দেশে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট ৮ মে বুধবার। এ উপলক্ষে ১৪১টি উপজেলায় বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রচরণার সময় শেষ হয়েছে। স্থানীয় সরকার আইনে বিগত কয়েকটি নির্বাচনে নৌকা-ধানের শীষের লড়াই হলেও এবার তা হচ্ছে না আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলের কারণে। এই প্রেক্ষিতে ভোটের খড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে কেন্দ্রে ভোটার আনার চ্যালেঞ্জ নিয়েই নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।
বিএনপি আগেই এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে দলটির তৃণমূল নেতাদের অনেকে ভোটে দাঁড়ালেও দলীয় প্রতীক বরাদ্দ পাননি। বিএনপির বর্জনে ভোটের খড়ার আশঙ্কায় আওয়ামী লীগও এবার প্রতীক দেয়নি। ক্ষমতাসীনদের ধারণা, নৌকা প্রতীকে প্রার্থী মনোনয়ন দিলে প্রতিদ্বন্দ্বী পাওয়া যাবে না। তাই প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইবে তাদের সেই সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
নিজ দলের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করে ভোটকেন্দ্রে ভোটার টানার কৌশল নিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয়দের নির্বাচনে প্রার্থী না হতেও দলের কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে বাস্তবতা হলো দলের সিদ্ধান্ত সবাই মানেননি। দলীয় সংসদ সদস্যদের নিকটাত্মীয়রা এখনো প্রার্থী রয়েছেন। কিছু জায়গায় এমপি সমর্থিত প্রার্থীর বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহসই দেখায়নি কেউ। যে কারণে এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের ঘটনা ঘটছে।
এদিকে ভোটের মাঠে থাকা প্রার্থীদের বহিষ্কার করেও সবাইকে ভোটের মাঠ থেকে দূরে রাখতে পারেনি বিএনপি। বহিস্কার হওয়া নেতাদের মধ্যে অন্তত ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২০ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন।
তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, বিএনপি থেকে বহিস্কার হওয়া প্রার্থীদের বেশিরভাগই ভোটের মাঠে ‘খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই’। ফলে, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোটের লড়াই মূলত ক্ষমতাসীনদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। তাই এই নির্বাচনেও ভোটারদের আগ্রহে ঘাটতি রয়েছে।
গত ২৩ মার্চ প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তবে পরে দুটি উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়। দেড়শ’ উপজেলায় তিনটি পদের বিপরীতে ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন প্রার্থী।
বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে চেয়ারম্যান পদে ৫৬০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১১ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে যান।
বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৬
প্রথম ধাপের ভোটে ইতোমধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন ২৬ জন। এরমধ্যে, চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন।
ভোট লাগবে না ৪ উপজেলায়
বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচর ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সবাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদেও বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন। এছাড়া বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে চেয়ারম্যান পদে বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন, তবে এই উপজেলার ভোট স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান, রাঙামাটির কাউখালীতে ভাইস চেয়ারম্যান পদেও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় এসেছে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পাবনার বেড়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
চার ধাপে ৪৭৬ উপজেলায় ভোট
দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেয়া হবে।
প্রথম ধাপে বুধবার যে ১৪১ উপজেলায় ভোট হবে তাতে মোট কেন্দ্র রয়েছে ১১ হাজার ৫৫৬টি।
তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে।
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
দেশে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট ৮ মে বুধবার। এ উপলক্ষে ১৪১টি উপজেলায় বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রচরণার সময় শেষ হয়েছে। স্থানীয় সরকার আইনে বিগত কয়েকটি নির্বাচনে নৌকা-ধানের শীষের লড়াই হলেও এবার তা হচ্ছে না আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলের কারণে। এই প্রেক্ষিতে ভোটের খড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে কেন্দ্রে ভোটার আনার চ্যালেঞ্জ নিয়েই নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।
বিএনপি আগেই এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে দলটির তৃণমূল নেতাদের অনেকে ভোটে দাঁড়ালেও দলীয় প্রতীক বরাদ্দ পাননি। বিএনপির বর্জনে ভোটের খড়ার আশঙ্কায় আওয়ামী লীগও এবার প্রতীক দেয়নি। ক্ষমতাসীনদের ধারণা, নৌকা প্রতীকে প্রার্থী মনোনয়ন দিলে প্রতিদ্বন্দ্বী পাওয়া যাবে না। তাই প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইবে তাদের সেই সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
নিজ দলের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করে ভোটকেন্দ্রে ভোটার টানার কৌশল নিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয়দের নির্বাচনে প্রার্থী না হতেও দলের কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে বাস্তবতা হলো দলের সিদ্ধান্ত সবাই মানেননি। দলীয় সংসদ সদস্যদের নিকটাত্মীয়রা এখনো প্রার্থী রয়েছেন। কিছু জায়গায় এমপি সমর্থিত প্রার্থীর বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহসই দেখায়নি কেউ। যে কারণে এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের ঘটনা ঘটছে।
এদিকে ভোটের মাঠে থাকা প্রার্থীদের বহিষ্কার করেও সবাইকে ভোটের মাঠ থেকে দূরে রাখতে পারেনি বিএনপি। বহিস্কার হওয়া নেতাদের মধ্যে অন্তত ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২০ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন।
তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, বিএনপি থেকে বহিস্কার হওয়া প্রার্থীদের বেশিরভাগই ভোটের মাঠে ‘খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই’। ফলে, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোটের লড়াই মূলত ক্ষমতাসীনদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। তাই এই নির্বাচনেও ভোটারদের আগ্রহে ঘাটতি রয়েছে।
গত ২৩ মার্চ প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তবে পরে দুটি উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়। দেড়শ’ উপজেলায় তিনটি পদের বিপরীতে ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন প্রার্থী।
বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে চেয়ারম্যান পদে ৫৬০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১১ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে যান।
বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৬
প্রথম ধাপের ভোটে ইতোমধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন ২৬ জন। এরমধ্যে, চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন।
ভোট লাগবে না ৪ উপজেলায়
বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচর ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সবাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদেও বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন। এছাড়া বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে চেয়ারম্যান পদে বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন, তবে এই উপজেলার ভোট স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান, রাঙামাটির কাউখালীতে ভাইস চেয়ারম্যান পদেও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় এসেছে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পাবনার বেড়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
চার ধাপে ৪৭৬ উপজেলায় ভোট
দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেয়া হবে।
প্রথম ধাপে বুধবার যে ১৪১ উপজেলায় ভোট হবে তাতে মোট কেন্দ্র রয়েছে ১১ হাজার ৫৫৬টি।
তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে।