চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে, অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ৮৯ কোটি ২০ লাখ টাকার নিট লোকসান করেছে। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটি কর-পরবর্তী নিট মুনাফা করেছিল ৯৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, ফলে এক বছরের ব্যবধানে আয় থেকে লোকসানে চলে গেছে ব্যাংকটি।
ইসলামী ব্যাংকের সাম্প্রতিক আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫৫ পয়সা, যেখানে গত বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লাভ ছিল ৫৯ পয়সা। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন ব্যয়কে এই লোকসানের মূল কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ইসলামী ব্যাংক কর-পরবর্তী নিট মুনাফা করেছিল ৯৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা, এবং ২০২১ সালে একই সময়ে মুনাফা ছিল ৯৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ফলে ধারাবাহিকভাবে আয় বাড়াতে পারলেও চলতি অর্থবছরের শুরুতেই ব্যাংকটি বড়সড় আর্থিক ধাক্কা খেয়েছে।
বর্তমানে ব্যাংকটি নতুনভাবে নেতৃত্বাধীন হচ্ছে, কারণ সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলমের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করে ইসলামী ব্যাংকে প্রশাসক নিয়োগ করেছে। প্রশাসন পরিবর্তনের পর ব্যাংকটি পুরনো স্থিতি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে, তবে চলতি বছরের প্রথম নয় মাসের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) হিসাবেও ব্যাংকটির নিট মুনাফায় বড় ধরনের পতন দেখা যাচ্ছে।
জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে ইসলামী ব্যাংকের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২৬৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪৩৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এই হিসাবে নিট মুনাফা কমেছে ১৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা বা প্রায় ৩৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
বর্তমান আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ইসলামী ব্যাংক নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে, তবে প্রথম প্রান্তিকের এই লোকসান পুনরুদ্ধার ও ব্যাংকের অবস্থান শক্তিশালী করতে বিশেষ পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে, অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ৮৯ কোটি ২০ লাখ টাকার নিট লোকসান করেছে। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটি কর-পরবর্তী নিট মুনাফা করেছিল ৯৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, ফলে এক বছরের ব্যবধানে আয় থেকে লোকসানে চলে গেছে ব্যাংকটি।
ইসলামী ব্যাংকের সাম্প্রতিক আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫৫ পয়সা, যেখানে গত বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লাভ ছিল ৫৯ পয়সা। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন ব্যয়কে এই লোকসানের মূল কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ইসলামী ব্যাংক কর-পরবর্তী নিট মুনাফা করেছিল ৯৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা, এবং ২০২১ সালে একই সময়ে মুনাফা ছিল ৯৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ফলে ধারাবাহিকভাবে আয় বাড়াতে পারলেও চলতি অর্থবছরের শুরুতেই ব্যাংকটি বড়সড় আর্থিক ধাক্কা খেয়েছে।
বর্তমানে ব্যাংকটি নতুনভাবে নেতৃত্বাধীন হচ্ছে, কারণ সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলমের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করে ইসলামী ব্যাংকে প্রশাসক নিয়োগ করেছে। প্রশাসন পরিবর্তনের পর ব্যাংকটি পুরনো স্থিতি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে, তবে চলতি বছরের প্রথম নয় মাসের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) হিসাবেও ব্যাংকটির নিট মুনাফায় বড় ধরনের পতন দেখা যাচ্ছে।
জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে ইসলামী ব্যাংকের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২৬৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪৩৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এই হিসাবে নিট মুনাফা কমেছে ১৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা বা প্রায় ৩৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
বর্তমান আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ইসলামী ব্যাংক নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে, তবে প্রথম প্রান্তিকের এই লোকসান পুনরুদ্ধার ও ব্যাংকের অবস্থান শক্তিশালী করতে বিশেষ পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।