ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম আরও বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় বেশিরভাগ সবজি কেজিতে ১০-১৫ টাকা, কোনটি ২০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতাদের অজুহাত, দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে পরিবহন সংকটের কারণে ঢাকার বাজারে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে মাছ, মাংস, মুরগির দাম আগের মতোই আছে।
দোকানদারদের কাছে আমরা জিম্মি: ক্রেতার অভিযোগ
পাড়া-মহল্লায় রিক্সা-ভ্যানে বিক্রি করা সবজির দাম কিছুটা কম
শুক্রবার,(০৩ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
শুধু দাম কম দেখা গেছে কাঁচা পেঁপের। সবজি হিসেবে প্রচলিত প্রতি কেজি কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। কাঁচা মরিচ কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৪০০ টাকা।
প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, বেগুন (গোল) বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়, বেগুন (লম্বা) প্রতি কেজি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৭০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
শাক-পাতা
শুক্রবার,(০৩ অক্টোবর ২০২৫) রাজধানীর বাজারগুলোতে লেবুর হালি ছিল ১৫-৩০ টাকা, ধনেপাতা ৩৫০ টাকা কেজি, মুলা ৮০ টাকা, ফুল কপি ছোট আকারের প্রতি পিসের দাম ছিল ৪০-৬০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ছিল ৭৫ টাকা কেজি।
বাজারগুলোতে লাল শাক ২০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০-৫০ টাকা, কলমি শাক দুই আঁটি ৩০ টাকা, পুঁই শাক ৪০-৫০ টাকা, ডাটা শাক দুই আঁটি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, উচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ২০০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংস
অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়, সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ৩১০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়, আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মগবাজার বাজারে (চারুলতা মার্কেট) বাজার করতে এসেছেন পেয়ারাবাগের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম। সংবাদকে তিনি বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে সবজির দাম বাড়তি। আজকে দেখি দাম আরও বেড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আজ আধা কেজি উচ্ছে কিনলাম ৫০ টাকা দিয়ে; তিন-চার দিন আগে কিনেছিলাম ৪০ টাকা দিয়ে। অন্য সবজি যা কিনেছি, সবই দাম বেশি।’
নদী ও চাষের মাছ
শুক্রবার রাত থেকে নদীতে ধরা এবং বিক্রি বন্ধের ঘোষণায় চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। বাজারগুলোতে এক কেজি ওজনের ইলিশ কেজিতে ১৫০-২০০ টাকা বেড়ে ২৩০০-২৪৫০ টাকা এবং ৭০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি ২১০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১৪০০ টাকা, ৩০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি ১০০০ টাকা এবং ১৫০-২০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি ৬৫০-৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে এক কেজি চাষের শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৫৫০ টাকায়, দেশি শিং ১০০০-১২০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০-৫৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০-১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০-৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০-১৪০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৬০০-৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৪০০-৫৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০-৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০-৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০-২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০-৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায় এবং পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাল-ডাল-ডিম
দেশি আদা ১৪০-১৬০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ১৪০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৬০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা এবং খেসারির ডাল ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮৫-৯২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮৪-৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা এবং আটাশ চাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়,
হাঁসের ডিম ২১০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ১১০ টাকা এবং সোনালি কক মুরগির ডিম হালি ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মুগদা জিরোপয়েন্ট বউ বাজারে বাজার সেড়ে বাসার পথে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। নাম বরকত উল্লাহ। জানতে চাইলে সংবাদকে তিনি বলেন, ‘সবজির দামতো গত তিনমাস ধরেই চড়া। আজকে আরও একটু বেশি।’
পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী বরকত বলেন, ‘আগে মিষ্টি কুমড়া কিনতাম ফালি (পিস) হিসেবে। এখন কেজি দরে বিক্রি করে। এক পিস কুমড়া নিয়েছি, ওজন হয়েছে এক কেজি ৩শ’ গ্রাম। দাম ধরলো ৭৮ টাকা। এভাবে পুরো কুমড়া বিক্রি করবে ৪-৫শ’ টাকায়। জমির কৃষক কি এতো দাম পায়? তাদের তো মনে হয় ৫০-৬০ টাকায় আস্ত কুমড়া বিক্রি করতে হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘দোকানদাররা ইচ্ছে মতো দাম চায়। দেখার তো কেউ নেই। আমরা সবাই তাদের কাছে জিম্মি।’
তবে পাড়া-মহল্লায় রিক্সা-ভ্যানে করে যেসব সবজি বিক্রি হয়, সেগুলোর দাম বাজারের তুলনায় কিছুটা কম। নিম্ন আয়ের অনেকেই কম দামে সবজি কিনতে রিক্সা-ভ্যান থেকে বাজার করেন। তবে এসব সবজির প্রায়ই সতেজ হয় না, গুণগত মানও কম থাকে। কারণ পাইকারি বাজার থেকে কখনো একদিন আগের সবজি আবার কখনো আড়তে মাল বিক্রির পরে অবশিষ্ট রয়ে যাওয়া সবজি কম দামে নিয়ে এসে রাস্তার মোড়ে রিক্সা-ভ্যানে করে বিক্রি করেন ভাসমান সবজি ব্যবসায়ীরা।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম আরও বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় বেশিরভাগ সবজি কেজিতে ১০-১৫ টাকা, কোনটি ২০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতাদের অজুহাত, দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে পরিবহন সংকটের কারণে ঢাকার বাজারে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে মাছ, মাংস, মুরগির দাম আগের মতোই আছে।
দোকানদারদের কাছে আমরা জিম্মি: ক্রেতার অভিযোগ
পাড়া-মহল্লায় রিক্সা-ভ্যানে বিক্রি করা সবজির দাম কিছুটা কম
শুক্রবার,(০৩ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
শুধু দাম কম দেখা গেছে কাঁচা পেঁপের। সবজি হিসেবে প্রচলিত প্রতি কেজি কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। কাঁচা মরিচ কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৪০০ টাকা।
প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, বেগুন (গোল) বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়, বেগুন (লম্বা) প্রতি কেজি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৭০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
শাক-পাতা
শুক্রবার,(০৩ অক্টোবর ২০২৫) রাজধানীর বাজারগুলোতে লেবুর হালি ছিল ১৫-৩০ টাকা, ধনেপাতা ৩৫০ টাকা কেজি, মুলা ৮০ টাকা, ফুল কপি ছোট আকারের প্রতি পিসের দাম ছিল ৪০-৬০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ছিল ৭৫ টাকা কেজি।
বাজারগুলোতে লাল শাক ২০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০-৫০ টাকা, কলমি শাক দুই আঁটি ৩০ টাকা, পুঁই শাক ৪০-৫০ টাকা, ডাটা শাক দুই আঁটি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, উচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ২০০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংস
অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়, সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ৩১০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়, আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মগবাজার বাজারে (চারুলতা মার্কেট) বাজার করতে এসেছেন পেয়ারাবাগের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম। সংবাদকে তিনি বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে সবজির দাম বাড়তি। আজকে দেখি দাম আরও বেড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আজ আধা কেজি উচ্ছে কিনলাম ৫০ টাকা দিয়ে; তিন-চার দিন আগে কিনেছিলাম ৪০ টাকা দিয়ে। অন্য সবজি যা কিনেছি, সবই দাম বেশি।’
নদী ও চাষের মাছ
শুক্রবার রাত থেকে নদীতে ধরা এবং বিক্রি বন্ধের ঘোষণায় চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। বাজারগুলোতে এক কেজি ওজনের ইলিশ কেজিতে ১৫০-২০০ টাকা বেড়ে ২৩০০-২৪৫০ টাকা এবং ৭০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি ২১০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১৪০০ টাকা, ৩০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি ১০০০ টাকা এবং ১৫০-২০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি ৬৫০-৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে এক কেজি চাষের শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৫৫০ টাকায়, দেশি শিং ১০০০-১২০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০-৫৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০-১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০-৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০-১৪০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৬০০-৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৪০০-৫৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০-৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০-৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০-২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০-৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায় এবং পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাল-ডাল-ডিম
দেশি আদা ১৪০-১৬০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ১৪০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৬০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা এবং খেসারির ডাল ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮৫-৯২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮৪-৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা এবং আটাশ চাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়,
হাঁসের ডিম ২১০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ১১০ টাকা এবং সোনালি কক মুরগির ডিম হালি ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মুগদা জিরোপয়েন্ট বউ বাজারে বাজার সেড়ে বাসার পথে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। নাম বরকত উল্লাহ। জানতে চাইলে সংবাদকে তিনি বলেন, ‘সবজির দামতো গত তিনমাস ধরেই চড়া। আজকে আরও একটু বেশি।’
পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী বরকত বলেন, ‘আগে মিষ্টি কুমড়া কিনতাম ফালি (পিস) হিসেবে। এখন কেজি দরে বিক্রি করে। এক পিস কুমড়া নিয়েছি, ওজন হয়েছে এক কেজি ৩শ’ গ্রাম। দাম ধরলো ৭৮ টাকা। এভাবে পুরো কুমড়া বিক্রি করবে ৪-৫শ’ টাকায়। জমির কৃষক কি এতো দাম পায়? তাদের তো মনে হয় ৫০-৬০ টাকায় আস্ত কুমড়া বিক্রি করতে হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘দোকানদাররা ইচ্ছে মতো দাম চায়। দেখার তো কেউ নেই। আমরা সবাই তাদের কাছে জিম্মি।’
তবে পাড়া-মহল্লায় রিক্সা-ভ্যানে করে যেসব সবজি বিক্রি হয়, সেগুলোর দাম বাজারের তুলনায় কিছুটা কম। নিম্ন আয়ের অনেকেই কম দামে সবজি কিনতে রিক্সা-ভ্যান থেকে বাজার করেন। তবে এসব সবজির প্রায়ই সতেজ হয় না, গুণগত মানও কম থাকে। কারণ পাইকারি বাজার থেকে কখনো একদিন আগের সবজি আবার কখনো আড়তে মাল বিক্রির পরে অবশিষ্ট রয়ে যাওয়া সবজি কম দামে নিয়ে এসে রাস্তার মোড়ে রিক্সা-ভ্যানে করে বিক্রি করেন ভাসমান সবজি ব্যবসায়ীরা।