জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থাগুলো থেকে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন পাচ্ছে না বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তার অভিযোগ, আইএমএফের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সামান্য অর্থ আনতেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে জলবায়ু বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জন্য প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়ন প্রয়োজন। অথচ আইএমএফ থেকে এক-দেড় বিলিয়ন আনতেই আমাদের জান বেরিয়ে যায়। এক-দেড় বছরে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের জন্য নেগোসিয়েশন করতে হয়।”
উল্লেখ্য, আর্থিক সংকট সামাল দিতে ২০২২ সালে বাংলাদেশ ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে আইএমএফের সঙ্গে। তবে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় গত বছর কিস্তি আটকে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চলতি বছরের জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি মিলিয়ে ১৩৩ কোটি ডলার ছাড় করেছে সংস্থাটি।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আসে। সীমিত সম্পদ নিয়েই আমরা প্রথম সারিতে আছি। এটাকে কাজে লাগাতে হবে।”
সাংবাদিকদের দায়িত্বের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “জনস্বার্থে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনেক বড়। জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের ওপর প্রভাব নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা জরুরি। আমাদের দেশে মানবসৃষ্ট দুর্যোগও কম নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো আছেই।”
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকীও বক্তব্য রাখেন।
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থাগুলো থেকে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন পাচ্ছে না বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তার অভিযোগ, আইএমএফের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সামান্য অর্থ আনতেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে জলবায়ু বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জন্য প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়ন প্রয়োজন। অথচ আইএমএফ থেকে এক-দেড় বিলিয়ন আনতেই আমাদের জান বেরিয়ে যায়। এক-দেড় বছরে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের জন্য নেগোসিয়েশন করতে হয়।”
উল্লেখ্য, আর্থিক সংকট সামাল দিতে ২০২২ সালে বাংলাদেশ ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে আইএমএফের সঙ্গে। তবে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় গত বছর কিস্তি আটকে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চলতি বছরের জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি মিলিয়ে ১৩৩ কোটি ডলার ছাড় করেছে সংস্থাটি।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আসে। সীমিত সম্পদ নিয়েই আমরা প্রথম সারিতে আছি। এটাকে কাজে লাগাতে হবে।”
সাংবাদিকদের দায়িত্বের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “জনস্বার্থে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনেক বড়। জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের ওপর প্রভাব নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা জরুরি। আমাদের দেশে মানবসৃষ্ট দুর্যোগও কম নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো আছেই।”
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকীও বক্তব্য রাখেন।