বোতলজাত সয়াবিন তেল নিয়ে দুই সপ্তাহ ধরে চলা অস্থিরতা এখনও কাটেনি। গত সোমবার সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। তারপরও গত চারদিনে বাজারে তেল সরবরাহ স্বাভাবিক করেনি কোম্পানিগুলো। এখনও পাড়া-মহল্লার বেশিরভাগ দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
রামপুরা বাজারে গিয়ে বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে হাতেগোনা দুটি দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করতে দেখা গেছে। সেখানে বিক্রেতারা বলেন, ‘কোম্পানি থেকে ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার তেল দেয়ার কথা ছিল। শেষবেলায় জানিয়েছে দিতে পারবে না, শনিবার দেবে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে একই অবস্থা। এরমধ্যে তেলের দাম বেড়েছে।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পরিবেশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত একটি ছাড়া অন্য কোনো কোম্পানি নতুন দামের সয়াবিন তেলের বোতল বাজারে ছাড়েনি। এজন্য তারাও খুচরা পর্যায়ে পণ্যটি দিতে পারছেন না। বাড়তি দাম যোগ করে বাজারে এখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৭৫ টাকা। আর খোলা সয়াবিনের দাম ১৫৭ টাকা। তবে নতুন এ দামের তেল এখনও আসেনি। সরবরাহ সংকটের কারণে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। নতুন করে দাম বাড়ার আগে বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার ১৬৭ টাকা ও খোলা সয়াবিনের লিটার ছিল ১৪৯ টাকা।
গত সপ্তাহের চেয়ে মসুর ডালের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১৩০ টাকায়। এছাড়া চিনি, আটা ও ময়দাসহ অন্য পণ্যাদির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে সুখবর আছে অন্য প্রায় অনেক পণ্যেই। আলু, পেঁয়াজ ও সবজিসহ কিছু মুদি পণ্যেরও দাম কমেছে। স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের দামও। শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটিই জানা গেছে।
দীর্ঘদিন অস্থিতিশীল থাকা পেঁয়াজের বাজারেও স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে, কমেছে দামও। এক-দেড় মাস আগে দেশি ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। কেজিতে ৪০ টাকার মতো কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। বাজারে এখন দেশি হাইব্রিড পেঁয়াজের কেজিতে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে। এ ধরনের পেঁয়াজের কেজি মাস দেড়েক আগেও ছিল ১০০ টাকার মতো। বাজারের দোকানিরা জানান, নতুন পেঁয়াজ ওঠা শুরু করেছে, পাতা পেঁয়াজও এসেছে। ফলে আগের মজুত পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। নতুন পেঁয়াজ পুরোপুরি চলে এলে দাম আরও কমবে।
নি¤œমুখী ধারা দেখা গেছে আলুর বাজারেও। ভারত থেকে আমদানি করা নতুন আলুর দাম ১২০ টাকা থেকে কমে ৭০ টাকায় নেমেছে। এ ধরনের আলুর আধিক্যের কারণে পুরোনো আলুর দামও কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়।
অন্যদিকে শীত এলে বাজারে সবজির দাম কমে আসবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলেন সবজি বিক্রেতারা। কিন্তু রাজধানীসহ সারাদেশে শীতের আমেজ শুরু হলেও এখনও বাজারে ৮০-১০০ টাকার ঘরেই আছে বেশিরভাগ সবজি। মুলা, মিষ্টিকুমড়া ছাড়া প্রায় সব ধরনের সবজিই বাজারে এখন সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, ‘আর কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে শীতকালীন সবজি বেশি করে আসতে শুরু করবে। তখন সবজির দাম অনেক কমে আসবে।’
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, টমেটো ১২০ টাকা, বিচিওয়ালা শিম প্রতি কেজি ১০০, করোলা ১০০ টাকা, শসা কেজি ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, মুলা কেজি ৩০ টাকা, পেঁয়াজের পাতা প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, মাঝারি সাইজের ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, বাঁধা কপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, সাধারণ শিম কেজি ৫০ টাকা, শালগম ৫০ টাকা এবং পেঁয়াজের ফুল প্রতি মুঠো ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুদিন আগেও আকাশছোঁয়া কাঁচামরিচের দাম কমেছে। বাজারে এখন প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। গত দুই সপ্তাহ ধরে এ দামেই বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ।
সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। ফলে শুক্রবারের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। তবে মুরগি-গরু-খাসির মাংসের তুলনায় কিছুটা স্বস্তি ছিল মাছের বাজারে।
সরেজমিনে আরও দেখা গেছে, শুক্রবারের বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। দেশি মুরগি কেজি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায় এবং প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পাঙাশ বিক্রি ১৭০-১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, কার্প মাছ ২২০-২৫০ টাকা, রুই মাছ ২৬০-৩০০ টাকা, মলা মাছ ২৮০, চাষের কই ২০০ টাকা এবং দেশি কই ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। বড় চিংড়ি মাছ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়, যেখানে গত সপ্তাহেও ছিলো ৭০০ টাকা পর্যন্ত। শিং মাছ বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে পাবদা মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে যেখানে পাবদা মাছ ছিল ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা, শুক্রবারের বাজারে বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও বাজারে শোল মাছ ৬০০-৭০০ টাকা, টাকি মাছ ৩৫০ টাকা এবং সরপুঁটি মাছ ২০০ কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, ‘বাজারে নিম্ন আয়সহ সাধারণ ক্রেতাদের মাংসের চাহিদা মেটাতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ব্রয়লার মুরগি। তবে মাঝেমধ্যেই হুটহাট করে দাম বেড়ে যায়, তখন আবার বিক্রিও কিছুটা কমে যায়। তবে নদী ও সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ ভালো থাকায় গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মাছের দাম কিছুটা কমেছে।’
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
বোতলজাত সয়াবিন তেল নিয়ে দুই সপ্তাহ ধরে চলা অস্থিরতা এখনও কাটেনি। গত সোমবার সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। তারপরও গত চারদিনে বাজারে তেল সরবরাহ স্বাভাবিক করেনি কোম্পানিগুলো। এখনও পাড়া-মহল্লার বেশিরভাগ দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
রামপুরা বাজারে গিয়ে বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে হাতেগোনা দুটি দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করতে দেখা গেছে। সেখানে বিক্রেতারা বলেন, ‘কোম্পানি থেকে ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার তেল দেয়ার কথা ছিল। শেষবেলায় জানিয়েছে দিতে পারবে না, শনিবার দেবে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে একই অবস্থা। এরমধ্যে তেলের দাম বেড়েছে।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পরিবেশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত একটি ছাড়া অন্য কোনো কোম্পানি নতুন দামের সয়াবিন তেলের বোতল বাজারে ছাড়েনি। এজন্য তারাও খুচরা পর্যায়ে পণ্যটি দিতে পারছেন না। বাড়তি দাম যোগ করে বাজারে এখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৭৫ টাকা। আর খোলা সয়াবিনের দাম ১৫৭ টাকা। তবে নতুন এ দামের তেল এখনও আসেনি। সরবরাহ সংকটের কারণে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। নতুন করে দাম বাড়ার আগে বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার ১৬৭ টাকা ও খোলা সয়াবিনের লিটার ছিল ১৪৯ টাকা।
গত সপ্তাহের চেয়ে মসুর ডালের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১৩০ টাকায়। এছাড়া চিনি, আটা ও ময়দাসহ অন্য পণ্যাদির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে সুখবর আছে অন্য প্রায় অনেক পণ্যেই। আলু, পেঁয়াজ ও সবজিসহ কিছু মুদি পণ্যেরও দাম কমেছে। স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের দামও। শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটিই জানা গেছে।
দীর্ঘদিন অস্থিতিশীল থাকা পেঁয়াজের বাজারেও স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে, কমেছে দামও। এক-দেড় মাস আগে দেশি ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। কেজিতে ৪০ টাকার মতো কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। বাজারে এখন দেশি হাইব্রিড পেঁয়াজের কেজিতে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে। এ ধরনের পেঁয়াজের কেজি মাস দেড়েক আগেও ছিল ১০০ টাকার মতো। বাজারের দোকানিরা জানান, নতুন পেঁয়াজ ওঠা শুরু করেছে, পাতা পেঁয়াজও এসেছে। ফলে আগের মজুত পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। নতুন পেঁয়াজ পুরোপুরি চলে এলে দাম আরও কমবে।
নি¤œমুখী ধারা দেখা গেছে আলুর বাজারেও। ভারত থেকে আমদানি করা নতুন আলুর দাম ১২০ টাকা থেকে কমে ৭০ টাকায় নেমেছে। এ ধরনের আলুর আধিক্যের কারণে পুরোনো আলুর দামও কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়।
অন্যদিকে শীত এলে বাজারে সবজির দাম কমে আসবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলেন সবজি বিক্রেতারা। কিন্তু রাজধানীসহ সারাদেশে শীতের আমেজ শুরু হলেও এখনও বাজারে ৮০-১০০ টাকার ঘরেই আছে বেশিরভাগ সবজি। মুলা, মিষ্টিকুমড়া ছাড়া প্রায় সব ধরনের সবজিই বাজারে এখন সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, ‘আর কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে শীতকালীন সবজি বেশি করে আসতে শুরু করবে। তখন সবজির দাম অনেক কমে আসবে।’
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, টমেটো ১২০ টাকা, বিচিওয়ালা শিম প্রতি কেজি ১০০, করোলা ১০০ টাকা, শসা কেজি ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, মুলা কেজি ৩০ টাকা, পেঁয়াজের পাতা প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, মাঝারি সাইজের ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, বাঁধা কপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, সাধারণ শিম কেজি ৫০ টাকা, শালগম ৫০ টাকা এবং পেঁয়াজের ফুল প্রতি মুঠো ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুদিন আগেও আকাশছোঁয়া কাঁচামরিচের দাম কমেছে। বাজারে এখন প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। গত দুই সপ্তাহ ধরে এ দামেই বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ।
সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। ফলে শুক্রবারের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। তবে মুরগি-গরু-খাসির মাংসের তুলনায় কিছুটা স্বস্তি ছিল মাছের বাজারে।
সরেজমিনে আরও দেখা গেছে, শুক্রবারের বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। দেশি মুরগি কেজি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায় এবং প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পাঙাশ বিক্রি ১৭০-১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, কার্প মাছ ২২০-২৫০ টাকা, রুই মাছ ২৬০-৩০০ টাকা, মলা মাছ ২৮০, চাষের কই ২০০ টাকা এবং দেশি কই ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। বড় চিংড়ি মাছ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়, যেখানে গত সপ্তাহেও ছিলো ৭০০ টাকা পর্যন্ত। শিং মাছ বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে পাবদা মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে যেখানে পাবদা মাছ ছিল ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা, শুক্রবারের বাজারে বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও বাজারে শোল মাছ ৬০০-৭০০ টাকা, টাকি মাছ ৩৫০ টাকা এবং সরপুঁটি মাছ ২০০ কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, ‘বাজারে নিম্ন আয়সহ সাধারণ ক্রেতাদের মাংসের চাহিদা মেটাতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ব্রয়লার মুরগি। তবে মাঝেমধ্যেই হুটহাট করে দাম বেড়ে যায়, তখন আবার বিক্রিও কিছুটা কমে যায়। তবে নদী ও সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ ভালো থাকায় গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মাছের দাম কিছুটা কমেছে।’