত্র মুনাফাকারী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক: বিটিএমএ সভাপতি

ছবি

নোভার্টিসের ওষুধ উৎপাদন শুরু করল নেভিয়ান

ছবি

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গঠন হচ্ছে শরিয়াহ উপদেষ্টা পর্ষদ

ছবি

কারচুপি নয়, পরিসংখ্যানে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

tab

চাল তেল-চিনি ও খেজুরের শুল্ক কমানো হচ্ছে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর-এই চার পণ্যের শুল্ক কমানো সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেছেন, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসবেন, আমরা আশা করছি, তার আগেই চার পণ্যের শুল্ক কমানো সংক্রান্ত অর্ডার (প্রজ্ঞাপন) হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম নিয়ে আমরা বৈঠকে আলোচনা করেছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি চালের বস্তায় মূল্যতালিকা এবং উৎপাদনের তারিখ ও জাত উল্লেখ থাকতে হবে। এজন্য কোনো কোনো এলাকায় কোন কোন জাতের ধান উৎপাদন হয় তার তালিকা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে চাওয়া হয়েছে।

ভোক্তারা কি ২০ ফেব্রুয়ারি পর থেকে স্বস্তি পাবেন? এবং প্রধানমন্ত্রী যে চারটি পণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন সেটার প্রভাব কবে থেকে পড়বে? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি স্বস্তি শুরু হয়ে গেছে। কারণ আজ বা কালকের মধ্যে প্রজ্ঞাপন পেয়ে যাবো। আমি বলতে পারি আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে আসবেন, তার আগেই আমরা ট্যারিফটা পুনর্নির্ধারণ পাবো বলে আশা করছি। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অবহিত আছেন। আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ট্যারিফ কমিশন আমদানি ও উৎপাদনকারীদের সঙ্গে বসে আমরা যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেবো যেটার দ্রুত ইফেক্ট আপনারা পাবেন।

তিনি বলেন, আমাদের ট্যারিফে চারটি পণ্য হলো- ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চাল। খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন চাল যেহেতু আমদানি করতে হয় না, তাই উচ্চ ট্যারিফ না দিয়ে রেখে, যদি কেউ মনে করে কম দামে চাল এনে বাজারে বিপণন করবে। সে ক্ষেত্রে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। বিষয়টা হলো মুক্তবাজার করে ভোক্তাদের নিরাপত্তা দেয়া। যাতে বাজারে কখনো সরবরাহে ঘাটতি না থাকে।

টিটু বলেন, আমরা একটি সিদ্ধান্তে আসছি যে, বাজার ব্যবস্থাপনাটাকে ঢেলে সাজাতে চাচ্ছি। ভোক্তা থেকে উৎপাদক পর্যায়ে কোনো স্থানে যেন কারসাজি না হয়। ভোক্তা অধিকার যখন অভিযানে যান তখন তাদের কাছে কোনো তথ্য থাকে না, কোন চাল কবে উৎপাদন হয়েছে, মেয়াদ কতদিন, দাম কত। এ জন্য আজ যে বড় সিদ্ধান্ত হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয় যদি চালের তিনটি মৌসুম বোরো, আউশ ও আমন; কোন এলাকায় কোন ধান, জাত, সিজনে হয় এই তিনটা উল্লেখ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে দেবে।

তিনি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় মিলারদের নির্দেশনা দেবে যে ধান ভাঙাবে সে ধানের উৎপাদনের বছর ও মিলিংয়ের তারিখ, উৎপাদন মূল্য, পাইকারি মূল্য, খুচরা মূল্য এগুলো বস্তায় উল্লেখ থাকবে। সেই ব্যবস্থা আমরা করবো। তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন আমাদের একটা আইন আছে কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ এর আন্ডারে কৃষি বিপণনের বিধিমালা ২০২১ অনুযায়ী আমাদের সব কৃষি উৎপাদিত পণ্যের এলাকাভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে কৃষিবিভাগ থেকে আমাদের দেয়া হবে। তবে একেক জায়গায় উৎপাদন খরচ ও পরিবহন খরচ একেক রকম হবে। এই তথ্যটা দিলে তখন কারওয়ান বাজারে দাম কত, মানিকগঞ্জে বা চট্টগ্রামে দাম কত সেটা জানতে পারবো। সে জন্য আমরা প্রাইজ ডিসকাভারির ব্যবস্থা করবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজার কিন্তু তার নিজের মূল্য নিজেই নির্ধারণ করবে, চাহিদার ও সরবরাহের ভিত্তিতে। আমরা যেটা করবো সেটা হলো যৌক্তিক মূল্য আমরা দিয়ে দেবো। এখন কে ওই দামের থেকে বেশি বা কমে বিক্রি করছে সেটা মনিটরিং করবো। আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য একটাই- এই বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের যেন উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে পণ্যের সরবরাহটা ঠিক রাখা।

তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা মানে বাজার কন্ট্রোল করা না, বাজার ব্যবস্থাপনা হলো যৌক্তিক মূল্যে বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখা। আর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো খাদ্যের উৎপাদন, সংগ্রহ এবং মজুদ ব্যবস্থাটাকে ঠিক রাখা। তারা সেই অনুযায়ী নির্দেশনা দেবে সেই অনুযায়ী আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করবো।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর একটি বিষয়ে বলতে চাই যাতে ভোক্তা পর্যায়ে স্বস্তি আসে। কৃষি মন্ত্রণালয় নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা যে মাঝে মাঝে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আমদানি-রপ্তানি করতাম, এবার বাজার মনিটরিং করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে দেবো। অফসিজন থেকে পিকসিজনে কী পর্যায়ে আমদানি-রপ্তানি করা যাবে। কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবো। এতে ভোক্তা থেকে উৎপাদক পর্যায়ে সবাই স্বস্তিতে থাকবে।

চালের বস্তায় দাম বাড়িয়ে লেখা হলে কী করা হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখানে দাম বাড়িয়ে লেখার কোনো সুযোগ নাই। এখানে ভ্যারাইটিভিত্তিক দাম নির্ধারণ করে দেবে কৃষি আইন অনুযায়ী। এটা সর্বোচ্চ মূল্য বাস্তবায়ন করবে মিলার পর্যায়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় আর ভোক্তা পর্যায়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তিনটি মন্ত্রণালয় যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করবে সমন্বয় করে। তিনি বলেন, আমরা প্রত্যাশা করছি বাজারে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবো। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় এটাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে। এখানে আমাদের ওপর একটু আস্থা রাখেন, আমরা পজিটিভ কিছু দিতে পারবো। আমরা সবাই যদি একটু দায়িত্বশীল হই তাহলে ভোক্তারা উপকৃত হবে।

back to top